বিড়লা ইন্ডাস্ট্রিয়্যাল মিউজিয়াম, কলকাতা
বিড়লা ইন্ডাস্ট্রিয়্যাল মিউজিয়াম বা বিড়লা ইন্ডাস্ট্রিয়্যাল অ্যান্ড টেকনোলজিক্যাল মিউজিয়াম দক্ষিণ কলকাতার ১৯-এ, গুরুসদয় রোডে অবস্থিত।
কলকাতার বিড়লা ইন্ডাস্ট্রিয়্যাল মিউজিয়্যাম ১৯৫৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (সি.এস.আই.আর)-এর দ্বারা সূচিত হয়।
এটি, পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন প্রধান মন্ত্রী ডঃ বি.সি.রায়-এর এক অক্লান্ত প্রচেষ্টার ফলে, বিড়লারা এই ভবন ও জমি সংলগ্ন অংশ বিতরণ করে দেন।
প্রকৃতপক্ষে এটি সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি সম্পত্তি ছিল। ১৯৭৮ সালে কলকাতার বিড়লা ইন্ডাস্ট্রিয়াল মিউজিয়ামকে ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ সায়েন্স মিউজিয়াম (এন.সি.এস.এম)-এর আওতায় আনা হয়। এই মিউজিয়ামের মূল উদ্দেশ্যটি হল বিজ্ঞানের তৃষ্ণা এবং প্রযুক্তি ধারণাকে মানুষের মধ্যে জাগিয়ে তোলা, বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে।
কলকাতার বিড়লা ইন্ডাস্ট্রিয়্যাল মিউজিয়ামে বিভিন্ন প্রদর্শনীগুলি তাদের নিজস্ব কর্মশালায় গড়া, প্রস্তুত ও নকশা দেওয়া হয়। গ্যালারীর মনোযোগ নিবন্ধের প্রতিমাণ-গুলি হল –
- বৈদ্যুতিক
- পরমাণু পদার্থবিদ্যা
- লৌহ ও ইস্পাত
- প্রাণী বিজ্ঞান
- অভিপ্রায় শক্তি (মোট্যিভ পাওয়ার)
- যোগাযোগ ও খনন
প্রাণী বিজ্ঞান গ্যালারী এখন একটি জনপ্রিয় বিজ্ঞান গ্যালারীতে পরিবর্তিত হয়েছে। কলকাতার বিড়লা ইন্ডাস্ট্রিয়্যাল মিউজিয়ামে অত্যন্ত জনপ্রিয় কার্যক্রম প্রদর্শিত হয়, যেমন – চলচ্চিত্র প্রদর্শন, বাহ্যিক প্রকাশ, পেশা মূলক কার্যক্রম, টেলিস্কোপ দিয়ে আকাশ-পর্যবেক্ষণের উপর পর্যাবৃত্ত কর্মসূচি ইত্যাদি। গ্রামের মানুষদের বোঝানোর জন্যে এরা ঘুরে বেড়িয়ে কর্ম-সঞ্চালন করে। মালদহ ও পুরুলিয়ার আঞ্চলিক বিজ্ঞান মিউজিয়ামগুলি এই সংস্থার অধীনে কাজ করে। এই মিউজিয়ামে এছাড়াও জীবন্ত সাপ, সরীসৃপ, খরগোশ, পাখি ও মাছ থাকে।
কলকাতার বিড়লা ইন্ডাস্ট্রিয়্যাল মিউজিয়ামের প্রধান আকর্ষণ হল: –
- ভূগর্ভস্থ কৃত্রিম কয়লা খনি
- খরগোশের ঘর
- সাপের গর্ত
- অ্যাকোয়ারিয়াম
- পক্ষিশালা
- বনসাই (বামন গাছ)
- ফণীমনসা বাগান
- টেলিভিশন এবং বৈজ্ঞানিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনী
সময়সীমা: – সকাল ১০-টা থেকে বিকাল ৫-টা (ব্যতীত সোমবার)।
* সর্বশেষ সংযোজন : ৩০ - শে মার্চ, ২০১৫