বিদ্যাসাগর সেতু : কলকাতার দ্বিতীয় হুগলি সেতু

May 20, 2015

কলকাতায় বিদ্যাসাগর সেতুর একটি উত্তেজনাপূর্ণ রাতের দৃশ্য

বিদ্যাসাগর সেতু : কলকাতার দ্বিতীয় হুগলি সেতু

অবস্থান: কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ

যখনই কেউ কলকাতার কথা মনে করে, হুগলি নদীর উপর একটি দীর্ঘ সেতুর ছবি মনে হানা দেয়। আপনি যদি ২০ বছর আগে এই একই জিনিস চিন্তা করতেন, তাহলে সেটা নিঃসন্দেহে হাওড়া ব্রিজ যার সম্পর্কে আপনি চিন্তা করছেন। কিন্তু বর্তমানে এটা বিদ্যাসাগর সেতু যা আমাদের মনে কলকাতার ছবিকে প্রজ্বলিত করে তোলে। দ্বিতীয় হুগলি সেতু হিসাবে সুপরিচিত, বিদ্যাসাগর সেতু, ১৯৯২ সালের ১০ই অক্টোবর অস্তিত্বে আসে। এই সেতু নির্মাণ করা হয়েছে কলকাতা ও হাওড়ার দুরত্বের মধ্যে।

৮২৩ মিটার দৈর্ঘ্য জুড়ে বিস্তৃত, বিদ্যাসাগর সেতু এশিয়ার এই ধরনের সবচেয়ে দীর্ঘতম এক সেতু বলে দাবী রাখে। বিখ্যাত হাওড়া ব্রিজের পর হুগলি নদীর উপরে নির্মিত এটি দ্বিতীয় সেতু এবং শিক্ষা সংস্কারক পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের নাম থেকে এই ব্রিজের নামটি উদ্ভূত। উচ্চ কারিগরি কাঠামোযুক্ত এই সেতুটিকে একটি টোল-সেতু রূপে তৈরি করতে দীর্ঘ ২২ বছর লাগে। ৯-টি রাস্তা সহ উচ্চমানেরে ট্রাফিক ব্যবস্থা যুক্ত,এই সেতু প্রত্যহ ৮৫,০০০ যানবাহন পরিচালনার ক্ষমতা রাখে।এটি ৩৬-টি টার্মিনাল কম্পিউটারাইজড টোল সংগ্রহ ব্যবস্থার উপর কাজ করে।

এই প্রকৌশল বিস্ময় নির্মাণ হতে ৩৮৮ কোটি টাকা খরচ হয়। এটি একটি আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্রের থেকে কিছু কম নয়, যেখানে প্রতি বছর কমপক্ষে ১০০০ এরও বেশী পরিদর্শক এসে ভিড় করে। বিদ্যাসাগর সেতুর রাস্তা জুড়ে ড্রাইভ করলে কলকাতা শহরের একটি সুস্পষ্ট দৃশ্য উপলব্ধ করা যায়। এই সেতু দেখার জন্য শ্রেষ্ঠ সময় হল সন্ধ্যে এবং ভোরবেলা যখন এই সমগ্র সেতু আলোয় ঝলমল করে যা দর্শকদের চোখকে মুগ্ধ করে তোলে।

More articles from :
Comments

(required)