পশ্চিম বঙ্গ
ভারতের বিভিন্ন মানচিত্র

পশ্চিমবঙ্গে পরিদর্শন-মূলক স্থান

Places to Visit in West Bengal

পশ্চিমবঙ্গে পরিদর্শন-যোগ্য স্থান

পশ্চিমবঙ্গ আকর্ষণ, পর্যটকদের আকর্ষণীয় পর্যটন স্থলের চাহিদায় রাজ্যে প্রচুর আকর্ষণীয় পর্যটন স্থল পরিদর্শনের চমৎকার সুযোগ নিবেদন করে। পশ্চিমবঙ্গ একটি অপরিমিত পর্যটন সম্ভাবনায় আশির্বাদিত। পশ্চিমবঙ্গের এক গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য হওয়ায় পশ্চিমবঙ্গে সারা বছর ধরে প্রচুর পর্যটকদের ভিড় হয়, তারা এই পর্যটন স্থলগুলির ব্যাপক সমাগম তাদেরকে শিহরিত করে তোলে।

বিভিন্ন প্রকারের রাজ্যিক যাদুঘর থেকে অনন্য কলা ভবন এবং বিভিন্ন শিক্ষা ও বিনোদন কেন্দ্র থেকে প্রযু্ক্তিগত বিস্ময়কর, এই পশ্চিমবঙ্গ আকর্ষণ পর্যটকদেরকে এক প্রাচুর্য্যময় গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন স্থল বেছে নেওয়ার সুযোগ প্রদান করে। পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন আকর্ষণের মধ্যে দিয়ে এই রাজ্যের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও ঐতিহ্যগত প্রথা প্রতিফলিত হয়, যা আধুনিক যুগের ক্ষেত্রে এক আলোড়নের সৃষ্টি করে।

সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সঙ্গে সমন্বয় রেখে, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন যাদুঘরগুলি রাজ্যের সমৃ্দ্ধ ঐতিহাসিক অতীতের ধ্বংসাবশেষকে বহন করে চলেছে। যে কেউ এই যাদুঘরগুলিতে গেলে পশ্চিমবঙ্গের হারানো গৌরব ও আড়ম্বরতা আজও অনুভব করতে পারবেন, এগুলিতে পুরাকালের খন্ডাংশ, ভাস্কর্য্য ও অতীতের নিদর্শন আধার করে রাখা আছে।

এই কলা ভবনগুলি সমৃদ্ধ শৈল্পিক দক্ষতা এবং পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কল্পনাপ্রবণ সৃজনশীলতাকে প্রদর্শিত করে। কলা ভবনগুলির দীর্ঘ মহল শিল্পীদের বু্দ্ধিজীবি উন্মত্ততার ভাবাবেগকে আলোড়িত করে। এখানে তারা তাদের শৈল্পিক কারু-কার্যের মধ্যে দিয়ে নিজস্ব আন্তরিক অনুভূতিকে প্রকাশিত করে।

পশ্চিমবঙ্গ অনেক উদ্যান ও বাগানের দ্বারা আশির্বাদিত রয়েছে যেগুলি শিক্ষা ও দর্শক বিনোদন -এই দ্বৈত ভূমিকায় সম্পাদন করে। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়্যালের চমৎকৃত সাদা স্মৃতিসৌধ আমাদের দেশে এক সময়কালে ব্রিটিশ যুগকে মনে করিয়ে দেয় ও ঐতিহাসিক জ্ঞানে আমাদেরকে সমৃদ্ধ করে তোলে। এই আকর্ষণীয় বাগানগুলি তাড়াহুড়ো পূর্ণ ব্যস্ততামূখর শহুরে জীবন থেকে এক অব্যাহতি প্রদান করে। সায়্যন্স সিটি পর্যটকদের বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক কার্যক্রম সম্পর্কে জ্ঞান সঞ্চয় করার এক সুযোগ প্রদান করে ও দৈনন্দিন জীবনের ধকল থেকে আমাদেরকে মুক্তি দান করে।

শহরের এক প্রান্তের সঙ্গে আরেক প্রান্তের সংযোগ-সাধনকারী এই সেতুগুলি পশ্চিমবঙ্গের ইঞ্জিনীয়ারিং কর্ম-দক্ষতার এক নিখুঁত উদাহরণস্বরূপ। পশ্চিমবঙ্গে অনেক সেতু রয়েছে যেগুলি তাদের সৌজন্যতার জন্য সারা ভারত জুড়ে সর্বোত্তম।

পশ্চিমবঙ্গে দর্শনীয় স্থান

  • নিবেদিতা সেতু

  • হুগলী নদীর উপরে অবস্থিত নিবেদিতা সেতু হল পশ্চিমবঙ্গের আকর্ষণগুলির মধ্যে একটি অবিশ্বাস্য সংযোজন। ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতু কলকাতা এবং ৩৪-নং ও ৩৫-নং জাতীয় সড়ককে দেশের অন্যান্য রাজ্যগুলির সাথে সংযুক্ত করেছে। এই সেতুকে নিবেদিতা ব্রিজ বলেও উল্লেখ করা যায়।

