দ্য এশিয়াটিক সোসাইটি অফ বেঙ্গল
কলকাতার পার্ক স্ট্রীট এ অবস্থিত দ্য এশিয়াটিক সোসাইটি অফ বেঙ্গল হল পশ্চিমবঙ্গের একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষামূলক এবং বুদ্ধিবৃত্তিক কেন্দ্র। পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম দ্রষ্টব্য, দ্য এশিয়াটিক সোসাইটি অফ বেঙ্গল মহাদেশ জুড়ে বিভিন্ন পণ্ডিত এবং বুদ্ধিজীবীদের আকর্ষণ কেন্দ্র।
১৭৮৪ সালে উইলিয়াম জোনস্ দ্য এশিয়াটিক সোসাইটি অফ বেঙ্গল-এর প্রতিষ্ঠা করেন, যিনি প্রাচ্য সময়ের দৃষ্টিভঙ্গী থেকে এশিয়ান সমাজ ও সংস্কৃতির অধ্যয়ন প্রারম্ভের নেতৃত্ব দেন। এশিয়ান সমাজের বিভিন্ন দিকের বিস্তৃত এবং পুঙ্খানুপুঙ্খ গবেষণা কার্যের জন্য গবেষণা পণ্ডিতদের এক প্রধান গবেষণাগার হল-ভারতের দ্য এশিয়াটিক সোসাইটি অফ বেঙ্গল।
এশিয়াটিক সোসাইটি অফ বেঙ্গল একটি অন্যতম গ্রন্থাগার যেখানে বহু সংখ্যক বই, পত্রিকা ও সাময়িক পত্রিকা সংরক্ষিত আছে, যা এশিয়া সমাজের সমৃদ্ধ ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে ব্যাপক জ্ঞানের সম্ভার এনে দেয়। এই গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গ্রন্থাগারে ১৭৮৪ সাল থেকে বহু ভাষার বিপুল সংখ্যক বই সংরক্ষণ করা রয়েছে যা বহু বিরল প্রাচীন পাণ্ডুলিপিতে সমৃদ্ধ ও যেগুলি প্রাচীন কালের এশিয়ান সমাজের গৌরবময় অতীতের উপর আলোকপাত করে।
১৮২০ সালে প্রতিষ্ঠিত ভারতের, পশ্চিমবঙ্গের এগ্রি হর্টিকালচারাল সোসাইটি এ অঞ্চলের কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করেছে। ভারতের এগ্রি হর্টিকালচারাল সোসাইটি দেশের কৃষিক্ষেত্রে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। রেভ. ডক্টর উইলিয়াম ক্যারি-র মস্তিস্কপ্রসুত এগ্রি হর্টিকালচারাল সোসাইটি, পশ্চিমবঙ্গের কৃষি ও উদ্যানজাত উৎপাদনের বৃদ্ধিতে এক নতুন দিকনির্দেশ করেছে।
ভারতের এগ্রি হর্টিকালচারাল সোসাইটি কৃষি ও উদ্যানজাত দ্রব্য উৎপাদনে সূক্ষ্ম মানের বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত পদ্ধতি প্রয়োগ করছে। পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ-কলকাতায় অবস্থিত এগ্রি হর্টিকালচারাল সোসাইটি উচ্ছলিত বাগান এবং উদ্যানে সমৃদ্ধ। শহরের হৈ-চৈ থেকে দুরে এখানকার শান্ত ও মনোরম পরিবেশ কলকাতার মানুষদের দৈনন্দিন জীবনের মানসিক চাপ থেকে মুক্তি দেয়।
ভারতের এগ্রি হর্টিকালচারাল সোসাইটিতে বিভিন্ন ধরনের গাছপালা দেখার অভিজ্ঞতা লাভ করবেন। পশ্চিমবঙ্গের এগ্রি হর্টিকালচারাল সোসাইটি-র প্রধান উদ্দেশ্য, পরিবেশ বান্ধব এবং দূষণ মুক্ত শহরের জন্য সচেতনতা সৃষ্টি। ভারতের এগ্রি হর্টিকালচারাল সোসাইটি একটি চমৎকার গবেষণা কেন্দ্র দ্বারা সমৃদ্ধ যা বহু আধুনিক কৃষিবিদদের ভালো কৃষি ও উদ্যানজাত পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ দেয়।
* সর্বশেষ সংযোজন : ২৩ - শে মার্চ, ২০১৫