হুগলী পর্যটন
পশ্চিমবঙ্গের হুগলী বহু সংখ্যক স্থানের সঙ্গে যুক্ত যেগুলির এক বিশাল পর্যটন প্রাধান্য রয়েছে। বাঙ্গালীদের জন্য এই জায়গার একটি বড় গুরুত্ব আছে, কারণ এটা শাশ্বত বাংলা ঔপন্যাসিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মভূমি। এছাড়াও হুগলী একটি পবিত্র স্থান যেখানে মহান আলোকিত ব্যাক্তিত্ব শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস এবং তার পত্নী, সকলের মাতা, সারদা দেবী তাদের জীবনের বেশ অনেকটা সময় এখানে কাটিয়েছেন।
ফরাসি, ওলন্দাজ ও পর্তুগিজদের সঙ্গে সংযোগ থাকার জন্যে হুগলী জেলা দেশের বহু দূরবর্তী স্থানগুলোতেও জনপ্রিয়। এই তিনটি জাতি হুগলী জেলার বিভিন্ন স্থানে তাদের ব্যক্তিতাবাদী চিহ্ন রেখে গেছে এবং সদর দপ্তর চুঁচুড়ায় একটি সপ্তদশ শতাব্দীর ওলন্দাজ উপনিবেশ রয়েছে, যা শুধুমাত্র হুগলী জেলাতেই দেখা গেছে।
হুগলী জেলার গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্রগুলি হল –
- চন্দননগর
- শ্রীরামপুর
- তারকেশ্বর
- ভদ্রেশ্বর
- রাধানগর
- দেবানন্দপুর
- ব্যান্ডেল
- ধনেখালি
- জয়রামবাটি
- কামারপুকুর
চন্দননগর একটি ফরাসি উপনিবেশ ছিল এবং ফরাসি স্থাপত্য শৈলীযুক্ত মহীয়ান অট্টালিকা, গঙ্গা নদীর সুন্দর তীর, পরিকল্পিত পৌরসভা এবং মনোমুগ্ধকর জগদ্ধাত্রী পূজার জন্য চন্দননগর বিখ্যাত।
তারকেশ্বর এবং ভদ্রেশ্বর হল পবিত্র তীর্থস্থান। ধনেখালি নামে সাধারণ বাঙ্গালী শাড়ি, ধনেখালিতে বোনা হয়।
দেবানন্দপুর বিশিষ্ট লেখক, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়-এর জন্মস্থান। জয়রামবাটি এবং কামারপুকুর শ্রীরামকৃষ্ণ এবং সারদা দেবীর প্রসিদ্ধ উপস্থিতির সঙ্গে আশীর্বাদপ্রাপ্ত।
হুগলীর অন্যান্য পর্যটন আকর্ষণ গুলি হল –
- ব্যান্ডেল চার্চ
- মুসলিম ইমাম-বারা
- ষাঁড়েশ্বর মন্দির
- হংসেশ্বর মন্দির
- বৃন্দাবন জিউ মন্দির