সেন্ট জন’স চার্চ, কলকাতা
কলকাতার সেন্ট জন’স চার্চ হল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি দ্বারা নির্মিত প্রথম সার্বজনীন ইমারত। ১৭৮৭ সালে এটির নির্মাণ করা হয়েছিল। এই গির্জাটি ‘প্রস্তর গির্জা’ (দ্য স্টোন চার্চ) নামেও পরিচিত। সেন্ট জন’স চার্চ পশ্চিমবঙ্গের, কলকাতার বিবাদী বাগে অবস্থিত।
কলকাতার সেন্ট জনস চার্চ হল ভারতের সর্বপ্রথম অ্যাংলিকান বা বিলেতি গির্জা। সমস্ত অ্যাংলিকান গির্জাগুলি ইংল্যান্ডের গির্জাগুলির রীতিনীতির পদ্ধতি মেনে চলে। বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর গির্জা হিসাবে পরিচিত, লন্ডনের জনপ্রিয় সেন্ট মার্টিন-ইন-দ্য-ফিল্ড গির্জার ধাঁচে এটির স্থাপণ করা হয়েছিল। স্তম্ভসহ বুরুজ ও বারান্দার সুন্দর সংমিশ্রণ, সময়ের সাথে ঔপনিবেশিক গির্জা স্থাপত্যের আদর্শে পরিণত হয়েছে। কলকাতার এই সেন্ট জন’স চার্চের অভ্যন্তরীণ কারুকার্যের মধ্যে গ্রীক স্থাপত্যের বৈশিষ্ট্য প্রতিফলিত হয়।
কলকাতার এই বিশাল সেন্ট জন’স চার্চের ভিতরে, একটি বেদি আছে এবং স্বর্গীয় আর্চ-বিশপ্ ক্যান্টারবারীর বেশ কিছু বিরল প্রতিমূর্তিও রয়েছে। তবে এখানকার মূল আকর্ষণ হল বিখ্যাত জার্মান চিত্রকার ইয়োহান জোফ্ফানি দ্বারা অঙ্কিত ‘লাস্ট সাপার’-যা একটি উল্লেখযোগ্য চিত্রণ।
সেন্ট জন’স চার্চের ভিতরে একটি সমাধি ক্ষেত্র রয়েছে। সেখানে কলকাতার প্রতিষ্ঠাতা জব চার্ণক, আ্যডমিরাল ওয়াটসন্, জুলিয়াস ইমহোফ এবং আরোও অনেকের কবরস্থান রয়েছে।
খ্রীষ্টমাসের সময়, এই গির্জা একটি উৎসবের কেন্দ্র হয়ে ওঠে।
দিগদিগন্ত থেকে অনেক মানুষ সৌন্দর্য এবং জাঁকজমকের জন্য কলকাতার সেন্ট জন’স চার্চে আসে। এর নির্মলতা আপনাকে এক শাশ্বত সুখের অনুভূতি প্রদান করে। এখানকার ঐতিহ্যগত স্থাপত্য, চিত্র এবং কবরস্থানগুলি আপনাকে অতীতের দিনগুলিতে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে।
* সর্বশেষ সংযোজন : ২৭ - শে মার্চ, ২০১৫