কলকাতা পর্যটন
ভারতের বিভিন্ন মানচিত্র

কলকাতা ধর্মীয় স্থান

Religious Places of Kolkata in Bengali

কলকাতায় ধর্মীয় স্থান

কলকাতা ভারতের এক আধ্যাত্মিক কেন্দ্রস্থল হিসাবে পরিচিত। কলকাতায় ধর্মীয় স্থানগুলি, এই শহর ও শহরের মানুষের ধর্মনিরপেক্ষ প্রকৃতিকে প্রতিফলিত করে।

পশ্চিমবঙ্গের ক্যালকাটা পরবর্তী কলকাতা ব্রিটিশদের দ্বারা স্থাপিত হয়েছিল। ব্রিটিশরা ভারতীয় উপমহাদেশের একটি প্রশাসনিক কেন্দ্র হিসাবে কার্য-সম্পাদনার জন্য কলকাতার নির্মাণ করেছিলেন। পুরাতন মাতৃভূমি ছেড়ে আসা মানুষেরা তাদের খ্রীস্টান ধর্মের আস্থাকে প্রতিফলিত করতে গির্জাগুলির নির্মাণ করেছিলেন। বহুদূরের ভূমি থেকে বিজয়ীদের দ্বারা নিয়ে আসা সেই ধর্ম-বিশ্বাস কলকাতার ধর্মীয় স্থানগুলিতে আজকের দিনেও অবশিষ্ট রয়েছে।

কলকাতার মানুষদের মধ্যে বাঙালীদের আধিপত্য রয়েছে যারা হিন্দু ধর্ম ও তার রীতিনীতি অনুসরণ করে চলে। কলকাতার মিশ্র ভারতীয় ও ইউরোপীয় জনসংখ্যা আজও অব্যাহত রয়েছে যা একটি ধর্মনিরপেক্ষ মনোভাবকে উৎসাহ জাগিয়ে এসেছে। কলকাতার ধর্মীয় স্থানগুলি এই শহরের ও শহরের মানুষের ধর্মনিরপেক্ষতার প্রকৃতিকে প্রতিফলিত করে। কলকাতার ধর্মীয় স্থানগুলি এখানকার বাসিন্দাদের ধর্মীয় প্রকৃতি সত্ত্বাকে পুনর্ব্যক্ত করে তোলে। এটি কোনও বিরল দৃশ্য নয় যে এখানে একই প্রাঙ্গনে পাশাপাশি মন্দির ও মসজিদ বিদ্যমান রয়েছে।

কলকাতায় প্রধান ধর্মীয় স্থানগুলি নিম্মলিখিত রূপে অন্তর্ভূক্ত রয়েছেঃ

  • কালীঘাট মন্দির –

  • কলকাতার হিন্দু ধর্মীয় তীর্থস্থানগুলির মধ্যে এক অন্যতম হল কালীঘাট মন্দির। এই দেবালয়ের ভিতরে অধিষ্ঠিত দেবী কালীর মূর্তির জন্য এই মন্দিরটি বিখ্যাত। কালীঘাট মন্দিরটি ১৮০ একর জায়গা জুড়ে রয়েছে।

  • দক্ষিণেশ্বর মন্দির –

  • দক্ষিণেশ্বর মন্দির ১৮৪৭ সালে রাণী রাসমণির দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। এক বিখ্যাত হিন্দু আধ্যাত্মিক গুরু, শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব এখানে পূজা করতেন। এটি কলকাতার এক প্রধান হিন্দু ধর্মীয় স্থান হিসাবে গণ্য হয়।

  • সেন্ট পল’স ক্যাথিড্রাল –

  • সেন্ট পল’স ক্যাথিড্রাল, ব্রিটিশ রাজের এক প্রত্যক্ষ শাখা ছিল। এই সেন্ট পল’স ক্যাথিড্রাল ১৮৪৭ সালে স্থাপিত হয়েছিল। এটি কলকাতার এক সর্বোত্তম খ্রীষ্টান ধর্মীয় স্থান রূপে গণ্য হয়। সেন্ট পল’স ক্যাথিড্রাল হল একটি ৬৫ মিটার উচ্চ দূর্গ যুক্ত এক বিশাল প্রাসাদ।

    * সর্বশেষ সংযোজন : ০৯ - ই এপ্রিল, ২০১৫