    বিদেশী ও ভারতীয় কিছু বিখ্যাত সংস্হার সহায়তায় নিবেদিতা সেতুটি প্রাথমিক ভাবে একটি টোল সেতু হিসাবে নির্মিত করা হয়েছিল। বর্তমানে এই সেতু ব্যস্ত সময়ে পশ্চিমবঙ্গের যানবাহন চলাচলের চাপকে অনেকাংশে হ্রাস করেছে।

    বিস্তারিত তথ্য…

  • রেস কোর্স

  • কলকাতা ময়দানের উত্তর-পশ্চিম কোণে লম্বা ভাবে অবস্থিত রেসকোর্সের ঘন সতেজ উচ্ছল শ্যামলিমা পশ্চিমবঙ্গের দ্যুতিকে এক অনন্য রঙ দেয়। বাংলার রয়্যাল টার্ফ ক্লাব দ্বারা পরিকল্পিত ও বাস্তবায়িত, রেসকোর্স ১৮২০ সালের সময়ের প্রাচীন ঐতিহ্যকে জাহির করে। নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত এই জায়গায় ঘোড়দৌড়ের আয়োজন করা হয়। এছাড়া মার্চের প্রথম সপ্তাহেও ঘোড়দৌড় আয়োজিত হয়।

    অনেক মর্যাদাপূর্ণ ঘোড়দৌড় অনুষ্ঠানের মধ্যে, রানী এলিজাবেথ কাপ এবং ডার্বি কাপ কে সবচেয়ে মর্যাদাসম্পন্ন অনুষ্ঠান হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা সারা ভারতের সর্বোচ্চ সংখ্যক দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

    ঔপনিবেশিক শাসনকালে পশ্চিমবঙ্গ ছিল প্রধান অঞ্চল,যেখানে ব্রিটিশ শাসকরা তাদের জীবনের বেশ অনেকটা সময় কাটিয়েছিলেন। ঐ সময়, বিভিন্ন ধরনের ঘোড়দৌড় আয়োজিত হত যা চিত্তবিনোদনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে গণ্য করা হত। প্রাচীন ইংরেজ ঘোড়দৌড়-এর অনুভূতিকে পুনরায় সৃষ্টি করার জন্য, ভাইসরয় এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্রিটিশগণ কলকাতায় একটি রেস কোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত নেন। পশ্চিমবঙ্গে একটি পূর্ণাঙ্গ ঘোড়দৌড় রঙ্গভূমি তৈরীর ক্ষেত্রে রয়্যাল টার্ফ ক্লাবের প্রচণ্ড অবদান ছিল।

  • ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়্যাল

  • স্থাপত্যবিষয়ক অবিতর্কিত, অদ্বিতীয় অট্টালিকা হিসাবে এবং আকর্ষণীয় পর্যটন হিসাবে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়্যাল কলকাতাকে নিঃসন্দেহে মহিমান্বিত করে। ভারতে ব্রিটিশ রাজত্বের মেয়াদের শেষের দিকে নির্মিত অকৃত্রিম সাদা দেদীপ্যমান, এই ইমারত এক শীর্ষ স্থাপত্যের ঐশ্বর্য তুলে ধরে।

    সৌধটির প্রস্তাবনা ও শাস্ত্রীয় স্থাপত্যশৈলী লর্ড কার্জনের মস্তিস্ক প্রসূত হলেও, এর পরিকল্পনাকারী স্থাপত্যবিদ স্যার উইলিয়াম এমারসন, যিনি এই নির্মাণের প্রাথমিক নকশা এবং প্রতিচিত্র বিন্যাস অঙ্কন করেছেন। সামান্য ভারতীয় ছোঁয়াসহ এই ইমারত সুসজ্জিত ইংরেজ স্থাপত্যকে প্রতিনিধিত্ব করে, এবং এই স্থাপত্য শৈলী তৎকালীন সময়ে লন্ডনের ইমারতগুলিতেও দেখতে পাওয়া যেত। স্থাপত্যবিদদের এই সৃজনশীল প্রতিভা বেলফাস্ট সিটি হলের বহির্বিন্যাস দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিল।

    বিস্তারিত তথ্য…

  • বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ

  • পশ্চিমবঙ্গের বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ চিত্রশালা, বাংলার সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার এবং চিরাচরিত ঐতিহ্যের ধ্বংসাবশেষ বহন করে। অতীতের সুবর্ণ দিনের দুর্লভ এবং অনন্য প্রাচীন নিদর্শনের ভাণ্ডার ঘর, বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ চিত্রশালা ১৯১০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।

