গুজরাট পর্যটন

Travel to Gujarat in Bengali

গুজরাট পর্যটন
* গুজরাট পর্যটন মানচিত্রে - গুজরাটের বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্মৃতিসৌধ, শৈল শহর, বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, তীর্থস্থান, হোটেল ও অন্যান্য পরিদর্শনযোগ্য স্থানগুলিকে দেখানো হয়েছে।

গুজরাট পর্যটন

ভারতের পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত গুজরাট রাজ্য ভারতের “পশ্চিমের মণি”। ভারতের এক সবচেয়ে শিল্পোন্নত এবং সমৃদ্ধ রাজ্য গুজরাত আধুনিক প্রতিবেশ এবং যুগবাহিত ঐতিহ্যের একটি আনন্দময় সংমিশ্রণ।

এই রাজ্যের নাম ‘গুজারাত্তা’ নাম থেকে গৃহীত, যার অর্থ হল ‘গুজ্জারের দেশ’, একটি উপজাতি যারা দীর্ঘ পঞ্চম শতাব্দী থেকে ভারতে আছে। কিন্তু কিছু প্রত্নতাত্ত্বিক তথ্য অনুযায়ী জানা গেছে যে কিছু এলাকা যেমন লোথাল, ধোলাবিরা, রংপুর সিন্ধু উপত্যকা সভ্যতার সময়ের অন্তর্গত। তখন থেকে, এই রাজ্য বহু পরাক্রমশালী সাম্রাজ্যের উত্থান ও পতনের সাক্ষী হয়ে রয়েছে, যেমন – মৌর্য, খিলজি এবং অন্যান্য মুসলিম শাসক, মারাঠা এবং ব্রিটিশ পর্যন্ত।

গুজরাটের মানুষের মধ্য দিয়ে এই রাজ্যের স্পন্দনশীল সংস্কৃতির প্রতিফলন ঘটে। তারা রঙিন পোশাক পরতে ভালবাসেন এবং নারীরা অনেক অলঙ্কার পরিধান করতে পছন্দ করেন। এখানকার অধিকাংশ মানুষ গুজরাটি ভাষায় কথা বলে। হিন্দি, উর্দু, সিন্ধি ও ইংরেজি ভাষাও গুজরাটে প্রচলিত।

গুজরাট সারা বছর ধরে একটি নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ু উপভোগ করে। তবে, এই রাজ্যের কিছু অংশ, যেমন কচ্ছের অঞ্চল শুষ্ক এবং অত্যন্ত উষ্ণ জলবায়ুর শিকার হয়। এই রাজ্য পরিদর্শন করার সর্বোত্তম সময় হল অক্টোবর থেকে মার্চ মাসের মধ্যে।

জনপরিসংখ্যান
অবস্থান ভারতের পশ্চিম উপকূলে, উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে পাকিস্তান ও রাজস্থান পশ্চিমে আরব সাগর,
দক্ষিণপূর্ব দিকে মধ্য প্রদেশ এবংদক্ষিণে মহারাষ্ট্র
অক্ষাংশ 20 ডিগ্রী 6 মিনিট এবং 24 ডিগ্রী 42 মিনিট উত্তর
দ্রাঘিমাংশ 68 ডিগ্রী 10 এবং 74 ডিগ্রী 28 মিনিট পূর্ব
আয়তন 196,024 বর্গ কিলোমিটার
জলবায়ু গ্রীষ্মকাল – উষ্ণ, শীতকাল – আরামপ্রদ শীতল
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা 42 ডিগ্রী
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা 14 ডিগ্রী
বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত 200 সেন্টিমিটার
রাজধানী গান্ধিনগর
জনসংখ্যা 50.6 মিলিয়ন
ভাষা গুজরাটি, হিন্দি, ইংরেজি
ধর্ম হিন্দু, মুসলমান, জৈন, জোরাষ্ট্রিয়ান বা পার্সি এবং অন্যান্য
পরিদর্শনের সেরা সময় অক্টোবর থেকে মার্চ
পরিধান গ্রীষ্মকালে – সুতি, শীতকালে – হাল্কা পশমী

