পশ্চিম বঙ্গ
ভারতের বিভিন্ন মানচিত্র

দার্জিলিং-এ পরিদর্শনযোগ্য স্থান

Places to Visit in Darjeeling in Bengali

দার্জিলিং-এ পরিদর্শনযোগ্য স্থান

সস্নেহে “শৈল শহরের রাণী”- হিসাবেও পরিচিত, হিমালয়ের কোলে অবস্থিত দার্জিলিং তার চা-উৎপাদন ও দার্জিলিং-হিমালয় রেলপথের জন্য সু-প্রসিদ্ধ; যেটি আবার ইউনেস্কো (ইউ.এন.ই.এস.সি.ও)-র একটি পৃথিবীর ঐতিহ্যগত স্থান।

এই শৈল-শহরটি ঊনবিংশ শতাব্দীর মধ্যকালে স্থাপিত হয়েছিল, এই সময় ব্রিটিশরা দার্জিলিং-এ একটি সামরিক ডিপো এবং স্বাস্থ্যনিবাস স্থাপিত করেছিল। এর আগে, দার্জিলিং প্রাচীন গোর্খাদের রাজধানী ছিল। পরবর্তীকালে, সিকিমের মহারাজা ব্রিটিশদেরকে দার্জিলিং উপহার দেন।

দার্জিলিং সর্বদাই তার নিদারুণ সৌন্দর্য্য ও মনোরম জলবায়ুর কারণে ভারতের এক জনপ্রিয় অবকাশ-যাপনের গন্তব্য। পর্যটন ছাড়াও, দার্জিলিং তার বিভিন্ন ব্রিটিশ ভঙ্গিমার সার্বজনীন বিদ্যালয়ের জন্য জনপ্রিয়, যেগুলি সমম্ত ভারত জুড়ে এবং এমনকি প্রতিবেশী দেশের শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করে।

দার্জিলিং-এ দর্শনীয় স্থান

দার্জিলিং একটি পর্যটন মূখর স্থান এবং বছরের পর বছর ধরে পর্যটকেরা এখানে ঘুরতে আসে। দার্জিলিং-এ মনোরম আবহাওয়া ও নিদারুণ সৌন্দর্য্য ছাড়াও, এখানে প্রচুর দর্শনীয় জিনিষ রয়েছে।

হ্যাপী ভ্যালি টি গার্ডেন


Happy Valley Tea Estate
শ্রেণী : উদ্যান্
দার্জিলিং শহর থেকে ১ কিলোমিটার দূরে, হ্যাপী ভ্যালি টি গার্ডেন-লেবাং কার্টার রোডে অবস্থিত এবং ব্যস্ততাপূর্ণ পর্যটনমূখর দার্জিলিং-য়ের এক শান্ত ও স্নিগ্ধ প্রবেশপথ।

দ্য দার্জিলিং-হিমালয় রেলপথ


Darjeeling Train
শ্রেণী : কৌতুক ও বিনোদন
“টয় ট্রেন”-নামেও পরিচিত, এই দার্জিলিং হিমালয় রেল নিউ জলপাইগুড়ি ও দার্জিলিং-য়ের মধ্যে চলাচল করে এবং এটি একটি সংঙ্কীর্ণ গেজের রেলপথ। এই রেলপথটি একটি ইউনেস্কো (ইউ.এন.ই.এস.সি.ও)-র বিশ্ব ঐতিহ্যগত স্থান এবং এই রেলপথে দার্জিলিং ভ্রমণকালে পর্বতের এক অতীব সৌন্দর্য্য দৃশ্যমান হয়।

টাইগার হিল


Tiger Hill
শ্রেণী : প্রকৃতি
দার্জিলিং থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে, ২৫৯০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত টাইগার হিল্, মাউন্ট এভারেস্ট ও কাঞ্চনজঙ্ঘার একটি দর্শনীয় দৃশ্য প্রদর্শন করে। এইজন্য খুব ভোরের দিকে টাইগার হিল-এ গিয়ে পর্বত শৃঙ্গের উপর থেকে সূর্যোদয়ের দৃশ্য দেখার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়।

পদ্মজা নাইডু হিমালয়্যান জুওলজিক্যাল পার্ক


Padmaja Naidu Himalayan Zoological Park
শ্রেণী : বন্য প্রাণী
পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল পদ্মজা নাইডুর স্মৃতির উৎসর্গে ১৯৫৮ সালে এই চিড়িয়াখানাটি নির্মাণ করা হয়েছিল। দেশের সর্বোত্তম চিড়িয়াখানাগুলির মধ্যে, এটিই এমন এক অন্যতম চিড়িয়াখানা যেখানে বন্য নেকড়ের বৃদ্ধির উত্থাপন করা হয়। এছাড়াও এই চিড়িয়াখানাটি বিভিন্ন বিপন্ন প্রজাতি যেমন-লাল পান্ডা, সাইবেরীয় বাঘ ও তুষার পাহাড়ী চিতার আবাসস্থল।