    কলকাতার পর্যটক আকর্ষণের প্রধান গন্তব্য হিসাবে, বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ চিত্রশালা দর্শকদের প্রাচীন বাংলার সাংস্কৃতিক, ঐতিহ্যগত অগ্রগতির অভিজ্ঞতার আলোয় আলোকিত করে।

    পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রোডে অবস্থিত, বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ চিত্রশালায় সংরক্ষিত বিভিন্ন হস্ত নির্মিত দ্রব্য, পাথর এবং ধাতুর মূর্তি, স্বর্ণ ও রৌপ্য মুদ্রা এবং কলা ও কারুশিল্প বাংলার অতীত ইতিহাসের উপর আলোকপাত করে।

    বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ চিত্রশালা, পর্যটকদের এই অঞ্চলের সাংস্কৃতিক-সভ্যতার অন্বেষণের একটি চমৎকার সুযোগ দেয়। বিশিষ্ট পণ্ডিত ও বুদ্ধিজীবীদের দ্বারা সর্মথিত,বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ চিত্রশালা কলকাতা শহরের এক গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক কেন্দ্রবিন্দু। এটি রাষ্ট্র-কল্যাণ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বিশেষের মতামত প্রকাশ ও বিনিময় প্রদান করে।

  • শহীদ মিনার

  • পশ্চিমবঙ্গ সাংস্কৃতিক সংমিশ্রণের একটি সমৃদ্ধশালী নিদর্শন। এই রাজ্য একটি অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র, যার রাজধানী শহর কলকাতা, তার আকর্ষণীয় সৌন্দর্যের জন্য ‘আনন্দ নগরী’ বলে সুপরিচিত। শহীদ মিনার, কলকাতা ময়দানে অবস্থিত সতেজ দৃশ্যপট সম্পন্ন একটি ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভ যা এই শহরের এক জনপ্রিয় আকর্ষণ।

    শহীদ মিনার, ১৯৪৮ সালে স্যার ডেভিড অকটারলোনি দ্বারা নির্মিত যা ১৮১৪ থেকে ১৮১৬ সাল অবধি চলাকালীন নেপালর যুদ্ধে তার অভূতপূর্ব সফলতার অমর কাহিনীকে চিহ্নিত করে। দেশের স্বাধীনতার জন্য যারা জীবন দিয়েছিল তাদেরকে শ্রদ্ধা জানাতে, স্বাধীনতার পর এই ইমারতের নাম দেওয়া হয় শহীদ মিনার বা শহীদদের স্তম্ভ।

    বিস্তারিত তথ্য…

  • চিত্রকূট আর্ট গ্যালারী

  • ভারতীয় সংস্কৃতির উষ্ণ আসন পশ্চিমবঙ্গ, তার ইতিহাস ও ঐতিহ্যগত উত্তরাধিকারের জন্য নামাঙ্কিত। এই রাজ্য শিল্প ও সংস্কৃতির একটি প্রতিষ্ঠিত কেন্দ্র। চিত্রকূট আর্ট গ্যালারী এই রাজ্যের রাজধানী শহর কলকাতায় অবস্থিত, যেটি ‘আনন্দের শহর’- বলেও সুপরিচিত। এই গ্যালারিতে দেশের শ্রেষ্ঠ কিছু কলা নিদর্শন আছে যা প্রতিভাবান তরুণ শিল্পীদের সৃজনশীল প্রতিভার প্রদর্শন করে।

    সৃজনশীলতা এবং অভিব্যক্তির প্রাচীনতম প্রকারের মধ্যে শিল্পকলা সম্ভবত অন্যতম।
    জীবনের সকল ক্ষেত্রে মানুষ বিভিন্ন রকমের শিল্পকলার ভক্ত। অনেকে বলেন হাসি হল জীবনের শ্রেষ্ঠ ঔষধ, কিন্তু শিল্পকলা, যা আধ্যাত্মিকভাবে মানুষের হৃদয় ও আত্মাকে উত্তোলন করে-এইদুটি ঘনিষ্ঠ প্রতিদ্বন্দ্বী।

    কলকাতার ব্যস্ত রাস্তা, বিশৃঙ্খলতা, তাড়াহুড়া এবং ট্রাফিকের কর্কশ শব্দের মধ্যে শান্তিপূর্ণভাবে নির্জন প্রান্তে চিত্রকূট আর্ট গ্যালারির অবস্হান। গ্যালারিটি তার আশেপাশের কর্কশ পরিবেশের সঙ্গে বেমানান এবং এর উপশমের প্রয়োজন। ১৯৮৪ সালে ডাক্তার প্রকাশ কেজরিওয়াল এবং শ্রীমতী সুমিত্রা কেজরিওয়াল এর যৌথ উদ্যোগে গঠিত চিত্রকূট আর্ট গ্যালারি হল সমসাময়িক প্রতিভাবান শিল্পীদের এক অন্যতম মঞ্চ।