গুজরাটে পৌঁছানোর উপায়

  • বিমানপথ দ্বারা
  • আহমেদাবাদে একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছাড়া গুজরাটে ১০টি অন্তর্দেশীয় বিমানবন্দর আছে। বেশীরভাগ অন্তর্দেশীয় বিমান সমগ্র ভারতের মধ্যে বিমান পরিচালনা করে।

  • রেলপথ দ্বারা
  • গুজরাটে একটি ভাল রেল যোগাযোগ রয়েছে। এটা শুধুমাত্র এই রাজ্যের অভ্যন্তরেই নয় বরং ভারতের অন্যান্য জায়গাগুলির সাথেও সুসংযুক্ত।

  • সড়কপথ দ্বারা
  • ভারতের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় গুজরাটে একটি ভাল সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে। এই রাজ্যের সড়কের মোট দৈর্ঘ্য হল ৬৮.৯০০ কিলোমিটার, যার মধ্যে ১,৫৭২ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়কের অন্তর্গত। এগুলি গুজরাটকে সহজে প্রবেশযোগ্য করে তোলে। অধিকাংশ প্রধান শহরগুলি থেকে গুজরাত রাজ্য পরিবহন সংস্থা এবং বেসরকারি সংস্থাগুলি রাজ্যের সব প্রধান গন্তব্যস্থলে বাস পরিচালনা করে।

    গুজরাটের প্রধান উল্লেখযোগ্য পরিদর্শনীয় স্থান

    ভারতের পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত বিস্ময়কর রাজ্য গুজরাট দেশের এক অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটক গন্তব্য। এই রাজ্য তার সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, ঐতিহাসিক তাৎপর্য, হস্তশিল্প এবং অগণিত পর্যটক আকর্ষণের জন্য সুখ্যাত। ভারতের সবচেয়ে শিল্পোন্নত অঞ্চল হওয়া ছাড়াও গুজরাট সমগ্র দেশের একটি প্রধান কেন্দ্র। প্রেম, সহজাত দক্ষতা, রহস্য, স্পন্দনশীল রঙ এবং অসীম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের একটি দেশ গুজরাট অসংখ্য পর্যটকদের আকর্ষণ করে।

    গুজরাটের গুরুত্বপূর্ণ পর্যটক গন্তব্যগুলি হল নিম্নলিখিত –

    গুজরাটের সমুদ্র সৈকত

    গুজরাটে দেশেরএক অন্যতম দীর্ঘ উপকূলরেখা রয়েছে। অসাধারণ সৈকত রিসর্ট, তীরবর্তী মন্দির ও নীল উপহ্রদ সহ
    গুজরাট শ্রেষ্ঠ সমুদ্র-সৈকতের দেশ। প্রাকৃতিক ইতিহাস এবং ধর্মীয় মিনারের সমন্বয়সহ গুজরাট ভারতীয় উপমহাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্যটক গন্তব্যস্থলগুলির মধ্যে একটি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
    বিস্তারিত তথ্য….

    গুজরাটের ধর্মীয় স্থান

    গুজরাটে হিন্দুধর্ম ও ইসলাম উভয়ের অন্তর্গত বহু ধর্মীয় স্থান রয়েছে। এর মধ্যে কিছু ধর্মীয়স্থানগুলি হল –

    বিস্তারিত তথ্য….

    গুজরাটের জাতীয় উদ্যান এবং অভয়ারণ্য

    বিস্তারিত তথ্য….

    গুজরাটের দর্শনীয় শহর

    আহমেদাবাদ

    মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে যুক্ত অপরিমেয় ঐতিহাসিক তাৎপর্যের কারণে আহমেদাবাদ গুজরাটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোর মধ্যে এক অন্যতম। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পর্যটকদের দ্বারা পরিদর্শিত গুজরাটের এই বিখ্যাত পর্যটক গন্তব্য তার অনন্য স্থাপত্যের জন্য জনপ্রিয় যা ইসলামী এবং হিন্দু শৈলীর একটি স্পন্দনশীল সংমিশ্রণ। বিস্তারিত ….

