শহীদ মিনার, কলকাতা
১৯৪৮ সালে স্যার ডেভিড অকটারলোনি দ্বারা কলকাতায়, পশ্চিমবঙ্গের শহীদ মিনার নির্মিত হয়েছিল যা ১৮১৪ থেকে ১৮১৬ সাল অবধি চলাকালীন নেপালর যুদ্ধে তার অভূতপূর্ব সফলতার অমর কাহিনিকে চিহ্নিত করে। প্রায় ৪৮ মিটার উঁচু এই আকাশচুম্বী স্মৃতিস্তম্ভ, তার সকল প্রান্ত থেকে উজ্জ্বল আলোর একটি কৃত্রিম দীপ্তিমান্ ঝরনা দ্বারা উদ্ভাসিত হয়ে, কলকাতার কেন্দ্রে অবস্থিত ময়দান অঞ্চলের রাতের আকাশে আলোকিত ভাবে বিরাজমান।
কলকাতার শহীদ মিনার, আক্ষরিক অর্থে ‘শহীদদের স্তম্ভ’, যা প্রকৃতপক্ষে এই ব্যস্ততম আনন্দ নগরীর একটি মনোরম দৃশ্য।
- ময়দানের উত্তর পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত।
- এটি সকাল ১০-টা থেকে বিকাল ৬-টা অবধি দর্শকদের জন্য খোলা থাকলেও, এই স্থান পরিদর্শনের সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হল সকাল ১০-টা থেকে ১২-টা ও বিকাল ৪-টে থেকে সাড়ে পাঁচটা।
- প্রবেশাধিকার বিনামূল্যে।
- এই টাওয়ারে প্রবেশাধিকার পেতে হলে, লাল বাজার শাখার পুলিশ উপ-কমিশনারের কাছ থেকে একটি বিশেষ প্রবেশাধিকার পত্র নিতে হয়।
- নিকটস্থ রেলওয়ে স্টেশন হল হাওড়া রেলওয়ে স্টেশন।
- ফটো তোলা কড়াকড়ি ভাবে নিষিদ্ধ।
- নিকটস্থ বিমানবন্দর হল নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।
কলকাতার শহীদ মিনার, বিখ্যাত ব্রিটিশ স্থপতি জে.পি. পার্কার দ্বারা পরিকল্পিত। খুব মনোযোগ সহকারে পরিদর্শন করলে সহজেই বোঝা যায় – এই নির্মানকার্যে সিরিয়া, মিশরীয় এবং তুর্কি প্রকৌশলবিদ্যার একটি সূক্ষ্ম সংমিশ্রণ আছে। আপনি যদি প্রবল ক্ষমতাশালী ব্যক্তি হন, তাহলে আপনি কলকাতার শহীদ মিনারের চূড়া আরোহণের কৃতিত্ব নিতে পারেন। শহীদ মিনার-এর শিখরে পৌঁছানোর জন্য আপনাকে মোট ২১৮-টি সিঁড়ি আরোহণ করতে হবে। কিন্তু একবার যদি আপনি সেখানে পৌঁছতে পারেন, তাহলে আনন্দ নগরীর প্রাকৃতিক দৃশ্য আপনাকে চকিত করবেই এটা নিশ্চিত।
হৃদরোগীদের এই চূড়া আরোহণ নিষিদ্ধ।
* সর্বশেষ সংযোজন : ৩০ - শে মার্চ, ২০১৫