ধীরধাম মন্দির


Dhirdham Temple
শ্রেণী : ধর্ম সংক্রান্ত
ভারতীয় উপ-মহাদেশের যে কোনও প্রান্তে ভ্রমণে গেলে, একটি জিনিষ খুবই নিশ্চিত যে, সব জায়গায় অন্তত একটি প্রাচীন শিব মন্দির খুঁজে পাবেন। টয় ট্রেন রেলওয়ে স্টেশনের ঠিক ওপরে অবস্থিত ধীরধাম মন্দির হল সর্বদাই মনে জুড়ে থাকা একটি অত্যন্ত সুন্দর মন্দির। এই বর্ণময় মন্দির ভবনটি হিন্দুদের সবচেয়ে জনপ্রিয় দেবতা, ভগবান শিবের নিবাস ভবন। এটি দার্জিলিং শহরের সবচেয়ে এক প্রাচীনতম মন্দির।

অবসারভেটরী হিল



শ্রেণী : প্রকৃতি
এই জায়গায় হিন্দু ও বৌদ্ধ, এই উভয়েরই ধর্মীয় তাৎপর্য্য রয়েছে। এই পর্বতের উপরে অবস্থিত মহাকাল মন্দিরটি ভগবান শিবের প্রতিমূর্তি রূপে অনুমিত হয়। স্থানান্তকরণের পুর্বে ভুটিয়া বস্তি গুম্ফা এখানে অবস্থিত ছিল। সুতরাং, এই অবসারভেটরী হিল হিন্দু ও বৌদ্ধ উভয়েরই দর্শনীয় স্থান।

সেন্ট আ্যন্ড্রিউ’স চার্চ



শ্রেণী : ইতিহাস ও সংস্কৃতি
১৮৪৩ সালে নির্মিত এই সেন্ট আ্যনড্রিউ’স চার্চ হল একটি প্রাচীন বিলাতি গির্জা এবং স্কটল্যান্ডের অনুগ্রাহক সন্ত, সেন্ট আ্যন্ড্রিউ-এর নামানুসারে এটির নামকরণ করা হয়। প্রারম্ভে এই গির্জার উপাসকরা ছিলেন স্কটিশ সৈন্য এবং চা-শ্রমিকেরা। গির্জাটি একটি ভূমিকম্পে গম্ভীরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ১৮৭৩ সালে এটির পুর্ননির্মাণ করা হয়।

ওয়্যার মেমোরিয়্যাল



শ্রেণী : ইতিহাস ও সংস্কৃতি
১৯৪৭ সালের স্বাধীনতার পূর্বে বিভিন্ন যুদ্ধে দেশের জন্য প্রাণ সমর্পিত করা সাহসী সৈন্যদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে এই ওয়্যার মেমোরিয়্যালটি নির্মাণ করা হয়েছিল।

পীস্ পাগোডা



শ্রেণী : ইতিহাস ও সংস্কৃতি
এই জাপানি পীস্ পাগোডা-টি নিপ্পোনজান মাইওহোজি নামে এক জাপানি বৌদ্ধের আদেশে নির্মিত হয়েছিল। এই পাগোডাটি জালাপাহাড় পর্বতের ঢালে অবস্থিত এবং সেখানে পায়ে হেঁটে বা ট্যাক্সির মাধ্যমে পোঁছানো যেতে পারে।

চৌরাস্তা এবং দ্য মল্



শ্রেণী : কৌতুক ও বিনোদন
মল্ রোডটি চৌরাস্তায় উৎপত্তি ও সীমান্তে অবস্থিত, এটি মূলত শহরের হৃদয়স্থল এবং সাধারণত মানুষজন এই সড়কে সারিবদ্ধ দোকান ও রেস্তোঁরা-গুলিতে ঘুরতে, কেনাকাটা ও খাওয়া-দাওয়া করতে আসে। চৌরাস্তা থেকে দর্শন খুবই চমকপ্রদ এবং এটি দার্জিলিং-এর এক সবচেয়ে অন্যতম জনপ্রিয় স্থান।

* সর্বশেষ সংযোজন : ২১ - শে এপ্রিল, ২০১৫