কলকাতা শহর থেকে ২০-কিলোমিটার উত্তরে, হুগলী নদীর তীরে কলকাতায় দেবী কালীর কালিঘাট মন্দির অবস্থিত রয়েছে। ১৮৪৭ সালে এটি নির্মিত হয়েছিল। কালিঘাট মন্দির প্রায় ২০০ বছরের প্রাচীন। কলকাতার কালিঘাট মন্দির পূর্ব-ভারতের হিন্দুদের কাছে এক অর্থপূর্ণ ধর্মীয় স্থান।
বেলুড় মঠ পশ্চিমবঙ্গের হুগলী নদীর তীরে অবস্থিত। এটি ১৮৯৮ সালে নির্মিত হয়। বেলুড় মঠ তার শান্ত-স্নিগ্ধ সৌন্দর্য্যের জন্য সু-পরিচিত। বেলুড় মঠ হল রামকৃষ্ণ মিশনের আন্তর্জাতিক সদর দপ্তর। স্বামী বিবেকানন্দ তাঁর গুরু শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের প্রেমময় স্মৃতি-রক্ষার্থে এটির নির্মাণ করেছিলেন। ইনি সর্ব ধর্মের ঐক্যের হয়ে প্রচার করেছিলেন।
বিস্তারিত তথ্য…
ভারতের বৃহত্তম মহানগরী, কলকাতা তার ধর্মীয় স্থানের জন্য প্রসিদ্ধ। কলকাতা শহরের ২০-কিলোমিটার উত্তরে দেবী কালীর উৎসর্গে এই দক্ষিণেশ্বর মন্দির রাণী রাসমণি ১৮৪৭ সালে নির্মাণ করেছিলেন।
বিস্তারিত তথ্য…
পরেশনাথ জৈন মন্দির কলকাতার উত্তর-পূর্ব দিকে অবস্থান করে আছে। মন্দিরটি কাঁচের তৈরি আয়না, রঙীন পাথর ও মোজাইক শিল্প দিয়ে সু-সজ্জিত করা রয়েছে। এর চারপাশে একটি সুন্দর বাগান রয়েছে। এটি কাঁচের মোজাইক ও ইউরোপীয় মূর্তির সমন্বয়ে ঘেরাও রয়েছে এবং রুপোলি রং-এ রঙ করা আছে।
বিস্তারিত তথ্য…
নাখোদা মসজিদ, কলকাতার চিৎপুর রোড ও মহাত্মা গান্ধি রোডের সংযোগস্থলের নিকটে, জ্যাকিউয়্যারিয়া স্ট্রীটে অবস্থিত। কলকাতার নাখোদা মসজিদ, শুরুতে একটি ছোট্ট মসজিদ ছিল। ১৯২৬ সালের শেষের দিকে, কচ্ছের বাসিন্দা অবদর রহিম ওসমান্ এই বর্তমান কাঠামোটির নির্মাণ করেছিলেন। কলকাতার নাখোদা মসজিদ, কলকাতায় সর্ববৃহৎ এই প্রকারের মসজিদ্। এটি নিম্নলিখিত সিকন্দ্রার আকবরের সমাধি শৈলীর উপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছিল-এটি ইন্দো-সারাসেনিক স্থাপত্যের একটি অংশ।
বিস্তারিত তথ্য…
কলকাতায় সেন্ট পল’স ক্যাথিড্রাল হল কলকাতা শহরের সবচেয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থান। এই গির্জাটি সম্পূর্ণ হতে এক দীর্ঘ সময় নিয়েছিল। দীর্ঘ ৮ বছর ধরে নির্মাণ কার্য চলার পর অবশেষে ১৮৪৭ সালে এই ইমারতটি সম্পূর্ণ হয়। কলকাতার সেন্ট পল’স ক্যাথিড্রাল ইমারতটির স্থাপত্য চমৎকারভাবে মেজর নৈইর্ন ফোর্বস-এর দ্বারা সুপরিকল্পিত হয়েছিল।
বিস্তারিত তথ্য…
কলকাতার সেন্ট জন’স চার্চ হল সর্বপ্রথম বেসরকারি বা প্রকাশ্য ইমারতগুলির মধ্যে একটি যা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। সেন্ট জন’স চার্চ ১৭৮৭ সালে নির্মাণ করা হয়েছিল। এই গির্জাটি “দ্য স্টোন্ চার্চ”-নামেও জনপ্রিয়। এই সেন্ট জন’স চার্চ-টি পশ্চিমবঙ্গের, কলকাতার বিবাদীবাগে অবস্থিত।
বিস্তারিত তথ্য…
