মেঘালয় মানচিত্র

Meghalaya Map in Bengali

মেঘালয় মানচিত্র
* জেলা, রেলপথ, নদী এবং প্রধান সড়ক সংযোগ সহ মেঘালয় মানচিত্র৷

মেঘালয়ের উপর তথ্যাবলী

আধিকারিক ওয়েবসাইট www.meghalaya.gov.in
স্থাপনের তারিখ 21 জানুয়ারি, 1972
আয়তন 22,429 বর্গ কিলোমিটার
ঘনত্ব 132/ বর্গ কিলোমিটার
জনসংখ্যা (2011) 2,966,889
পুরুষ জনসংখ্যা (2011) 1,491,832
মহিলা জনসংখ্যা (2011) 1,475,057
জনসংখ্যার বৃদ্ধি ( 2011) 27.82%
জেলার সংখ্যা 11
রাজধানী শিলং
নদীসমুহ সোমেশ্বরী, জিঞ্জিরাম, কালু, মিঁতড়ু
অরণ্য ও জাতীয় উদ্যান বালপকরাম জাতীয় উদ্যান, নোকরেক জাতীয় উদ্যান, শিজু পক্ষী সংরক্ষণ, নংখইল্লেম বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য
ভাষা খাসি, বাংলা, গারো, হিন্দি, ইংরাজী
প্রতিবেশী রাজ্য আসাম
রাষ্ট্রীয় পশু ধূসর চিতা
রাষ্ট্রীয় পাখি পাহাড়ী ময়না
রাষ্ট্রীয় বৃক্ষ গামারি
রাষ্ট্রীয় ফুল লেডি স্লিপার অর্কিড
রাজ্যের অভ্যন্তরীণ মূল উৎপাদন (2011) 50,427
সাক্ষরতার হার (2011) 91.58%
প্রতি 1000 জন পুরুষে মহিলার সংখ্যা 986
বিধানসভা নির্বাচনক্ষেত্র 60
সংসদীয় নির্বাচনক্ষেত্র 2

মেঘালয় সম্পর্কে

মেঘালয়, মেঘের আলয়, ভারতের উত্তরপূর্ব অঞ্চলের একটি রাজ্য। রাজ্যের মোট আয়তন হল প্রায় ২২,৪২৯ বর্গ কিলোমিটার এবং রাজ্যের এক তৃতীয়াংশ পর্বত ও অরণ্য দ্বারা আবৃত। ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, মেঘালয়ের মোট জনসংখ্যা হল প্রায় ২৯,৬৬,৮৮৯ জন। মেঘালয়ের রাজধানী হল শিলং, রাজ্যটি তার উত্তরে আসাম দ্বারা এবং তার দক্ষিণে বাংলাদেশ দ্বারা বেষ্টিত।

মেঘালয় ভারতের উত্তরপূর্ব অংশে আচ্ছাদিত রয়েছে। এর বাকি অবশিষ্ট অংশ যা রাজ্যের সীমান্তের এক প্রধান অংশ আসামের উত্তর এবং পূর্ব অংশে অবস্থান করছে। এর দক্ষিণ ও পশ্চিম অংশ বাংলাদেশের সঙ্গে রয়েছে। এটি বিবেচনা করা যেতেই পারে যে, ১,২০০ সেন্টিমিটার বার্ষিক বৃষ্টিপাতের সম্মুখীন হওয়ায় মেঘালয় দেশের সিক্ত রাজ্য হিসাবে বিবেচিত হয়। এখানে গানোল, উমিয়াম, উঁমগোট, উমখেম এবং উমিয়াম সহ অনেক নদী রয়েছে। উপরিউক্ত নদীগুলি ছাড়াও আপনি এখানে আরোও অন্যান্য কিছু নদী দেখতে পেতে পারেন যেমন উমিয়াম মাওয়ফলাং এবং খৃ।

মেঘালয় শব্দটির তাৎপর্য্য

ভাষাগত ভাবে যেমন সংস্কৃত এবং অন্যান্য ভারতীয় উপভাষার গঠন অনুযায়ী, মেঘালয় শব্দটির অভিব্যক্তি বা অর্থ দাঁড়ায় মেঘের আবাস। সমস্ত রাজ্যটি অনেক পর্বত শৃঙ্গের গৃহস্থল হওয়ায় এই নামটি একেবারে আদর্শ।