  • দ্য এশিয়াটিক সোসাইটি অফ বেঙ্গল

  • কলকাতার পার্ক স্ট্রীট এ অবস্থিত দ্য এশিয়াটিক সোসাইটি অফ বেঙ্গল হল পশ্চিমবঙ্গের একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষামূলক এবং বুদ্ধিবৃত্তিক কেন্দ্র। পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম দ্রষ্টব্য, দ্য এশিয়াটিক সোসাইটি অফ বেঙ্গল মহাদেশ জুড়ে বিভিন্ন পণ্ডিত এবং বুদ্ধিজীবীদের আকর্ষণ কেন্দ্র।

    ১৭৮৪ সালে উইলিয়াম জোনস্ দ্য এশিয়াটিক সোসাইটি অফ বেঙ্গল-এর প্রতিষ্ঠা করেন, যিনি প্রাচ্য সময়ের দৃষ্টিভঙ্গী থেকে এশিয়ান সমাজ ও সংস্কৃতির অধ্যয়ন প্রারম্ভের নেতৃত্ব দেন। এশিয়ান সমাজের বিভিন্ন দিকের বিস্তৃত এবং পুঙ্খানুপুঙ্খ গবেষণা কার্যের জন্য গবেষণা পণ্ডিতদের এক প্রধান গবেষণাগার হল-ভারতের দ্য এশিয়াটিক সোসাইটি অফ বেঙ্গল।

    এশিয়াটিক সোসাইটি অফ বেঙ্গল একটি অন্যতম গ্রন্থাগার যেখানে বহু সংখ্যক বই, পত্রিকা ও সাময়িক পত্রিকা সংরক্ষিত আছে, যা এশিয়া সমাজের সমৃদ্ধ ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে ব্যাপক জ্ঞানের সম্ভার এনে দেয়। এই গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গ্রন্থাগারে ১৭৮৪ সাল থেকে বহু ভাষার বিপুল সংখ্যক বই সংরক্ষণ করা রয়েছে যা বহু বিরল প্রাচীন পাণ্ডুলিপিতে সমৃদ্ধ ও যেগুলি প্রাচীন কালের এশিয়ান সমাজের গৌরবময় অতীতের উপর আলোকপাত করে।

    ১৮২০ সালে প্রতিষ্ঠিত ভারতের, পশ্চিমবঙ্গের এগ্রি হর্টিকালচারাল সোসাইটি এ অঞ্চলের কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করেছে। ভারতের এগ্রি হর্টিকালচারাল সোসাইটি দেশের কৃষিক্ষেত্রে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। রেভ. ডক্টর উইলিয়াম ক্যারি-র মস্তিস্কপ্রসুত এগ্রি হর্টিকালচারাল সোসাইটি, পশ্চিমবঙ্গের কৃষি ও উদ্যানজাত উৎপাদনের বৃদ্ধিতে এক নতুন দিকনির্দেশ করেছে।

    ভারতের এগ্রি হর্টিকালচারাল সোসাইটি কৃষি ও উদ্যানজাত দ্রব্য উৎপাদনে সূক্ষ্ম মানের বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত পদ্ধতি প্রয়োগ করছে। পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ-কলকাতায় অবস্থিত এগ্রি হর্টিকালচারাল সোসাইটি উচ্ছলিত বাগান এবং উদ্যানে সমৃদ্ধ। শহরের হৈ-চৈ থেকে দুরে এখানকার শান্ত ও মনোরম পরিবেশ কলকাতার মানুষদের দৈনন্দিন জীবনের মানসিক চাপ থেকে মুক্তি দেয়।

    ভারতের এগ্রি হর্টিকালচারাল সোসাইটিতে বিভিন্ন ধরনের গাছপালা দেখার অভিজ্ঞতা লাভ করবেন। পশ্চিমবঙ্গের এগ্রি হর্টিকালচারাল সোসাইটি-র প্রধান উদ্দেশ্য, পরিবেশ বান্ধব এবং দূষণ মুক্ত শহরের জন্য সচেতনতা সৃষ্টি। ভারতের এগ্রি হর্টিকালচারাল সোসাইটি একটি চমৎকার গবেষণা কেন্দ্র দ্বারা সমৃদ্ধ যা বহু আধুনিক কৃষিবিদদের ভালো কৃষি ও উদ্যানজাত পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ দেয়।

  • জেনেসিস আর্টস গ্যালারী

  • পূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার পশ্চিমবঙ্গ, বিভিন্ন সংস্কৃতির সংমিশ্রণ। রাজ্যের রাজধানী কলকাতা বিভিন্ন সাংস্কৃতিক শ্রেষ্ঠত্ব এবং বহু শিল্প গ্যালারীর কেন্দ্র হিসাবে খ্যাত। শহরের মানুষদের মধ্যে চারুকলা এবং কর্মদক্ষতার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি হল জেনেসিস আর্টস গ্যালারীর প্রধান প্রচেষ্টা।