কলকাতায় আর্মেনিয়ান চার্চটি, কলকাতার হাওড়া ব্রিজের সন্নিকটে, বড়বাজারের উত্তর-পশ্চিম কোণে – আর্মেনিয়ান স্ট্রীটে অবস্থিত। ১৭৬৪ সালে এটির নির্মাণ হয় ও অষ্টাদশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে এটির পুনঃনির্মাণ করা হয়। কলকাতার আর্মেনিয়ান চার্চ, সাম্প্রতিকালে কলকাতার সবচেয়ে প্রাচীনতম গির্জা। কলকাতার আর্মেনিয়ান চার্চের অভ্যন্তরীণ দেওয়ালগুলি মার্বেল দ্বারা সু-সজ্জিত রয়েছে। গ্যালারীর ছাদনে অলংকৃত ফলক রয়েছে।
বিস্তারিত তথ্য…
পশ্চিমবঙ্গে, হাওড়া ব্রিজ রবীন্দ্র সেতু নামেও জনপ্রিয় রূপে পরিচিত। কলকাতায় হাওড়া সেতু হুগলী নদীর উপর প্রসারিত রয়েছে এবং এটি ব্রিটিশদের এক চমৎকার প্রাকৌশলিক (ইঞ্জিনীয়ারিং) কারুকার্য হিসাবে গণ্য হয়। হাওড়া ব্রিজ বিশ্বের ব্যস্ততম খিলান সেতুগুলির মধ্যে গণ্য হয়।
বিস্তারিত তথ্য…
কলকাতার মহানগরীতে প্রাথমিক বাংলা সংস্কৃতির কেন্দ্রস্থল হল এই রবীন্দ্র সদন্। রবীন্দ্র সদনের এই বৃহৎ মঞ্চ হল শহরের বাংলা থিয়েটার ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের এক প্রধান মিলনস্থল। কলকাতার রবীন্দ্র সদন হল বাঙালি সমাজের কাছে এক প্রধান বিনোদন অঞ্চল ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, যেখানে আপনারা প্রতিটি সন্ধ্যায় নাটক, নৃত্য, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী দেখতে পেতে পারেন।
বিস্তারিত তথ্য…
কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়্যাল, তাজমহলের ধাঁচে সাদা মার্বেলের এক মহিমান্বিত গঠন। বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে রাণী ভিক্টোরিয়ার স্মরণে এই ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়্যাল নির্মাণ করা হয়েছিল। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়্যাল-এর এই ইমারতটির নির্মাণে মোট ১,৫০,০০০,০০০ টাকা ব্যয় হয়েছিল।
বিস্তারিত তথ্য…
দ্বিতীয় হুগলী সেতু নামে পরিচিত বিদ্যাসাগর সেতু, কলকাতার হাওড়া ব্রিজের ২-কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত। বিদ্যাসাগর সেতু, কলকাতার এক অত্যাধুনিক খিলান সেতু। হগলী নদীর উপর বিস্তৃত এই সেতু হাওড়ার দুটি যমজ শহরের মধ্যে সংযোগ-স্থাপণ করেছে। কলকাতার বিদ্যাসাগর সেতু নয়টি যানবাহন চলাচলের রাস্তা রয়েছে এবং এখানে দৈনন্দিন ৮৫,০০০ যানবাহন চলাচল করে। পশ্চিমবঙ্গে, কলকাতার বিদ্যাসাগর সেতু হল সমস্ত ধরনের যানবাহনের কলকাতায় প্রবেশ ও প্রস্থানের জন্য একটি টোল সেতু।
বিস্তারিত তথ্য…
কলকাতা রেস কোর্স ভারতের এক সবচেয়ে বড় রেস কোর্স। কলকাতা রেস কোর্স ১৮২০ সালে নির্মাণ করা হয়েছিল এবং এর সু-পরিচর্যার দ্বায়িত্বে ছিল কলকাতার রয়্যাল টার্ফ ক্লাব। কলকাতা রেস কোর্স হল ভারতের এক বিখ্যাত ঘোড়াদৌড়ের ক্ষেত্র। এখানে দেশের সবচেয়ে মর্য্যাদাপূর্ণ ঘোড়াদৌড়ের কার্যক্রম; যেমন ক্যালকাটা ডার্বি এবং রাণী এলিজাবেথ কাপ নিয়মিত রূপে আয়োজিত হয়। কলকাতার রেস কোর্স সবুজাভ কলকাতা ময়দানের দক্ষিণ-পশ্চিম কেন্দ্রে অবস্থিত। পশ্চিমবঙ্গে, কলকাতা রেস কোর্সের পশ্চিম কোণে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়্যাল অবস্থিত।
