চন্দননগর
চন্দননগর হল পশ্চিমবঙ্গে কলকাতার নিকটবর্তী একি প্রাক্তন ফরাশী উপনিবেশ। আপনি যদি প্রবাসী ভারতীয় হন তবে অবশ্যই চন্দননগর একটি দর্শনীয় স্থান।
চন্দনগর গঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত। এটি কলকাতা থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। চন্দননগর কলকাতার সঙ্গে সড়ক ও রেলপথ দ্বারা খুবই দারুণভাবে সু-সংযুক্ত রয়েছে।
চন্দননগরে প্রচুর আকর্ষণীয় স্থান রয়েছে। চন্দননগরে আকর্ষণীয় স্থানগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল –
- চন্দননগর তীরভূমি-
- চন্দননগর মিউজিয়্যাম আ্যন্ড ইনস্টিটিউট –
- চন্দননগর চার্চ –
- পাতাল বাড়ি –
- প্রাচীন মন্দিরসমূহ –
গঙ্গা নদীর তীর বরাবর এটি একটি খুবই সুন্দর পর্যটন স্থল। চন্দননগরের তীরভূমিতে সারিবদ্ধ আলোক দ্বারা সুন্দরভাবে সুসজ্জিত পদচারণার পথ রয়েছে। এটি ১ কিলোমিটার লম্বা ও ৭ মিটার চওড়া। ঐতিহাসিক গুরুত্বের প্রচুর ইমারত এই স্থানটিকে ঘিরে রয়েছে। চন্দননগর তীরভূমি স্থানীয়দের মধ্যে খুবই জনপ্রিয়।
এটি পূর্বাঞ্চলে এই ধরনের সবচেয়ে সুন্দর ও প্রাচীনতম যাদুঘর। চন্দননগর মিউজিয়্যাম আ্যন্ড ইনস্টিটিউট-এ ফরাশী স্মারকের চমৎকার সংগ্রহ রয়েছে যা বিশ্বজুড়ে অতুলনীয়।
চন্দননগর চার্চ-এ ঔপনিবেশিক সময়ের ফরাশী স্থপতির শৌর্য্য প্রতিফলিত হয়। ফরাশী ভাষায় শেখানোর জন্য এখানে শিক্ষা দেওয়া হয়।
পাতাল বাড়ি হল ঔপনিবেশিক সময়কালে নির্মিত ভূ-গর্ভস্থ ঘর। এই বাড়ির এক অনন্য বৈশষ্ট্য হল এর সর্বনিম্ন তল গঙ্গা নদীতে নিমজ্জিত রয়েছে। বিখ্যাত সমাজ সংস্কারক ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এবং নোবেল বিজয়ী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বেশ কিছু সময় এই বাড়িতে অতিবাহিত করেছিলেন।
চন্দননগরে এমন অনেক মন্দির রয়েছে যেগুলি ষোড়শ শতাব্দীর পুরনো। এই মন্দিরগুলি উজ্জ্বল কারিগরি নৈপূণ্য ও শিল্পকুশলতার প্রবৃত্তিকে প্রদর্শিত করে।
চন্দননগর তার মিষ্টির জন্যও সু-প্রসিদ্ধ। ‘জলভরা সন্দেশ’ হল এর একটি সু-স্বাদু উদাহরণ।
* সর্বশেষ সংযোজন : ০৮- ই এপ্রিল, ২০১৫
|