    আহমেদাবাদের কিছু জনপ্রিয় পরিদর্শনীয় স্থানগুলি হল –

    • সবরমতি আশ্রম / মহাত্মা গান্ধীর ঘর
    • ক্যালিকো মিউজিয়াম অফ টেক্সটাইল
    • আদালাজ স্টেপ-ওয়েল
    • হাথি সিং জৈন মন্দির
    • কঙ্করিয়া লেক, ভাদ্র ফোর্ট
    • শেকিং মিনার

    গান্ধিনগর

    আহমেদাবাদের উত্তরে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত গুজরাটের রাজধানী গান্ধিনগর অক্ষরধাম এবং শামলাজি-র মত অসংখ্য পর্যটক গন্তব্যের প্রস্তাব দেয়।
    বিস্তারিত ….

    গান্ধিনগরের কিছু জনপ্রিয় পর্যটন স্থান হল –

    • শিশু উদ্যান
    • সারিতা উদ্যান
    • হরিণ পার্ক
    • অক্ষরধাম মন্দির
    • বোটানিক্যাল গার্ডেন এবং কেনাকাটার বাজার।

    জামনগর

    আহমেদাবাদ থেকে ৩০২ কিমি দূরত্বে অবস্থিত, জামনগর গুজরাটের অন্য আরেকটি মুকুটের মণি। দুর্গ, প্রাসাদ ও ধর্মীয় স্থাপনার আকারের শ্রেষ্ঠ স্থাপত্য নিদর্শনের কিছু প্রস্তাব সহ জামনগর তার দর্শকদের প্রলুব্ধ করতে কখনও বিরত হয়না।

    জামনগরের কিছু উল্লেখযোগ্য পর্যটন গন্তব্যস্লগুলি হল –

    • কোঠা বস্তি
    • উইলিংটন ক্রিসেন্ট
    • লাখোটা ফোর্ট
    • সূর্যঘড়ি
    • জামসাহেব প্রাসাদ
    • বোহরা হাজিরা
    • লাখোটা মিউজিয়াম
    • রানমল লেক
    • আদিনাথ মন্দির
    • বালা হনুমান মন্দির
    • ভিড় ভঞ্জন মন্দির
    • শান্তিনাথ মন্দির
    • বেট দ্বারকা বিচ রোজী

    বদোদরা

    সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসাবে পরিচিত গুজরাটের বদোদরা গুজরাটের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ব্যাপক ভাবে প্রকাশ করে। বিস্তীর্ণ বাগান , বিস্ময়কর চারুকলা এবং লোক নৃত্যের জন্য সুপরিচিত বদোদরা গুজরাটের পর্যটক আকর্ষণের তালিকার শীর্ষ স্তরে রয়েছে।
    বিস্তারিত ….

    বদোদরার কিছু জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যগুলি হল –

    • লক্ষ্মী বিলাস প্যালেস
    • বি.এ.পি.এস স্বামিনারায়ন মন্দির
    • ই.এম.ই মন্দির বদোদরা
    • বরোদা মিউজিয়াম ও আর্ট গ্যালারি
    • সায়াজি বাগ বদোদরা
    • খানডেরাও বাজার
    • মহারাজা ফতেহ্ সিং মিউজিয়াম

    পভাগড়

    একটি বিস্ময়কর গন্তব্য পভাগড়, একটি ছোট শৈল শহর তার মনোহর প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং নির্মলতার জন্য সুপরিচিত। পভাগড় শিরোনামের সঙ্গে অর্পিত এই বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানটিকে গুজরাটের অধিকাংশ দর্শনীয় পর্যটক গন্তব্যস্থলগুলির মধ্যে একটি বলে গণ্য করা হয়।

    পভাগড়ের কিছু জনপ্রিয় পর্যটন স্থানগুলি হল –

    • চম্পানের পভাগড় প্রত্নতাত্ত্বিক পার্ক
    • পভাগড় পাহাড়
    • কালিকা মাতা মন্দির
    • পভাগড় মন্দির
    • মাচি হাভেলি
    • সদন শাহ পীর দরগা