বিস্তারিত তথ্য…
ন্যাশনাল লাইব্রেরী, কলকাতার আলিপুর চিড়িয়াখানার খুবই সান্নিধ্যে বেলভেডেয়্যার এস্টেট-এ অবস্থিত। কলকাতার ন্যাশনাল লাইব্রেরী হল ভারতের মধ্যে সর্ববৃহত্তম গ্রন্থাগার। দ্য ন্যাশনাল লাইব্রেরী পশ্চিমবঙ্গের লেফটেনেন্ট গর্ভনর-এর বাসভবন ছিল। বর্তমানে এই গন্থাগারে প্রায় ২০ লক্ষ পুস্তক ও ৫ লক্ষ নথি-পত্র রয়েছে।
বিস্তারিত তথ্য…
পশ্চিমবঙ্গে কলকাতার শহীদ মিনার, ১৯৪৮ সালে স্যার ডেভিড ওক্টারলোনি দ্বারা নির্মিত হয়েছিল, ১৮১৪ এবং ১৮১৬ মধ্যবর্তী সময়কালের নেপাল যুদ্ধে তাঁর স্তম্ভিতকারী জয়লাভকে চিরস্মরণীয় করে রাখতে এটির নির্মাণ করা হয়েছিল। কলকাতার কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত প্রায় ৪৮ মিটারের দীর্ঘ এই আকাশ-চুম্বী স্মৃতিস্তম্ভটি ময়দান অঞ্চলে রাতের আকাশকে আলোকিত করে দাঁড়িয়ে থাকে, এটির সমস্ত কোণ থেকে উজ্জ্বল আলোর আলোক ঝরণায় এটি অগভীরভাবে উদ্ভাসিত রয়েছে।
বিস্তারিত তথ্য…
কলকাতার মার্বেল প্যালেস এক নিদারুণ সৌন্দর্য্যময় উদ্ভাবনী প্রাসাদতুল্য অট্টালিকা। বাংলার এক সমৃ্দ্ধশালী জমিদার রাজা রাজেন্দ্র মল্লিক বাহাদূর ১৮৩৫ সালে এটির নির্মাণ করেছিলেন। এর নিছক বিশালতা ও স্ফুলিঙ্গ জড়ানো কারুকার্য নিশ্চয়ই আপনার বোধ শক্তিকে বিমোহিত করে তুলবে।
বিস্তারিত তথ্য…
পশ্চিমবঙ্গে, কলকাতার দ্য এম.পি. বিড়লা প্ল্যানিটেরয়্যাম ১৯৬২ সালের, ২৯-শে সে্টেম্বর অস্তিত্বে আসে এবং আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৬৩ সালের ২-রা জুলাই, পন্ডিত জওহরলাল নেহেরু একি উদ্বোধনী অভিভাষণের মাধ্যমে এটি সর্বাসাধারণের জন্য খোলা হয়। এটি সমগ্র ভারতে প্রথম এই ধরনের এবং সমগ্র এশিয়ায় এক অদ্ভূত বিষয়বস্তু ছিল। এটি প্রারম্ভের গোড়া থেকেই, সাধারণ মানুষের কাছে ও শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রকার ঘটনার ধারনা উপলব্ধিকরণের জন্য এটি এক সম্পদ হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে।
বিস্তারিত তথ্য…
বিড়লা ইন্ডাস্ট্রিয়্যাল মিউজিয়্যাম বা বিড়লা ইন্ডাস্ট্রিয়্যাল ও টেকনোলোজিক্যাল মিউজিয়্যাম দক্ষিণ কলকাতার ১৯-এ, গুরুসদয় রোডে অবস্থিত। কলকাতার বিড়লা ইন্ডাস্ট্রিয়্যাল মিউজিয়্যাম ১৯৫৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (সি.এস.আই.আর) দ্বারা এটির সূচনা হয়। এটি ডঃ বিধান চন্দ্র রায়ের এক অক্লান্ত প্রচেষ্টা ছিল, পরবর্তীকালে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী, এই ভবন ও জমির সংলগ্ন অংশগুলি বিড়লার হাতে তুলে দেন্। এটি প্রকৃতপক্ষে সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের এক সম্পত্তি ছিল। ১৯৭৮ সালে, কলকাতার বিড়লা ইন্ডাস্ট্রিয়্যাল মিউজিয়্যামটি, দ্য ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ সায়্যন্স মিউজিয়্যামের (এন.সি.এস.এম) আওতায় আনা হয়। এই যাদুঘরের মৌলিক উদ্দেশ্য হল বিজ্ঞানের জন্য আকাঙ্খার আহ্বান করা ও বিশেষ করে ছাত্রদেরকে, ভর্ সম্পর্কে প্রযুক্তিগত ধারনা প্রদান করা।