    শিল্প জগতের বিভিন্ন উজ্জ্বল জ্যোতিষ্কের জীবন ও সময়ের সাক্ষী কলকাতা। আনন্দ নগরী কলকাতা সত্যজিৎ রায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও যামিনি রায়-এর মত সৃষ্টিশীল প্রতিভাবানদের জন্মভূমি। এই শহর শৈল্পিক কার্যকলাপে উৎসাহ দান করে এবং সম্ভাবনাময় তরুণ প্রতিভাদের প্রতিপালিত করে, কারন জনগণ, চারুকলাকে সাংস্কৃতিক বিনোদনের একটি অত্যন্ত পরিশ্রুত ও পবিত্র রূপ বলে মনে করে।

    পার্ক স্ট্রীটের ব্যস্ত রাস্তার অভ্যন্তরে অবস্থিত, জেনেসিস আর্টস গ্যালারীর চার দেওয়ালের মধ্যে শ্রেষ্ঠ শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হয়।

    এই গ্যালারী শিল্পরসিক ও চারুকলার পৃষ্ঠপোষকদের জন্য একটি জনপ্রিয় স্থান।

  • গ্যালারি লা মেয়্যার


  • বাংলা সংস্কৃতির উপকেন্দ্র পশ্চিমবঙ্গ, সাংস্কৃতিক উন্মত্ততায় সমৃদ্ধশীল। অভিজাত এলাকার প্রায় প্রতিটি কোণে কিছু আর্ট গ্যালারী আছে, যেখানে প্রতিভাবান তরুণ শিল্পীদের শিল্প প্রদর্শন করা হয়।

    গ্যালারি লা মেয়্যার হল এরকমই এক প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ প্রতিভাবান শিল্পীদের শিল্প প্রদর্শনের মাধ্যম। শ্রদ্ধেয় মাতার নামানুসারে নামাঙ্কিত গ্যালারি লা মেয়্যার, শ্রী অরবিন্দ ইন্সিটিউট অফ কালচার-এর একটি সৃজনশীল অনুমোদনের উদ্যোগ। স্বর্গীয় শিল্পীদের জীবন ও সময়কালের স্মৃতিরক্ষণের উদ্দ্যেশে এই প্রতিষ্ঠানের অর্গলমুক্ত হয়েছিল।

    শ্রী অরবিন্দ ইন্সিটিউট অফ কালচারের পবিত্র স্থান – লক্ষ্মী গৃহে গ্যাল্যারি লা মেয়্যার অবস্থিত। এই ভবন কলকাতা শিল্পচক্রের একটি জনপ্রিয় স্থান। শিল্পপ্রেমী ও চারুকলার পৃষ্ঠপোষকদের এই ভবনের গ্যালারী এবং মহলে উদাসীনভাবে পরিদর্শন করতে দেখা যায়।

    গ্যালারি লা মেয়্যার একটি পবিত্র এবং সৃজনশীল অপ্রতিরোধ্য পরিমণ্ডলকে পরিবেশন করে। অনেক গবেষক, শিল্প পন্ডিত, লেখক ও উদীয়মান চিত্রশিল্পীরা এই প্রাঙ্গনে জ্ঞান এবং অনুপ্রেরণা সংগ্রহের কাজে ঘুরে বেড়ায়। গ্যালারীর গ্রন্থাগারটি ইতিহাস ও বিভিন্ন শিল্পকলার অসংখ্য বই দ্বারা সমৃদ্ধ।

  • আর্টস একর

  • পশ্চিমবঙ্গ তার সাংস্কৃতিক উন্মত্ততা এবং প্রাচীন ইতিহাসে সমৃদ্ধ। শিল্প ও সংস্কৃতিক জগতের বিভিন্ন উজ্জ্বল জ্যোতিষ্কের জীবন ও সময়কালের সাক্ষী কলকাতা। আর্টস একর নামক কলকাতার শিল্প গ্যালারিটি প্রতিভাবান তরুণ শিল্পীদের শিল্প প্রদর্শনের জন্য একটি মঞ্চ প্রদান করে।

    বিকাশ ও সৃজনশীলতার মাধ্যম হল শিল্পকলা। প্রাগৈতিহাসিক যুগের মানুষদের গুহার দেওয়ালে অঙ্কিত মানুষ, পশু-পাখির মূর্তি ও সুন্দর ফুলের নকশা থেকে ভারতে শিল্পকলার উৎস সম্বন্ধে ধারণা করা যায়। গ্রাম্য পল্লীতে লোকশিল্পের রেওয়াজ ছিল, এবং ক্রমান্বয়ে শিল্পকলার একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় রূপ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। শহরের অভিজাত এলাকার চটকদার পরিবারের দেওয়ালে রাজস্থানী এবং মধুবনী কারুকার্যের দেওয়াল চিত্র ঝুলন্ত থাকত।

