কলকাতা
ভারতের বিভিন্ন মানচিত্র

কলকাতা শিক্ষা

Education of Kolkata in Bengali

কলকাতা শিক্ষা

কলকাতা এমন একটি শহর, যেখানে ব্রিটিশ শাসনের পূর্বে শিক্ষার মাধ্যম ছিল সংস্কৃত ও বাংলা। তবে, ব্রিটিশরা ইংরাজী ভাষার মাধ্যমে শিক্ষাদানের পথ প্রশস্ত করে এবং ১৯১৭ সালে গড়ে ওঠা প্রেসিডেন্সী কলেজ, এই ধরনের সর্বপ্রথম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল।

মাধ্যমিক শিক্ষা

কলকাতায় সমান্তরাল বিদ্যালয় শিক্ষা ব্যবস্থার ১০-টি বিকল্প রয়েছে। সমম্ত কে-১২ বিদ্যালয়গুলি নিম্নলিখিত পর্ষদগুলির মধ্যে যেকোনও একটির দ্বারা অনুমোদিতঃ

  1. সি.বি.এস.ই
  2. আই.সি.এস.ই
  3. এড এক্সেল (আন্তর্জাতিক পর্ষদ)
  4. কেমব্রীজ আন্তর্জাতিক পর্ষদ
  5. ইন্ট্যারন্যাশনাল ব্যাকাল্যরিয়েট
  6. ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওপেন্ স্কুলিং
  7. রবীন্দ্র মুক্ত বিদ্যালয়
  8. পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাজা শিক্ষা পর্ষদ
  9. পশ্চিমবঙ্গ মধ্য শিক্ষা পর্ষদ
  10. পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা পরিষদ।



সমস্ত বিদ্যালয়গুলি হয় সরকার-চালিত নয়তো বা বেসরকারী চালিত।


সরকার-চালিত বিদ্যালয়গুলি ডব্লু.বি.বি.এস.ই (পশ্চিমবঙ্গ মধ্য শিক্ষা পর্ষদ) দ্বারা অনুমোদিত। এই বিদ্যালয়গুলি শিক্ষার মাধ্যম হল বাংলা। এগুলির মধ্যে অধিকাংশই ষষ্ঠ শ্রেণীতে এসে ইংরাজীর সঙ্গে পরিচিত হয়। ডব্লু.বি.বি.এস.ই (পশ্চিমবঙ্গ মধ্য শিক্ষা পর্ষদ) দশম শ্রেণীর শেষে একটি পরিষদ পরীক্ষার (মাধ্যমিক) সঞ্চালন করে। যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীরা এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়, তারা বিজ্ঞান, বাণিজ্য বা কলা ইত্যাদির মধ্যে যে কোনও একটি বিষয় নিয়ে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হওয়ার যোগ্য হয়ে ওঠে এবং উচ্চ মাধ্যমিকের প্রস্তুতি নেয়।

বেসরকারী বিদ্যালয়গুলি পূর্বোক্ত যেকোনও একটি পর্ষদের সাথে সম্বন্ধযুক্ত থাকে। সি.বি.এস.ই, আই.সি.এস.ই, কেমব্রীজ আন্তর্জাতিক পর্ষদ, ইন্ট্যারন্যাশনাল ব্যাকাল্যরিয়েট, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওপেন্ স্কুলিং ইত্যাদি পর্ষদগুলি শিক্ষার সর্ব-ভারতীয় পদ্ধতিকে অনুসরণ করে।


কলকাতায়, ছাত্র-ছাত্রীদের বহিরাগত শিক্ষার্থী হয়ে ওঠারও বিকল্প রয়েছে, যেখানে তারা কোনও বিদ্যালয়ে ভর্তি না হয়েই পর্ষদীয় পরীক্ষাগুলিতে অংশ নেওয়ার অনুমতি পায়।

মহাবিদ্যালয়

কলকাতায় তিনটি প্রধান বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে; যেমন-কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এবং রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। মহাবিদ্যালয়গুলি, এই সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বারা অনুমোদিত হয়- যেখানে বিজ্ঞান, বাণিজ্য, কলা, মানবিকতা, ডাক্তারি, আইন ইত্যাদি বিষয়ে পড়াশোনার সুযোগ দেওয়া হয়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান কেন্দ্রবিন্দু হল একই বিদ্যায়াতনের মধ্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর এই উভয়ই জ্ঞাপন করা। রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষত্ব হল নৃত্য, কলা ও সঙ্গীত সহ চারুকলা। এই শহরে আই.আই.এম.কে (ইন্ডিয়্যান ইন্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট কলকাতা) অবস্থিত। এগুলি ছাড়াও কলকাতায় প্রচুর ইঞ্জিনীয়ারিং কলেজ এবং ৯-টি মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে। এখানে বেশ কয়েকটি বিশিষ্ট গবেষণা প্রতিষ্ঠানও রয়েছে; যেমন- দ্য ইন্ডিয়্যান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট, দ্য ইন্ডিয়্যান আ্যসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভ্যাশন অফ সায়েন্স, দ্য বোস ইনস্টিটিউট এবং দ্য অল্ ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ হাইজিন্ আ্যন্ড পাবলিক হেল্থ।


কলকাতা কোনও ব্যক্তির সমাজিক মর্য্যাদা ঠিক করে তা কোনও ছেলে বা মেয়ের বস্তুগত সম্পত্তির উপর বশবর্তী হয়ে নয়, বরঞ্চ তাদের শিক্ষাগত মান ও ডিগ্রীর উপর ভিত্তি করে।



* সর্বশেষ সংযোজন : ২০ - শে এপ্রিল, ২০১৫