বিস্তারিত তথ্য…
কলকাতার রবীন্দ্র ভারতী মিউজিয়্যাম ‘জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি’-নামেও জনপ্রিয়, এটি হল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গৃহস্থল। এটি গিরিশ পার্কের কাছে চিত্তরঞ্জন এভিন্যিউ-এ অবস্থিত। অষ্টাদশ শতাব্দীতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতামহ প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর এটির নির্মাণ করেছিলেন। এই ভবনে অনেক ঘর রয়েছে। কলকাতার রবীন্দ্র ভারতী মিউজিয়্যাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ, এটি ঠাকুর পরিবারের, বিশেষ করে অবনীন্দ্রনাথ ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সমস্ত কাজকর্মের এক উল্লেখযোগ্য সংরক্ষণাগার।
বিস্তারিত তথ্য…
কলকাতার বিড়লা আর্ট মিউজিয়্যাম হল একটি রাষ্ট্রীয় গ্যালারী, এখানে ভারতের পারম্পরিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পেশ করা হয়, পাশাপাশি এটি ভারতের সমসাময়িক শিল্প-কলার এক স্থায়ী প্রদর্শন কেন্দ্র। এটি কলকাতার রবীন্দ্র সরোবরে অবস্থিত। কলকাতার বিড়লা আর্ট মিউজিয়্যাম ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এখানে মধ্যযুগীয় সময়ের চিত্রাঙ্কন, আধুনিক শিল্প-কলা ও বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক ধ্বংসাবশেষ প্রদর্শিত হয়। সমসাময়িক ভারতীয় ভাস্কর্য্য ও চিত্রশিল্পীদের দ্বারা অনবরত প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।
বিস্তারিত তথ্য…
কলকাতার আশুতোষ মিউজিয়্যাম হল ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে শীর্ষস্থানীয় সার্বজনীন যাদুঘর। ১৯৩৭ সালে এটির প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। স্যার আশুতোষ মূখার্জ্জীর নাম অনুসারে এই মিউজিয়্যামের নামকরণ হয়। তিনি আমাদের দেশের সবচেয়ে একজন বিখ্যাত শিক্ষাবিদ ছিলেন, যিনি ইন্ডোলোজি গবেষণার প্রনয়ণ করেন যার মধ্যে স্নাতকোত্তর স্তরের ভারতীয় শিল্প-কলা ও পুরাতত্ত্বও অন্তর্ভূক্ত রয়েছে।
বিস্তারিত তথ্য…
কলকাতার গুরুসদয় মিউজিয়্যাম বাংলার সমৃদ্ধ লোকাচার ও হস্তশিল্পের প্রদর্শিত করে। এই যাদুঘরের পিছনে শ্রীগুরুসদয় দত্তের অভিপ্রায় ছিল। ইনি ব্রিটিশ ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর শাসনকালে একজন জেলা-শাসক হিসাবে কাজ করতেন।
বিস্তারিত তথ্য…