    আর্টস একর চিত্রশালার প্রচেষ্টা হল শিল্পকলার উন্নতি এবং জনগণের মধ্যে সূক্ষ্ম জ্ঞানের উন্মেষ ঘটান। এই গ্যালারি চীনামাটির কাজের জন্য প্রসিদ্ধ, তাছাড়াও এটি তরল রং, এক্রাইলিক, তৈল, ক্যানভাস, কাগজের কাজ, মিশ্র মাধ্যম ও অন্যান্য মাধ্যমে পটু প্রতিভাবান শিল্পীদের বিভিন্ন সুন্দর অঙ্কনচিত্রের জন্য সমৃদ্ধ।এই গ্যালারির এক অনন্য বৈশিষ্ট্য, শিল্পপ্রেমীদের সামর্থ্য অনুসারে চিত্রাঙ্কনগুলির ন্যায়সঙ্গত দামের কথা মাথায় রাখা হয়।

  • সিমা গ্যালারী


  • ভারতীয় সংস্কৃতির সমৃদ্ধ পীঠস্হান পশ্চিমবঙ্গ হল একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য। শিল্পকলা প্রেমীদের আর হতাশ হওয়ার প্রয়োজন নেই কারন এই শহর শিল্প গ্যালারী ও চিত্রশালায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠছে।আন্তর্জাতিক আধুনিক শিল্পের কেন্দ্র [দ্য সেন্টার অফ ইন্টার ন্যাশানাল মডার্ন আর্ট], সিমা আর্ট গ্যালারী ১৯৯৩ সালে তার দ্বার উন্মুক্ত করে এবং এটি শহরের একটি প্রধান চিত্রশালা।

    ভারতীয় গণমাধ্যমের সর্বোচ্চ রাজকীয় মাধ্যম, আনন্দ বাজার পত্রিকা লিমিটেড-এর উদ্যোগে এবং পৃষ্ঠপোষকতায় এই গ্যালারী প্রতিষ্ঠিত হয়। এই গ্যালারী এক সুন্দর এবং চমৎকার অন্দরসজ্জার অধিকারী, এখানকার শান্ত ও মনোরম পরিবেশ শিল্পপ্রেমীদের জন্য একটি নিখুঁত আধার। এই প্রদর্শশালাটি লন্ডন ও নিউ ইয়র্ক-এর গ্যালারী গুলির শৈলী অনুসরণ করে পরিকল্পিত করা হয়েছে।

    ১৩ বছরের পুরনো এই গ্যালারীটিতে বিভিন্ন ধরনের বিশ্বজনীন প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়, যা উচ্চ পর্যায়ের ভারতীয় সৃজনশীলতাকে প্রদর্শিত করে এবং প্রচুর সম্মানীয় পুরস্কার দ্বারা পুরস্কৃত হয়েছে। এছাড়াও জনসাধারণের মধ্যে শিল্প ও সংস্কৃতি প্রচার করার জন্য এবং গ্যালারীর আন্তর্জাতিক প্রতিরূপের সঙ্গে সমতা রেখে তার মান নির্ধারণ করার জন্য সিমা আর্ট গ্যালারী- মিউজিয়াম, বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়গুলির সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকল্প এবং অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

  • বিদ্যাসাগর সেতু


  • ১৯৯২ সালে নির্মিত বিদ্যাসাগর সেতু, দ্বিতীয় হুগলী সেতু নামে পরিচিত।গঠনশীল উৎকর্ষের প্রকাশ স্বরূপ, পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যাসাগর সেতু রাজধানী শহর কলকাতা ও হাওড়ার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ রূপে কাজ করে। এই সেতু নিয়মিত ৮৫,০০০ যানবাহন নিয়ণ্ত্রণে সাহায্য করে। কলকাতার বিদ্যাসাগর সেতুর সমগ্র পরিকাঠামো দীর্ঘ ২২ বছর পর একটি কার্যকরী সেতুর রূপ নেয়।

    নয়টি পথের সমন্বয়ে গঠিত, ৪৫৭ মিটার লম্বা, কাঠামোগতভাবে ১২১-টি ফাঁসের সাহায্যপ্রাপ্ত এটি একটি অনন্য প্রকৌশল আশ্চর্য। বিদ্যাসাগর সেতুর ভিত হুগলী নদীর ১০০ মিটার গভীরে অবস্থিত। ১১৫ মিটার পরিধি সহ এই সেতুর নির্মাণে মোট খরচ হয়েছিল ৩৮৮ কোটি টাকা।

    বিস্তারিত তথ্য…

  • স্পন্দন আর্ট গ্যালারী

  • সাংস্কৃতিক উন্মত্ততার কেন্দ্র বিন্দু পশ্চিমবঙ্গ হল একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য। রাজ্যের রাজধানী কলকাতা বহু প্রদর্শশালা ও শিল্প গ্যালারী দ্বারা সমৃদ্ধ যা শিল্পরসিকদের জন্য একটি আদর্শ জায়গা। স্পন্দন আর্ট গ্যালারী হল এই শহরের এক অনন্য অবদান যা শহরের সৃজনশীল সচেতনতা বাড়িয়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দেয়।