    চম্পানের

    গুজরাটের পাবাগড় পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত চম্পানের ভারতের প্রাচীনতম শিলারূপ। প্রকৃত নগর শৈলীতে নির্মিত অধিকাংশ ঐতিহাসিক মন্দির চম্পানের-এর একটি প্রত্নতাত্ত্বিক বিস্ময়। এই শহরের অন্যান্য আবশ্যক দর্শনীয় স্থান হল জামা মসজিদ, যা ইন্দো ইসলামী স্থাপত্য শৈলীর একটি সংক্ষিপ্তসার।

    পোরবন্দর

    সারা বছর জুড়ে তীর্থযাত্রীদের দ্বারা নিয়মিত ভাবে পরিদর্শিত পোরবন্দরে প্রাচীন ভারতের কিছু শ্রেষ্ঠ পবিত্র মন্দির রয়েছে। সরলতার সঙ্গে আধুনিকতার একটি সংমিশ্রণ গুজরাটের এই শহরকে শ্রেষ্ঠ পর্যটক গন্তব্যস্থলগুলির মধ্যে এক অন্যতম হিসাবে গণনা করা হয়।
    বিস্তারিত ….

    পোরবন্দরের কিছু জনপ্রিয় পর্যটক আকর্ষণগুলি হল –

    • কীর্তি মন্দির
    • আর্য কন্যা
    • গুরুকুল
    • সুদামা মন্দির
    • ভারত মন্দির এবং দ্য প্লানেটাোরিয়াম

    আনন্দ

    গুজরাটের আনন্দ শহর জনপ্রিয়ভাবে ‘’ভারতের দুগ্ধ মূলধন’ হিসাবে পরিচিত। আনন্দ শহর তার সুবিখ্যাত ‘আমুল’ দুধ এবং তার’ দুগ্ধ – বিপ্লবের’ জন্য সুপরিচিত। ভারতের ‘জাতীয় দুগ্ধ উন্নয়ন বোর্ড’ এবং ‘আনন্দ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়’ গুজরাটের আনন্দ শহরে অবস্থিত।

    আনন্দ শহরের কিছু জনপ্রিয় পর্যটক আকর্ষণ হল –

    • স্বামী নারায়ণ মন্দির
    • রাঞ্ছোদ্রাই ডাকোর মন্দির
    • আমুল দুগ্ধ মিউজিয়াম
    • ফ্লো আর্ট গ্যালারি
    • সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল এবং বীর বীঠলভাই প্যাটেল মেমোরিয়াল

    ভাবনগর

    ভাবনগর গুজরাটের উৎপাদিত তুলা উপকরণের জন্য একটি প্রধান বাণিজ্যিক বন্দর। এই বন্দর ১৭৪৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ভাবনগর লক গেট নিম্ন জোয়ারের সময় এই বন্দরে জাহাজ পরিচালনা করে। এটি শুধু একটি পর্যটন আকর্ষণ হিসেবে বিবেচিত স্থান নয়।
    বিস্তারিত ….

    ভাবনগরের কিছু জনপ্রিয় পর্যটক গন্তব্য হল –

    • তাকতেশ্বর মন্দির
    • গান্ধী স্মৃতি মিউজিয়াম বা গান্ধী মেমোরিয়াল
    • গঙ্গাজলীয়া
    • টাউন হল
    • গৌরী শঙ্কর লেক
    • সমলদাস কলেজ
    • দ্য বার্টন লাইব্রেরী
    • ওয়াটার লক গেট

    জুনাগড়

    চিত্রবৎ গিরনার পাহাড়ের পাদদেশে গুজরাটের জুনাগড় অবস্থিত। এটা গির অরণ্যের পর্যটকদের জন্য অপগমনের স্থান। গিরনার পাহাড়ে বহু সংখ্যক মন্দির রয়েছে। বহু সংখ্যক পুরাতন ভবন সহ জুনাগড় একটি অত্যন্ত চিত্তাকর্ষক শহর।যদিও, খুব অল্প পর্যটক এই জায়গায় আসেন। এর পিছনে প্রধান কারণ হল প্রচারের অভাব। মানুষ সম্ভবত জুনাগড়ের নির্মলতা এবং নান্দনিক সৌন্দর্য সম্পর্কে অজ্ঞাত।