কলকাতার বোটানিক্যাল গার্ডেন, কলকাতার পরিবেশগত ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের একটি উদ্যম প্রচেষ্টা। কলকাতার বোটানিক্যাল গার্ডেন, হুগলী নদীর তীরে শিবপুরে অবস্থিত। ভারতের পুষ্প-শোভিত সম্পদের উন্নতীকরণের উদ্দেশ্য নিয়ে ১৭৮৬ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
বিস্তারিত তথ্য…
কলকাতার জুওলোজিক্যাল গার্ডেন তার পরিসীমার মধ্যে এক বিশাল প্রাণীর ভান্ডার নিয়ে গঠিত। এই জুওলোজিক্যাল গার্ডেন, সমগ্র এশিয়ায় সর্বপ্রথম এই ধরনের বাগান। এটি কলকাতার ‘বুড়ো সাহেব’ ও ‘বাঙালি বাবু’-দের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এঁরা ইউরোপীয় রাজধানী শহরগুলির সমাবস্থায় এই ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির রাজধানী, কলকাতা তৈরির উদ্দেশ্য নিয়েছিলেন।
বিস্তারিত তথ্য…
এগ্রি-হর্টিকালচার্যাংল গার্ডেন, পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার জুওলোজিক্যাল গার্ডেনের নিকটে অবস্থিত এবং এটি ভারতের সবচেয়ে এক বিখ্যাত উদ্যান-পালন সংক্রান্ত বাগান। ১৮২০ সালে উইলিয়্যাম ক্যারী দ্বারা প্রতিষ্ঠিত, এই এগ্রি-হর্টিকালচার্যারল গার্ডেনে সপুষ্পক উদ্ভিদের একটি বড় সংগ্রহ রয়েছে।
বিস্তারিত তথ্য…
আ্যকোটিকা হল কলকাতার অত্যাধুনিক বিনোদনের স্থান। প্রায় ৮-একর এলাকা নিয়ে বিস্তৃত, এটি রাজারহাটের কোচপুকুরে অবস্থিত। আ্যকোটিকা হল একটি জলজ উদ্যান (ওয়্যাটার পার্ক) যেটি ২০০০ সালে গড়ে উঠেছিল। এর থেকে মাত্র ৬ কিলোমিটার দূরে নিকো পার্ক নামে অন্য আরেকটি বিনোদনমূলক উদ্যান রয়েছে।
বিস্তারিত তথ্য…
প্রায় ৪০ একর এলাকা জুড়ে আবৃত নিকো পার্ক হল পূর্বদিকের সর্ব বৃহত্তম ও জনপ্রিয় বিনোদনমূলক উদ্যান। এই উদ্যানটি সোস্যাল আ্যকাউন্টিবিলিটি-৮০০০ (সামাজিক দায়বদ্ধতা) প্রশংসাপত্রে প্রত্যয়িত সহ বিশ্বের প্রথম সর্বসেরা চিত্তবিনোদনমূলক উদ্যানের ন্যায় বিরল কৃতিত্ব অর্জন করেছে। এশিয়ার মধ্যে প্রথম আই.এস.ও-১৪০০১ (এনভ্যারোনমেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম) এবং আই.এস.ও-৯০০১ (কোয়্যালিটিম্যানেজমেন্ট সিস্টেম)-এর প্রশংসাপত্র প্রত্যয়িত সহ ভারতের প্রথম চিত্তবিনোনমূলক উদ্যানের কৃতিত্ব অর্জন করে।
বিস্তারিত তথ্য…
স্বভূমি পূর্ব ভারতের একটি সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ ঐতিহ্যমূলক উদ্যান। স্বভূমি ভারতীয় সংস্কৃতির লালিত্য ও চারুতাকে ধরে রেখেছে যা তার পরিকাঠামোর মধ্যে দিয়ে সুন্দরভাবে রূপায়িত করা আছে। কলকাতার এক ব্যস্ততম কেন্দ্রস্থল, স্বভূমির পরিদর্শন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বিস্তারিত তথ্য…
১৯৯৭ সালে সায়্যন্স সিটির নির্মাণ হয়েছিল। এটি কলকাতার উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত। সায়্যন্স সিটি হল দ্য ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ সায়্যন্স মিউজিয়্যামের একটি উদ্ভাবন। সায়্যন্স সিটি কেবলমাত্র একটি চিত্তবিনোদনমূলক উদ্যানই নয়, এই ক্ষেত্র থেকে আপনি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উপর প্রচুর জ্ঞান লাভ করতে পারবেন। সমস্ত বয়সের মানুষই এই সায়্যন্স সিটি ভ্রমণ উপভোগ করে।
