পশ্চিম বঙ্গ
ভারতের বিভিন্ন মানচিত্র

পশ্চিমবঙ্গ উন্নয়ন কেন্দ্র

West Bengal Growth Centers Map in Bengali

পশ্চিমবঙ্গ উন্নয়ন কেন্দ্র

ভারতে উন্নয়ন কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠা, রাজ্যগুলির দ্বারা এবং রাজ্য তথা জাতীয় সার্বিক উন্নয়নের কৌশল কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা গৃহীত হয়েছে। গ্রামীণ উন্নয়ন ও শহর-গ্রামীণ একত্রীকরণের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। ১৯৬৯ থেকে ১৯৭৪ সালের “চতুর্থ পঞ্চ-বার্ষিকী পরিকল্পনা”-য় গবেষণা প্রকল্পের উদ্বোধনের জন্য বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন উন্নয়ন কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠার স্বীকৃতির জন্য ২০-টি তদন্ত ও গবেষণা কোষের প্রতিষ্ঠাকরণ হয়েছিল।

ভারতের এক অন্যতম অর্থনৈতিক কেন্দ্রস্থল পশ্চিমবঙ্গ, সমস্ত রাজ্য জুড়ে আধুনিকীকরণ পরিকাঠামো সহ উন্নয়ন কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠায় এক উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার, উন্নয়ন কেন্দ্র তৈরিতে “পশ্চিমবঙ্গ শিল্প পরিকাঠামো উন্নয়ন নিগম” বা ওয়েস্ট বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়্যাল ইনফ্রাস্ট্র্যাকচার ডেভলোপম্যান্ট কর্পোরেশন (ডব্লু.বি.আই.আই.ডি.সি) -এর সাহায্য গ্রহণ করেছে।ওয়েস্ট বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়্যাল ইনফ্রাস্ট্র্যাকচার ডেভলোপম্যান্ট কর্পোরেশন (ডব্লু.বি.আই.আই.ডি.সি), পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চলে ১২-টি উন্নয়ন কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠা করেছে; যেমন-কল্যাণী (ফেজ্ ১,২,৩), উলুবেড়িয়া, ফলতা, রাণীনগর, বিষ্ণুপুর, কোচবিহার, ডাবগ্রাম, মালদা, খড়গপুর ও হলদিয়া। এগুলি ছাড়াও বোলপুর, জলপাইগুড়ি ও মালদা (ফেজ্ ২), এই তিনটি উন্নয়ন কেন্দ্রও আসন্ন।

এছাড়াও ইলেকট্রনিক্স শিল্পের জন্য অভিজাত উন্নয়ন কেন্দ্র; যেমন – দুর্গাপুরে “এক্সপোর্ট প্রোসেশিং ইন্ডাস্ট্রিয়্যাল পার্ক” (রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ শিল্প উদ্যান), সল্টলেকে “সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক” এবং ফলতায় “এক্সপোর্ট প্রোসেশিং জোন্” (রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ ক্ষেত্র)-রেও এই রাজ্যে উত্থান হয়েছে।

রাজ্যের শিল্প-কলার পরিকাঠামোকেও, উন্নয়ন কেন্দ্রগুলির সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে; সেগুলির মধ্যে রয়েছে-ভূমি উন্নয়ন, জল সরবরাহ, অভ্যন্তরীণ নিষ্কাশন ও নিকাশী ব্যবস্থা, শিল্পায়ন ছাউনী, বিদ্যুৎ সরবরাহ, সড়ক বিজলী ব্যবস্থা ইত্যাদি। আসন্ন উন্নয়ন কেন্দ্রের তলিকায় অন্যান্য যে সমস্ত সুবিধা অন্তর্ভূক্ত রয়েছে; সেগুলি হল – টেলিফোন্, পোস্ট-অফিস, ব্যাংক, দমকল বিভাগ (ফায়ার স্টেশন্), শপিং কেন্দ্র (কেনাকাটার কেন্দ্র), বিনোদনমূলক কেন্দ্র, পুলিশ ফাঁড়ি ইত্যাদি।

এছাড়াও, “পশ্চিমবঙ্গ শিল্প পরিকাঠামো উন্নয়ন নিগম”[ওয়েস্ট বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়্যাল ইনফ্রাস্ট্র্যাকচার ডেভলোপম্যান্ট কর্পোরেশন (ডব্লু.বি.আই.আই.ডি.সি)]-ইন্ডাস্ট্রিয়্যাল পার্ক বা শিল্প উদ্যানের উন্নতির পথকেও সুগম ও অগ্রসর করেছে। এগুলির মধ্যে বেশ কিছু নিম্মলিখিত রূপে বর্ণনা করা হলঃ-

  • মণিকাঞ্চন সেজ্ (এস.ই.জি), সল্টলেক, কলকাতা।
  • আ্যপারেল এক্সপোর্ট পার্ক, উলুবেড়িয়া, হাওড়া জেলা।
  • ৫ – শিল্পাঙ্গন্ (ল্যাইট ইঞ্জিনীয়ারিং পার্ক), সল্টলেক, কলকাতা।
  • গারমেন্ট পার্ক, কলকাতা
  • পলি পার্ক, হাওড়া জেলা
  • ফুড পার্ক (ফেজ্-৷ এবং ৷৷), হাওড়া জেলা
  • রাবার পার্ক, সাঁকরাইল, হাওড়া জেলা
  • স্টীল পার্ক (ফেজ্-৷ এবং ৷৷), বাঁকুড়া জেলা
  • বায়্যোটেক পার্ক বায়্যো, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা
  • আয়রন আ্যন্ড স্টীল পার্ক, খড়গপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা
  • ফাউন্ড্রি পার্ক, হাওড়া
  • আয়রন আ্যন্ড স্টীল পার্ক, গুপ্তমোনি, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা।

পশ্চিমবঙ্গে বেশ কিছু একচেটিয়া ইনটেলিজ্যান্ট পার্ক (বুদ্ধিমত্তা ভবন) রয়েছে; যা অন্যতম আই.টি কোম্পানি (তথ্য প্রযু্ক্তি সংস্থা)-গুলির নিউক্লিয়াস। অনেক ব্যাক্তিগত উদ্যোক্তারাও উচ্চ-কারিগরি বিদ্যা ভবন ও পার্ক নির্মাণে অবদান রেখেছে। এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ বেশ কিছু মেগা “আই.টি” প্রকল্প আরম্ভ করার প্রস্তুতি নিয়েছে। যে সমস্ত আই.টি পার্ক (তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্র) ইতিমধ্যেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তাদের একটি তালিকা নীচে দেওয়া হলঃ-

  • টেকনোপলিস সেক্টর – V, সল্টলেক
  • ইনফিনিটি বেঞ্চমার্ক সেক্টর – V, সল্টলেক
  • গ্লোবসীস ক্রিস্ট্যালস সেক্টর – V, সল্টলেক
  • ইনফিনিটি ওয়াটারসাইড সেক্টর – V, সল্টলেক
  • দ্য হাব সেক্টর – V, সল্টলেক
  • মিলেনিয়াম সিটি সেক্টর – V, সল্টলেক
  • বেঙ্গল ইন্টেলিজেন্ট পার্ক সেক্টর – V, সল্টলেক।

* সর্বশেষ সংযোজন : ১৪ - ই এপ্রিল, ২০১৫