পশ্চিম বঙ্গ
ভারতের বিভিন্ন মানচিত্র

মুর্শিদাবাদ পর্যটন

Murshidabad Travel in Bengali

মুর্শিদাবাদ পর্যটন

মুর্শিদাবাদ বাংলার উত্তরে অবস্থিত একটি শহর। এটা অতীতে একটি রাজ বন্দর হিসেবে ব্যবহৃত হত। একদা, মুর্শিদাবাদ সমগ্র বিশ্বের মধ্যে এক বৃহত্তম শহর ছিল মুর্শিদাবাদ ঐতিহাসিকভাবে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। এটি সেই জায়গা যেখানে বাংলার নবাব, সিরাজ-উদ-দৌলা, এক যুদ্ধে ব্রিটিশদের দ্বারা নিহত হন।

মুর্শিদাবাদ শহরে ঘুরে বেড়ানোর জন্য, একটি সাইকেল-রিকশা ভাড়া করে নেওয়া হল ভালো উপায় কারন এই শহরের বিভিন্ন পর্যটন স্থান গুলি অত্যন্ত দূরে দূরে অবস্থিত।

মুর্শিদাবাদ শহর, পশ্চিমবঙ্গের বাংলার স্বাধীন রাষ্ট্রের এক বিগত রাজধানী ছিল। এটি বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যা এই তিনটি রাজ্যের দেওয়ান নবাব মুর্শিদকুলী খাঁ এর নামানুসারে নামাঙ্কিত হয়। ভাগীরথী নদীর তীরে অবস্থিত, মুর্শিদাবাদ শহর মুর্শিদাবাদী সিল্কের জন্য বিখ্যাত।

মুর্শিদাবাদের দক্ষিণে চল্লিশ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পলাশী হল একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থান, যেখানে ১৭৫৭ সালে নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা এবং লর্ড ক্লাইভের মধ্যে এক ঐতিহাসিক যুদ্ধ ঘটে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন গন্তব্য এবং মুর্শিদাবাদে আগত সমস্ত দর্শকদের জন্য এক আবশ্যক পরিদর্শনের স্থান।

মুর্শিদাবাদের সবচেয়ে বিখ্যাত পর্যটক গন্তব্যগুলি হল –

  • হাজারদুয়ারি প্রাসাদ।
  • গ্রেট ইমামবারা।
  • নিমক হারাম দেউড়ি।
  • পার্শ্বনাথ জৈন মন্দির।
  • কাটরা মসজিদ।
  • মোতি ঝিল।
  • জাফরগঞ্জ সমাধি।
  • জাহান কোশা বন্দুক।
  • ওয়াসিফ মঞ্জিল।

ইউরোপীয় স্থাপত্য শৈলীকে অনুসরণ করে, হাজারদুয়ারি প্যালেস আনুমানিক ভাবে ১৮৩৭ সালে নির্মিত হয়। বর্তমানে এটি একটি আকর্ষণীয় মিউজিয়ামে রূপান্তরিত হয়েছে। শুক্রবার ছাড়া, এটি প্রত্যহ সকাল দশটা থেকে বিকাল চারটে পর্যন্ত খোলা থাকে। গ্রেট ইমামবারা অন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থান এবং এখন একটি বিখ্যাত পর্যটন গন্তব্য।

* সর্বশেষ সংযোজন : ১৫ - ই জুলাই, ২০১৫