ব্যারাকপুর পর্যটন
পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা প্রশাসনের মধ্যে, একটি বিশিষ্ট বেড়ানোর গন্তব্যস্থল, ব্যারাকপুর, যা মোট ৩০৮.১ বর্গ কিমি এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। ১৮৫৭ সালের রোমাঞ্চকর ঐতিহাসিক প্রাদুর্ভাব দ্বারা সমৃদ্ধ, ব্যারাকপুরের আকর্ষণ এক প্রলোভিত সংখ্যক পর্যটকদের আহ্বান করে।
বিশ্ব বিখ্যাত সিপাহী বিদ্রোহ ব্যারাকপুরের ভুমিতেই সম্ভূত হয়েছিল। বিশ্ব বিখ্যাত বিপ্লবী মঙ্গল পান্ডে ছিলেন প্রধান প্রতিবাদী, যিনি ব্যারাকপুর থেকে ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে তার প্রতিবাদ শুরু করেছিলেন। প্রকৃতপক্ষে, এই একমাত্র ঘটনা যা ব্যারাকপুরকে ইতিহাসের আন্তর্জাতিক পৃষ্ঠাতে স্থান দিয়েছে।
১৮৫৭ সালের এই বিপ্লবের সাথে সংযুক্ত থাকা ছাড়াও, ব্যারাকপুর একইভাবে বহু অন্যান্য মনোমুগ্ধকর আহ্বানের দ্বারা গর্বিত। ব্যারাকপুর-এর কিছু অসাধারণ বেড়ানোর জায়গাগুলি হল –
- গান্ধী মিউজিয়াম।
- গান্ধী ঘাট।
- আদ্যাপীঠ মন্দির।
- লক্ষ্মী নারায়ণ-এর মন্দির ।
- লাত বাগান।
- অন্নপূর্ণা মন্দির।
- উদয়ন বাটি।
- হনুমান-এর মন্দির।
- প্রেম চাঁদ শত বার্ষিকী ভবন।
- নন্দ কিশোর মন্দির।
নাটুকে সৌন্দর্যের সঙ্গে সুশোভিত, ব্যারাকপুর ভারতের বহু সাহিত্যিক এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিদের একটি প্রিয় স্থান ছিল। সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি দেশের জাতীয় রাজনীতির প্রতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন, তিনি বহু দিন ব্যারাকপুরে ছিলেন। তিনি যেই বাড়িটিতে থাকতেন তা এখন নেতাজী ওপেন ইউনিভার্সিটিতে রুপান্তরিত হয়েছে, এছাড়াও এই একই সীমানার মধ্যে তার নামে একটি প্রতিষ্ঠান পাওয়া যায়।
যেহেতু, ব্যারাকপুরের পর্যটন নকশা পশ্চিমবঙ্গে এক উচ্চ তালিকাভুক্ত, তাই এটা সুস্পষ্ট যে এই স্থান পরিবহনের সুবিধাও বেশ উন্নত হবে। একটি সুগঠিত সড়ক ও রেল নেটওয়ার্কের সঙ্গে, পশ্চিমবঙ্গের ব্যারাকপুর এছাড়াও বিমান পথের মাধ্যমে সহজে প্রবেশ যোগ্য। ব্যারাকপুরের নিকটতম বিমান বন্দর কলকাতায় অবস্থিত।
ঐতিহাসিক মর্যাদাকে বহাল রেখে ব্যারাকপুর সারা বছর বিশ্বের সব অঞ্চল থেকে হাজার হাজার ভ্রমণকারী দের আহ্বান জানায়।
* সর্বশেষ সংযোজন : ১৫ - ই জুলাই, ২০১৫