ইতিহাস

মেঘালয় রাজ্যটি খুব বেশি হলে আসামের দুটি পৃথক জেলাকে বিচ্ছিন্ন করে গঠন করা হয়েছিল। এটি ১৯৭২ সালের ২১শে জানুয়ারী ছিল যেদিন মেঘালয়কে জয়ন্তিয়া পর্বত এবং সংযুক্ত খাসি পর্বত থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়ে। একটি পূর্ণ রাজ্য হিসাবে স্বীকৃতি অর্জন করার পূর্বে, ১৯৭০ সালে এই রাজ্যটি অর্ধ-স্বায়ত্তশাসিত রাজ্য হিসাবে স্বীকৃতি অর্জন করে। যখন ১৯০৫ সালের ১৬ই অক্টোর বাংলা ভাগ হয়ে যায় তখন মেঘালয় পূর্ব বাংলা ও আসামের এক নতুন প্রাদেশিক অংশ হিসাবে স্বীকৃতি অর্জন করে। বাংলার ভাগ হওয়ার পিছনে লর্ড কার্জন দায়ী ছিলেন। যখন ১৯১২ সালে যখন পুনরায় বিভাজন হয় তখন মেঘালয়, আসাম প্রদেশের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠে। এটি ১৯৪৭ সাল, ভারতের স্বাধীনতার সময় ছিল যখন মেঘালয় রাজ্যটি দুটি প্রধান জেলা নিয়ে গঠিত হয় এবং প্রকৃত অর্থে আসাম রাজ্যের মধ্যে এক স্বায়ত্তশাসিত রাজ্য হিসাবে গড়ে ওঠে। এটি একমাত্র ১৯৭১ সালের সময় ছিল, উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের আইন অনুমোদনের পর এই রাজ্যটি একটি পূর্ণ রাজ্য হিসাবে স্বীকৃতি অর্জন করে। রাজ্যটি তার নিজস্ব বিধানসভা পরিষদের আস্বাদন গ্রহন করে।

ভৌগোলিক অবস্থান এবং জলবায়ু

মেঘালয়ের মোট আয়তন হল প্রায় ২২,৪২৯ বর্গ কিলোমিটার। ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী মোট ২৯,৬৪,৮৮৯ জন জনসংখ্যা সহ আপনি এই রাজ্যেকে সংযুক্ত করতে পারেন। এটা সত্য যে এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকটি হল যে আপনি এই রাজ্যটির তার নদীগুলির সাথে সম্পর্কযুক্ত হতে পারেন। আপনি এখানকার গারো পর্বতের মধ্যে প্রধান নদীগুলি দেখতে পেতে পারেন যেমন কলু, রঙ্গি, দারিং, সান্দা এবং সিমসাঙ। রাজ্যের কেন্দ্রীয় ও পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত কিছু প্রধান নদীগুলি হল মীঁতড়ু, দিগারু এবং উঙ্খারি কিয়ানচিয়াঙ। রাজ্যের ভৌগোলিক অবস্থানের উপর কটাক্ষপাত করলে আপনি জানতে পারবেন যে মেঘালয় বিভিন্ন প্রাকৃতিক গাছপালার বৈচিত্র্যে এর প্রকৃতি সমৃদ্ধ রয়েছে। যদিও, এটি চরম উদ্বেগের বিষয় বলে মনে করা যেতে পারে যে বেপরোয়া গোচারণ এবং অপরিকল্পিতভাবে গাছপালার উৎখাদন, এখানকার প্রাকৃতিক গাছপালার ধ্বংসের বা বিনাশের কারণ হয়ে উঠেছে।