    আনন্দ নগরী কলকাতা, চমকপ্রদ বাঙ্গালী সংস্কৃতির একটি গর্ব। এই শহর দেশের বিশিষ্ট সৃজনশীল প্রতিভাবনদের জন্মভূমি, যেমন-কিংবদন্তি নোবেল বিজয়ী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সত্যজিৎ রায়, যামিনি রায় এবং আরও অনেকে।

    শহরে ছত্রাকের মত ছড়িয়ে থাকা আর্ট গ্যালারী-গুলির মধ্যে পার্ক স্ট্রীটের, স্পন্দন আর্ট গ্যালারীটি হল এক অন্যতম এবং চারুকলা পৃষ্ঠপোষকদের এবং শহরের সভ্য সমাজের একটি পূর্ণাঙ্গ রুপ।

    এই প্রশস্ত গ্যালারীটি অনেকটা জায়গা জুড়ে বিস্তৃত এবং একটি আধুনিক মার্জিত সাজসজ্জাপূর্ণ। গ্যালারীটির আরামদায়ক অন্দরসজ্জা এবং শ্রেষ্ঠ মূল্যবান সংগ্রহ সমূহ নিশ্চিত করে যে এই শিল্প-বিশ্বের শান্তিপূর্ণ প্রাঙ্গনের সম্প্রসারিত মহলের নিচে দর্শকরা দীর্ঘ সময় ধরে পদচারণা করে শান্ত মুহূর্ত অতিবাহিত করতে পারেন।

  • হাওড়া ব্রিজ

  • হুগলী নদীর অবিশ্বাস্য দৃশ্যপট সহ শোভার্বধিত রূপে দাঁড়িয়ে থাকা এই হাওড়া ব্রিজ পশ্চিমবঙ্গের আকর্ষণকে এক উচ্চ মাত্রায় পৌঁছে দিয়েছে। কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট দ্বারা পরিচর্যিত, হাওড়া ব্রিজ, রবীন্দ্র সেতু নামেও পরিচিত রয়েছে। মোট ২৬,৫০০-টন ইস্পাত সহযোগে নির্মিত এটি এক বিশ্ব বিখ্যাত খিলান সেতু।

    হাওড়া ব্রিজের প্রাকৌশলিক (ইঞ্জিনীয়ারিং) বিশলতা ভারত তথা বিদেশের সমস্ত সংগঠনশীল অঞ্চলগুলির থেকে প্রশংসা অর্জন করেছে। এই সেতুর ২৮০ ফুট উচ্চতার কেন্দ্রীয় স্তম্ভটি খ্যাতি অর্জন করেছে এবং এই মধ্যবর্তীয় স্তম্ভগুলির মাঝের অন্তবর্তী স্থান হল অবিস্মরণীয় ১৫০০ ফুট।

    বিস্তারিত তথ্য…

  • আশুতোষ মিউজিয়াম অফ ইন্ডিয়ান আর্ট

  • আশুতোষ মিউজিয়াম অফ ইন্ডিয়ান আর্ট হল ভারতের প্রাচীন ঐতিহ্যের এক ক্ষুদ্র প্রতিফলন। এই প্রদর্শনশালায় প্রাচীন সুবর্ণ যুগের বিভিন্ন পুরাকীর্তির এক বিরল সংগ্রহ রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের উত্তর কলকাতায়, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবার্ষিকী ভবনে অবস্থিত, ভারতের আশুতোষ মিউজিয়াম অফ ইন্ডিয়ান আর্ট-এর নামকরন হয়েছে মহান দূরদর্শী শ্রী আশুতোষ মুখার্জির নামানুসারে।

    বাংলার সমৃদ্ধ ঐতিহ্য প্রদর্শন এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রদর্শনশালা সংক্রান্ত শিক্ষাপ্রদান, এই দ্বৈত উদ্দেশ্য পালন করে আশুতোষ মিউজিয়াম অফ ইন্ডিয়ান আর্ট। ভারতের এক অন্যতম প্রাচীন প্রদর্শনশালা আশুতোষ মিউজিয়াম অফ ইন্ডিয়ান আর্ট ১৯৩৭ সালে প্রাধান্যপ্রাপ্ত হয়। এই প্রদর্শনশালার মূল উদ্দেশ্য ছিল প্রাচীন কালের পূর্ব ভারত তথা বাংলার বিভিন্ন শিল্প-নৈপুণ্যের প্রদর্শন।

    জনসাধারণের প্রদর্শনের জন্য, পশ্চিমবঙ্গের আশুতোষ মিউজিয়াম অফ ইন্ডিয়ান আর্ট-এ সাবেককালের প্রাচীন দ্রব্য ও দেওয়াল চিত্র-শিল্পের বিপুল সম্ভার রয়েছে। বিগতদিনের বিভিন্ন নিদর্শন জনসাধারণকে বাংলার সভ্যতার সাথে আলোকপ্রাপ্ত করে।

