পশ্চিম বঙ্গ
ভারতের বিভিন্ন মানচিত্র

পশ্চিম বঙ্গ পর্যটন

Travel Map of West Bengal in Bengali

পশ্চিম বঙ্গ পর্যটন
* মানচিত্রে পশ্চিমবঙ্গের গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন স্থানগুলি দেখানো হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন

ভারতের পশ্চিমে অবস্থিত, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য হল সভ্যতা ও সমৃদ্ধ সংস্কৃতির ভূমি। উজ্জ্বল অতীত ছাড়াও, বর্তমান পশ্চিমবঙ্গ বামপন্থী আধিপত্যের একটি দুর্গ হিসাবে খ্যাতি দাবি করে।

পশ্চিমবঙ্গে ভ্রমন আপনাকে সেই রাজ্যে নিয়ে যাবে যেটি হল দেশের সর্বোচ্চ সংখ্যক নোবেল বিজয়ীদের জন্মভূমি। এটি বিশ্বের বিখ্যাত কবি, চিত্রশিল্পী, চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং পণ্ডিতদের মাতৃভূমি।

পশ্চিমবঙ্গ ভ্রমণের সেরা সময়

পশ্চিমবঙ্গ পরিদর্শনের সেরা সময় হল সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর, যখন এই রাজ্যে খুব ধুমধামের সাথে দুর্গা পূজা পালিত হয়।

অনেক আগ্রহজনক স্থানের সাথে সাথে রাজ্যের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বিস্ময়কর স্থাপত্যগুলির অন্বেষণ পর্যটকদের পশ্চিমবঙ্গ ভ্রমণের এক চমৎকার সুযোগ প্রদান করে।

জনপরিসংখ্যান
অবস্থান ভারতের উত্তরাংশ
উত্তরে সিকিম ও ভুটান
পূর্বে আসাম ও বাংলাদেশ
দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর
পশ্চিমে উড়িষ্যা, বিহার ও নেপাল
অক্ষাংশ উত্তরে ২৭ ডিগ্রি ১৩ মিনিট ১৫ সেকেন্ড ও ২১ ডিগ্রি ২৫ মিনিট ২৪ সেকেন্ডের মধ্যবর্তী
দ্রাঘিমাংশ পূর্বে ৮৫ ডিগ্রি ৪৮ মিনিট ২০ সেকেন্ড ও ৮৯ ডিগ্রি ৫৩ মিনিট ০৪ সেকেন্ড এর মধ্যবর্তী
আয়তন ৮৮,৭৫২ বর্গ কিলোমিটার
জলবায়ু গ্রীষ্মকাল –গরম
শীতকাল-ঠাণ্ডা
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড
বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত ২১০ সেন্টিমিটার
রাজধানী কলকাতা
জনসংখ্যা ৮০২২১১৭১
ভাষা বাংলা, হিন্দি, ইংরাজি
ধর্ম হিন্দু, ইসলাম, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ, জৈন
ভ্রমণের সেরা সময় অক্টোবর থেকে মার্চ
পোষাক গ্রীষ্মকাল–হালকা সুতি
শীতকাল–পশমী বস্ত্র।

পশ্চিমবঙ্গে পৌঁছনোর উপায় –

এখানকার মহিমাম্বিত পাহাড়, বন্যপ্রাণীতে পরিপূর্ণ ঘন জঙ্গল, তরঙ্গায়িত সবুজ সমভূমি, সুন্দর সৈকত, ঐতিহাসিক সৌধ এবং সমৃদ্ধ সংস্কৃতির দ্বারা পশ্চিমবঙ্গকে খুবই ভালো ভাবে চিত্রিত করা যায়।

বিমান পথ দ্বারা –

রাজ্যের রাজধানী, কলকাতায় একটি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ও উত্তরবঙ্গে শিলিগুড়ির নিকটে বাগডোগরাতে একটি অন্তর্দেশীয় বিমান বন্দর আছে। এই দুটি বিমানবন্দর প্রায় সব সরকারি ও বেসরকারি বিমান সংস্হা দ্বারা পরিষেবিত এবং দিল্লি, মুম্বাই, চেন্নাই-এর মত প্রধান ভারতীয় শহরগুলির সাথে সংযোগ স্থাপন করে। পশ্চিমবঙ্গের অধিকাংশ গন্তব্যস্থলগুলি কলকাতা ও বাগডোগরা থেকে সুবিধাজনক দূরত্বে অবস্থিত।

