সেন্ট পল’স ক্যাথিড্রাল, কলকাতা
কলকাতায় সেন্ট পল’স ক্যাথিড্রাল হল কলকাতা শহরের সবচেয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থান। এই গির্জাটি সম্পূর্ণ হতে এক দীর্ঘ সময় নিয়েছিল। দীর্ঘ ৮ বছর ধরে নির্মাণ কার্য চলার পর অবশেষে ১৮৪৭ সালে এই ইমারতটি সম্পূর্ণ হয়। কলকাতার সেন্ট পল’স ক্যাথিড্রাল ইমারতটির স্থাপত্য চমৎকারভাবে মেজর নৈইর্ন ফোর্বস-এর দ্বারা সুপরিকল্পিত হয়েছিল। তিনি সি.কে.রোবিনসন্ নামে অন্য আরেকজন স্থপতির সহায়তা গ্রহণ করেন। এটির শৈলী হল এক অনন্য স্থাপত্যের। সারা বিশ্ব থেকে আগত মানুষেরা এই গির্জার দর্শনে তার সৌন্দর্যে চমকিত হয়ে যায়।
সেন্ট পল’স ক্যাথিড্রাল-এর ট্যাওয়ার ও কুন্ডলীর অধিকাংশই হল নরউইচ ক্যাথিড্রালের স্থাপত্যবিদদের অনুপ্রেরণার ফলাফল। দুর্ভাগ্যবশত, ১৯৩৪ সালে সেখানে এক বিধ্বংসী ভূমিকম্প হয়। এই দু্র্যোগের পর কলকাতা খুব নির্দয়ভাবে প্রভাবিত হয়ে পড়ে। অন্যদের ন্যায় কলকাতা সেন্ট পল’স ক্যাথিড্রালও এর ব্যতিক্রম ছিল না। এই প্রকোপ থেকে এটিও রেহাই পায়নি। সেন্ট পল’স ক্যাথিড্রালও এই কম্পন প্রতিহত করতে পারেনি এবং এই দূর্গ বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে। তবে, ক্যান্টারবারীর বেল হ্যানরী সেই সারি অনুসরণ করে এই দূর্গটিকে পুনঃনির্মিত করে তুলেছিলেন।
কলকাতায় সেন্ট পল’স ক্যাথিড্রাল খুবই সু-পরিচর্যিত। এটি নির্মল ও শান্তিপূর্ণতার এক উদাহরণ। এই ক্যাথিড্রাল-এ ধর্ম বা জাতি সংক্রান্ত কোনও পক্ষপাতিত্ব নেই এবং এখানে সর্ব-ধর্মে বিশ্বাসী মানুষ অভিপ্রেত। এখানে নিয়মিতভাবে সেবা অনুষ্ঠিত হয়। খ্রীস্টমাসের সময় এই গির্জা উৎসবের চেহারা নেয়। পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার মানুষ আনন্দ ও উল্লাস উপভোগ করতে প্রচুর সংখ্যায় এখানে জড়ো হয়। গির্জার পার্শ্ববর্তী ক্ষেত্রও সৌন্দর্যময়। এর দক্ষিণ অংশে এক-তলা ভবন রয়েছে যেটি মাঝেমাঝে বৈবাহিক অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত হয়। নিঃসন্দেহে এটি, প্রাঙ্গনটির রক্ষণাবেক্ষনের জন্য তহবিল সংগ্রহের একটি উপায়।
* সর্বশেষ সংযোজন : ০৬- ই এপ্রিল, ২০১৫