    জুনাগড়ের কিছু জনপ্রিয় পর্যটক আকর্ষণ হল –

    • অক্ষর মন্দির
    • ভাবনাথ মন্দির
    • দাতার পাহাড়
    • দরবার হল মিউজিয়াম
    • সম্রাট অশোকের শিলা অনুশাসন
    • জুনাগড়ের গিরনার পর্বত
    • ইন্তালা, হরপ্পা যুগের ধ্বংসাবশেষ
    • সক্কর বগ চিড়িয়াখানা

    মান্ডবি

    গুজরাটে আহমেদপুর-মান্ডবি সৈকত নামে একটি ভারতের সুপরিচিত শ্রেষ্ঠ সৈকত রয়েছে। এই সৈকতে কিছু স্মরণীয় রোমাঞ্চকর জলক্রীড়া উপলব্ধ রয়েছে। এটি আহমেদাবাদ থেকে ২৯৮ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। এই সমুদ্রের স্ফটিক জল সাঁতারের জন্য একটি আদর্শ স্থান।

    মান্ডবির কিছু পর্যটন গন্তব্য হল –

    • বিজয় বিলাস প্যালেস
    • শ্যামজি কৃষ্ণ বর্মা স্মারক
    • রুক্মাবতী সেতু
    • কাশী বিশ্বনাথ সৈকত
    • মান্ডবি সৈকত
    • তোপানসর হ্রদ

    পাতন

    পাতন ইতিহাসের চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছায় গুজরাটের সুবর্ণ যুগ তথা সোলাঙ্কির রাজত্বকালে। সেই সময়, এই শহর শিক্ষার একটি প্রধান স্থান ও তার পাশাপাশি বাণিজ্যের একটি সমৃদ্ধ কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হত। জৈন পাঠ্য, ‘কুমারপালা রাসা’ অনুযায়ী, গুজরাটের পাতন একটি সমৃদ্ধ প্রাচীরবেষ্টিত শহর ছিল।

    পাতনের কিছু উল্লেখযোগ্য পর্যটন কেন্দ্র হল –

    • কালকার নিকটবর্তী পুরাতন দুর্গ
    • রানী-কি-ভাব এবং ত্রিকাম বারোত-নী-ভাব (স্টেপ ওয়েলস্)
    • শাহ্‌স্ট্রালিং সরোবর
    • আনন্দ সরোবর
    • কালকা মন্দির
    • মহালক্ষী মন্দির
    • হিংরাজ মন্দির

    রাজকোট

    গুজরাটের রাজকোট একদা সৌরাষ্ট্রের দেশীয় রাজ্যের রাজধানী হিসাবে গৌরবময় ছিল। এর পাশাপাশি পূর্বে এটি ব্রিটিশ সরকারের সদর দপ্তরও ছিল। গুজরাটের রাজকোট এমন এক স্থান যেখানে মহাত্মা গান্ধী তার জীবনের প্রারম্ভিক সময় অতিবাহিত করেন। এখানে আপনি গান্ধী পরিবারের গৃহ, কাবা গান্ধী নো দেলো পরিদর্শন করতে পারেন। এই গৃহে এখনও গান্ধীজীর জিনিসপত্রের একটি স্থায়ী প্রদর্শনী রয়েছে।
    বিস্তারিত ….

    রাজকোটের কিছু জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য হল-

    • ওয়াটসন মিউজিয়াম
    • কাবা গান্ধী নো দেলো
    • রাজকুমার কলেজ
    • মোহনদাস গান্ধী বিদ্যালয়
    • রাষ্ট্রীয় শালা
    • আজি বাঁধ