রেলপথ দ্বারা –

এই রাজ্যের রেলপথ ব্যবস্থাও অত্যন্ত ভালো। রাজ্যের মূল দুই রেল স্টেশন হল – কলকাতার নিকট হাওড়া ও শিয়ালদহ এবং শিলিগুড়ির নিকট নিউ–জলপাইগুড়ি। এইরাজ্যের সমস্ত রেলপ্রান্তগুলি গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনগুলি দ্বারা পরিষেবিত এবং দেশের সমস্ত প্রধান রেল স্টেশনগুলির সাথে সংযুক্ত।

সড়কপথ দ্বারা –

সমগ্র রাজ্যে বিস্তীর্ণ সড়ক যোগাযোগ লক্ষ্য করা যায়। বহুসংখ্যক জাতীয় মহাসড়ক এবং রাজ্য মহাসড়ক এই রাজ্যে আড়াআড়ি ভাবে অবস্থান করে আছে।
প্রতিবেশী রাজ্য বিহার, উড়িষ্যা ও ঝাড়খন্ড থেকে যে কেউ এই রাজ্যে আসতে পারেন। এছাড়াও আন্তঃসীমান্ত সড়ক পরিবহন নেপাল, ভুটান ও বাংলাদেশের মতো প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত।

পশ্চিমবঙ্গে কেনাকাটা

রাজ্যের বিশিষ্ট কারিগররা মাটি, শঙ্খ, ঝিনুক থেকে বিভিন্ন সূক্ষ্ম উপকরণ তৈরি করেন। পশ্চিমবঙ্গের কিছু স্থানের দক্ষ শিল্পীদের হাতে বোনা রেশমের শাড়ি ক্রেতাদের জন্য একটি জনপ্রিয় উপকরণ।

পশ্চিমবঙ্গের হস্তশিল্প

এছাড়াও চারুকলা পশ্চিমবঙ্গের একটি সমৃদ্ধ ঐতিহ্য। প্রকৃতপক্ষে এই রাজ্যে বহু সুপ্রসিদ্ধ চিত্রশিল্পী রয়েছেন। তাই চিত্রাঙ্কন এই রাজ্যের একটি মুল্যবান উপকরণ।

সর্বশেষ একটি গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ হল-পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং-এর সূক্ষ্ম মানের চা উৎপাদন, যা বিশ্বখ্যাত। তাই পশ্চিমবঙ্গে কেনাকাটার জন্য আপনার তালিকায় একটি বা দুটি দার্জিলিং চা-এর প্যাকেট থাকা আবশ্যক।

পশ্চিমবঙ্গে কেনাকাটার উপকরণ –

বালুচরি রেশম শাড়ি মাটির উপকরণ, টেরাকোটা উপকরন [ঘোড়া]
চা পাটজাত পণ্য, বেত ও বাঁশের উপকরন এবং মাদুর
শোলা, ঝিনুকের তৈরি উপকরণ চর্মজাত পণ্য
ডোকরা ও ধাতু ঢালাই উপকরণ চিত্রাঙ্কন

পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত গন্তব্যস্থলে কেনাকাটার অনেক সুযোগ আছে। সরকারি ও বেসরকারি দোকানপাট পশ্চিমবঙ্গের চারিদিকে ছড়িয়ে আছে। আপনি ভাল পণ্য কেনাকাটার জন্য বিভিন্ন পথপার্শ্ব বিক্রেতাদের নির্বাচন করতে পারেন যেখানে আপনি দরদাম করে জিনিষ কিনতে পারেন।

পশ্চিমবঙ্গের দ্রষ্টব্য স্থান

* পশ্চিমবঙ্গের আরও অন্যান্য আকর্ষণীয় পর্যটন স্থল –

* সর্বশেষ সংযোজন : ১৬- ই মার্চ, ২০১৫