জুওলোজিক্যাল গার্ডেন
কলকাতার জুওলোজিক্যাল গার্ডেনের পরিসীমার মধ্যে প্রচুর প্রাণীর ভাণ্ডার রয়েছে। সমগ্র এশিয়ার মধ্যে প্রথম জুওলোজিক্যাল গার্ডেন, ‘বুড়ো সাহেব’ এবং কলকাতার ‘বাঙ্গালী বাবুদের’ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত, যারা তৎকালীন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির রাজধানী কলকাতাকে ইউরোপীয় রাজধানী শহরগুলির ন্যায় তৈরি করতে চেয়েছিলেন।
কলকাতার জুওলোজিক্যাল গার্ডেন একটি বিশাল এলাকার উপর প্রায় ১০০ একর জমি জুড়ে অবস্থিত, যা ভারতের এক বৃহত্তম এবং প্রাচীনতম চিড়িয়াখানা। উদ্ভিদ আর প্রাণীকুলের অভান্তরে অবস্থিত জুওলোজিক্যাল গার্ডেনে যে কেউ খুঁজে পেতে পারেন বাঘ, সিংহ, হাতি থেকে বিশ্ব জুড়ে আগত বিরল প্রজাতির শীতকালীন পাখি পর্যন্ত।
কলকাতার জুওলোজিক্যাল গার্ডেনে উপলব্ধ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রাণী হল: –
- সাদা বাঘ
- রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার
- মণিপুরের সাঙ্গাই হরিণ
- হাতি
- একটি ২৫০ বছর বয়সী কচ্ছপ
- জলহস্তী
- সাইবেরিয়া থেকে অভিবাসী পাখি
- জিরাফ
- এশীয় সিংহ
- গণ্ডার
- উট
- কৃষ্ণসার মৃগ
- ঘোড়া
- ময়ূর
- সারা ভারতের সকল প্রকার রঙিন পাখি
- সাপ
- কুমির, ইত্যাদি।
প্রাণীবিদ্যার ক্ষেত্রে অবদানের জন্য কলকাতার জুওলোজিক্যাল গার্ডেন আলিপুর চিড়িয়াখানা নামেও পরিচিত। জুওলোজিক্যাল গার্ডেন, লুপ্তপ্রায় মণিপুরের সাঙ্গাই হরিণ প্রজননের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এটি একটি প্রথম ও অন্যতম চিড়িয়াখানা যেখানে দো-আঁশলা প্রজাতি লিটিগন এবং টিগিয়নের জন্ম হয়েছে।
শীতকালে এই জুওলোজিক্যাল গার্ডেন পরিদর্শন করা ভ্রমণকারীদের জন্য একটি আদর্শ সময়, কারন বিভিন্ন শীতকালীন দেশের পাখিরা শীতযাপনের জন্য এখানে আসে। এছাড়াও উল্লিখিত যে, এই চিড়িয়াখানায় বিভিন্ন প্রজাতির সরীসৃপদের জন্য বহু “ভবন” বা ইমারত আছে। ছোপ ছোপ দাগওয়ালা বিরল প্রজাতির অজগর ও গোখরো হল এখানকার একটি আশ্চর্যকর দৃশ্য।
অতএব, আমরা জুওলোজিক্যাল গার্ডেনে একই ছাদের নীচে বিভিন্ন রকমের প্রাণী দেখতে পাই, যা সত্যিই বিরল।
* সর্বশেষ সংযোজন : ১৮- ই মার্চ, ২০১৫