    সাসন গির

    শাসন গির গুজরাটের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য সৌরাষ্ট্র উপদ্বীপের পাদদেশে অবস্থিত একটি বিশ্ব বিখ্যাত সিংহের অভয়ারণ্য। এর উত্তর এবং পশ্চিমে গির পাহাড় রয়েছে। এই বন একটি ক্রান্তীয় শুষ্ক পর্ণমোচী ধরনের, যার প্রধান প্রজাতি হল সেগুন। শাসন গির সিংহ অভয়ারণ্য প্রকল্প ১৯৭২ সালে শুরু হয়। স্বাধীনতার আগে এবং পরে গির পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি ঘটে যেখানে মালধারি তথা সিংহ অনেকটাই লুপ্ত হয়। তাই সরকার এই বিষয়ে চিন্তা শুরু করেছেন।

    সুরাট

    গুজরাটের সুরাট তাপ্তি নদীর তীরে অবস্থিত। আগে এটি পশ্চিম ভারতের প্রধান বন্দর হিসাবে ব্যবহৃত হত। এটি প্রমাণিত যে এই বন্দর তখন গুজরাটের একটি প্রবেশদ্বার হিসেবে কাজ করত। পার্সিরা দ্বাদশ শতাব্দীতে গুজরাটের সুরাটে বসতি স্থাপন করে। ১৫৭৩ সালে, সুরাট সম্রাট আকবরের শাসনাধীনে চলে আসে। তিনি বন্দর হিসাবে এই অঞ্চলের অপরিমেয় সম্ভাবনা শনাক্ত করতে পেরেছিলেন। তখন তিনি এই অঞ্চলকে একটি প্রধান বন্দরে পরিণত করেন।
    বিস্তারিত ….

    সুরাটের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রের মধ্যে কয়েকটি হল –

    • চিন্তামণি জৈন মন্দির
    • ডাচ গার্ডেন
    • সর্দার প্যাটেল মিউজিয়াম
    • জওহরলাল নেহেরু গার্ডেন

    গুজরাটে কেনাকাটা

    গুজরাটে কিছু কেনাকাটা না করা পর্যন্ত গুজরাট ভ্রমণ অসম্পূর্ণ রয়ে যায়। পর্যটকরা গুজরাটে কেনাকাটা করতে বেশী ভালবাসে।
    এই রাজ্য তার সমৃদ্ধ ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্পের জন্য বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেছে। গুজরাটের সবচেয়ে জনপ্রিয় হস্তশিল্প বস্ত্রের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। গুজরাটে সূচিকর্মের একটি প্রাচীন ইতিহাস রয়েছে, এখনও তাদের নকশা, রঙ ও সেলাইয়ের বৈচিত্র্যের জন্য খ্যাতি অর্জন করছে।
    গুজরাটের শাড়ী একটি অসাধারণ বৈচিত্র্য প্রদর্শন করে, যেমন- জড়ি খচিত কাজ, পুঁথির কাজ, সজ্জিত কাঁচের কাজ, শাঁখের কাজ সেইসাথে রঙিন এবং মুদ্রিত নকশা।
    গুজরাটে কেনাকাটা করার সময় আপনি কিনতে পারেন –

    • পাটোলা সিল্ক শাড়ি
    • বাঁধনি এবং ঐতিহ্যগত ঘাগড়া – চোলি
    • বিবাহের পোশাক
    • ওয়াল হ্যাঙ্গিং
    • কারুশিল্প, অ্যাপলিকের লেপ
    • দোলনার কাপড়
    • কাপড়ের খেলনা
    • কাজ করা জুতা
    • বার্ণিশ করা আসবাবপত্র
    • দুর্লভ শিল্পবস্তু।

    বহু সংখ্যক সরকারি এম্পোরিয়া এবং ব্যক্তিগত দোকান এই রাজ্যের সব জায়গায় দেখতে পাওয়া যায় যা গুজরাটে কেনাকাটার অভিজ্ঞতাকে আনন্দদায়ক করে তোলে। আহমেদাবাদের কিছু এলাকায় বহু প্রধান দোকান দেখা যায় – সি.ডি রোড, আশ্রম রোড, ল গার্ডেন ও রিলিফ রোড। উভয়ই প্লাস্টিক এবং কাগজের মুদ্রা ব্যাপকভাবে এই রাজ্যে গ্রহন করা হয়।

    * সর্বশেষ সংযোজন : ৪ - ই জুন, ২০১৫