  • সায়্যন্স সিটি

  • পূর্বের প্রবেশদ্বার পশ্চিমবঙ্গ, তার সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধি, পাণ্ডিত্যপূর্ণ শ্রেষ্ঠত্ব ও পর্যটন সম্ভাবনার জন্য সুপরিচিত। সাধারণ জনগণের মধ্যে বিজ্ঞান চেতনা গড়ে তোলার জন্য, রাজ্যের রাজধানী কলকাতায় এক বিজ্ঞান নগরী গড়ে উঠেছে।

    ইস্টার্ন মেট্রোপলিটান বাইপাস ও পার্ক সার্কাসের সংযোগস্হলে বিশাল জায়গা জুড়ে সায়্যন্স সিটি বিস্তৃত রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের দীর্ঘদিনের একটি দুঃখজনক যন্ত্রণার কাহিনী আছে। তবে স্বাধীনতার পরে এই রাজ্য দীর্ঘ পথ এগিয়ে এসেছে। রাজধানী কলকাতায় বর্তমানে উন্নত মানের পরিকাঠামো রয়েছে এবং রাজ্যের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য সম্পূর্ণরূপে এটি ব্যবহৃত হয়।

    বিস্তারিত তথ্য…

  • ফোর্ট উইলিয়াম কলকাতা

  • পশ্চিমবঙ্গ বাংলা সংস্কৃতির একটি উপকেন্দ্র, একটি বিশিষ্ট পর্যটক গন্তব্য। এই রাজ্য কিছু অসাধারণ স্থাপত্য প্রাসাদের জন্য বিখ্যাত যেমন – ফোর্ট উইলিয়াম ও ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়্যাল। ফোর্ট উইলিয়াম ব্রিটিশ রাজের সামরিক অন্তর্দৃষ্টির একটি চিত্তাকর্ষক প্রমাণ।

    একটি আকর্ষণীয় ঘটনা হল এই রাজ্য দুটি ফোর্ট উইলিয়ামের গর্বিত মালিক, যা পূর্ব ভারতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি শক্ত ঘাঁটি হিসেবে দায়িত্ব পালন করত। এই মনোরম প্রাসাদ নির্মিত হয়েছিল পরিকল্পনাকারী স্থাপত্যবিদ স্যার চার্লস আয়ার এবং জন বেয়ার্ড এর সক্ষম তত্ত্বাবধানে।

    বিস্তারিত তথ্য…

  • আ্যকাডেমী অফ ফাইন্ আর্টস

  • আ্যকাডেমী অফ ফাইন আর্টস পশ্চিমবঙ্গের মানুষের সমৃদ্ধ শৈল্পিক দক্ষতা এবং সৃষ্টিশীল কল্পনাকে প্রতিফলিত করে। রাজ্যের শৈল্পিক উৎসাহকে প্রতিনিধিত্বকারী, আ্যকাডেমী অফ ফাইন আর্টস সেইসব বুদ্ধিজীবী শিল্পীদের কর্মশক্তির প্রদর্শন করে, যারা সুন্দর চিত্রকলার মাধ্যেমে তাদের শ্রেষ্ঠ অভ্যন্তরীণ অনুভূতি প্রকাশ করেন।

    আ্যকাডেমী অফ ফাইন আর্টস-এর মহলে যে কেউ পশ্চিমবঙ্গের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও ঐতিহ্যগত উত্তরাধিকার অনুভব করতে পারেন, যা মধ্য এবং আধুনিক যুগের অসংখ্য চিত্রকলার প্রদর্শন করে। আ্যকাডেমী অফ ফাইন আর্টস অতীতের বহু বিখ্যাত চিত্র-শিল্পীদের চিত্রকলার সাথে অলঙ্কৃত।

    বিস্তারিত তথ্য…

  • বিড়লা তারামণ্ডল

  • পশ্চিমবঙ্গের বিড়লা তারামণ্ডল, কলকাতার এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান যা সারাবছর বহু পর্যটকদের আকর্ষণ করে। ১৯৬২ সালে বিড়লা কোম্পানি গোষ্ঠীর এক শিক্ষামূলক সংস্থা দ্বারা প্রতিষ্ঠিত, পশ্চিমবঙ্গের বিড়লা তারামণ্ডল বিশ্বের এক অন্যতম বৃহৎ জ্যোতির্বিদ্যা মানমন্দির বলে দাবী রাখে।

    বিড়লা তারামণ্ডল দর্শকদের মহাকাশ এবং তার ক্রিয়াকলাপ অন্বেষণের একটি চমৎকার সুযোগ দেয়।

    বিস্তারিত তথ্য…

    * সর্বশেষ সংযোজন : ২৩ - শে মার্চ, ২০১৫