বিস্তারিত তথ্য…
কলকাতায় মিলেনিয়াম পার্ক বিবাদী বাগের কাছে স্ট্র্যান্ড রোডে হুগলী নদীর তীরে অবস্থিত। মিলেনিয়াম পার্ক ২০০০ সালের ১-লা জানুয়ারী প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং কলকাতায় এই ধরনের উদ্যান হিসাবে এটিই গড়ে উঠেছিল। এটি সমস্ত বয়সের মানুষের জন্যই এক চিত্তবিনোদনমূলক উদ্যান।
বিস্তারিত তথ্য…
নলবন বোটিং কমপ্লেক্স হল শহরের এক সবচেয়ে সুন্দর পিকনিকের জায়গা। এটি মূলত একটি বোটিং কমপ্লেক্স যেখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের নৌকায় চেপে নৌকা-বিহারের আনন্দ অনুভব করতে পারেন। যারা প্রকৃতির মহিমা ও লাবণ্যের অন্তরে তাদের মূল্যবান সময় কাটাতে চায় সেই সমস্ত মানুষকে এই স্থানটি আকৃ্ষ্ট করে।
বিস্তারিত তথ্য…
পশ্চিমবঙ্গে, কলকাতার ক্লাউন টাউন একটি খুবই জনপ্রিয় চিত্তবিনোদনমূলক উদ্যান। এটি শিশুদের খুবই পছন্দের গন্তব্যস্থল। ক্লাউন টাউন কলকাতার ইস্টার্ন মেট্রোপলিটোন্ বাইপাস্ রোডে অবস্থিত। এটি কলকাতায় সর্বপ্রথম শিশু উদ্যান। উদ্যানটির অভ্যন্তরীণ সমস্ত কিছুই শিশুদের পছন্দের কথা মাথায় রেখেই তৈরি করা হয়েছে।
বিস্তারিত তথ্য…
সুন্দরবন কলকাতার নিকটবর্তী সবচেয়ে প্রসিদ্ধ স্থান। সুন্দরবন হল বিশ্বের সবচেয়ে বৃহত্তম ম্যানগোভ অরণ্য। এটি গঙ্গার সম্মুখে আচ্ছাদিত রয়েছে এবং ভারত ও বাংলাদেশ-এই দুই দেশের অঞ্চল নয়ে গঠিত এক বিশাল এলাকায় প্রসারিত রয়েছে। সুন্দরবন জোয়ার-ভাঁটার পরস্পরের দ্বারা সংযুক্ত রয়েছে। এটি পরিবেশগত অগ্রগতির একটি চমৎকার উদাহরণ। এই এলাকা তার বৃহৎ প্রজাতির প্রাণীজগতের জন্য পৃথিবীব্যাপী পরিচিত। সুন্দরবনের সবচেয়ে বিখ্যাত প্রাণী হল রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার।
চন্দননগর, কলকাতা থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এটি একটি প্রাক্তন ফরাশী উপনিবেশ। চন্দননগরের ইতিহাস এটিকে কলকাতার নিকটবর্তী সবচেয়ে পরিদর্শনীয় স্থান হিসাবে গড়ে তুলেছে। চন্দননগর, গঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত। ফরাশী ঔপনিবেশিক ঐতিহ্য চন্দননগরকে তার পার্শ্ববর্তী স্থানগুলি থেকে এটিকে স্বতন্ত্র করে তুলেছে। কলকাতা থেকে রেলের মাধ্যমে খুব সহজেই চন্দননগরে পৌঁছানো যায়। এছাড়াও ড্র্যাইভ করেও আপনি চন্দননগরে যেতে পারেন।
বিস্তারিত তথ্য…
কৃষ্ণনগর হল নদীয়া জেলার সদর-দপ্তর। এটি কলকাতা থেকে ১১৮ কিলোমিার উত্তরে অবস্থিত। কৃষ্ণনগরে দর্শনীয় স্থানগুলির মধ্যে রয়েছে রাজবাড়ি (রাজকীয় প্রাসাদ) ও রোমান্ ক্যাথলিক গির্জা।
* সর্বশেষ সংযোজন : ২৭ - শে মার্চ, ২০১৫