মেঘালয়ের অর্থনীতি

মেঘালয়ের অর্থনীতি মূলত ভূস্বামী বিশিষ্ট। রাজ্যের মোট জনসংখ্যার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ রয়েছেন যারা দিনমজুর ও কৃষিতে নিযুক্ত। যদিও মোট জনসংখ্যার অধিকাংশই তারা তাদের পেশা হিসাবে কৃষির সাথে সংযুক্ত, তবে এই বিভাগ রাজ্যের স্থূল ঘরোয়া উৎপাদনে (জি.ডি.পি) খুবই কম অবদান রেখেছে। এখানকার জলবায়ুর পরিস্থিতি, রাজ্যে বিভিন্ন প্রকারের উদ্যানজাতীয় ফসলের চাষে উৎসাহিত করেছে যার মধ্যে রয়েছে সবজি, ফল, মশলা, ফুল ইত্যাদি। রাজটি প্রাকৃতিক সম্পদ এবং উপলব্ধ প্রচুর খনিজের ভান্ডার যেমন সিলিমিনাইট, চুনাপাথর, কয়লা, গ্রানাইট ইত্যাদির প্রাচুর্যে সমৃদ্ধ রয়েছে।

সরকার এবং রাষ্ট্রনীতি

মেঘালয় সরকার সংসদীয় নিয়ম ও মানের লগ্নীকরণের সমস্ত সম্ভাব্য ব্যবস্থা গ্রহণের দ্বায়িত্বে থাকেন। সাধারণ বিচার বিভাগ, রাজ্যপাল এবং মন্ত্রী পরিষদ নিয়ে সরকারের অন্তর্নিহিত কাঠামো গঠিত হয়। এখানে বেশ কিছু রাজনৈতিক দল রয়েছে যারা নিজেদের মধ্যে একটি কঠিন প্রতিযোগিতার মধ্যে উৎসাহিত থাকে। রাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলি জাতীয় ও রাজ্যস্তরের উভয় রাজনৈতিক দলগুলির গর্ব। একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা আপনি মেঘালয়ের সঙ্গে যুক্ত করতে পারেন তা হল জেলা পরিষদ- যা মেঘালয় বিচার বিভাগের একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য। জেলাগুলির নিজস্ব নিরাপত্তা ও বিভিন্ন স্থানীয় উপজাতিগুলির অধিকার নিশ্চিতকরণই হল এই জেলা পরিষদগুলির একমাত্র দ্বায়িত্ব। এই জেলা পরিষদগুলি বিভিন্ন আদিবাসী উপজাতিগুলির অধিকার সংরক্ষণ ও স্বার্থরক্ষায় এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

জনসংখ্যা

মেঘালয়ের জনসংখ্যার অধিকাংশই উপজাতি মানুষদেরকে নিয়ে গঠিত। এই রাজ্যে আপনি খাসি নামে একটি বৃহত্তম সমষ্টি দেখতে পেতে পারেন। খাসি-দের পর, আপনি দেখতে পাবেন রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহওম সমষ্টি যা হল গারো। এগুলি ছাড়াও মেঘালয়ের অন্যান্য কিছু সমষ্টি আপনি দেখতে পেতে পারেন যেমন মিকির, হমার, বোরো, জয়ন্তিয়া এবং লাখার। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্বারা পরিচালিত সাম্প্রতিক আদমশুমারিতে একটি তথ্যে আলোকপাত করা হয়েছে যে প্রায় ৪০,০০০ – ৫০,০০০ নেপালি এখানে বসবাস করে। এছাড়াও শিলং-এ আপনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সৈন্যদের একটি শক্তিশালী ঘাঁটি খুঁজে পেতে পারেন যারা শিলং-এ বসতি স্থাপন করে আছে। এটির থেকে একটি আকর্ষণীয় তথ্যের এক খন্ড উঠে আসে যে মেঘালয় ভারতের সেই তিনটি রাজ্যের মধ্যে গণ্য হয় যেখানে প্রায় ৭০.৩ শতাংশ সংখ্যাগরিষ্ঠ খ্রীষ্টান সম্প্রদায় রয়েছেন।

সমাজ ও সংস্কৃতি

মেঘালয়ের সংস্কৃতি সংক্রান্ত বিষয়ে বলা যেতে পারে যে, মালভূমিটি খুব বেশি হলে তিনটি প্রধান প্রভাবশালী উপজাতি দ্বারা অধ্যূষিত রয়েছে। মালভূমিতে বসবাসকারী তিনটি প্রধান উপজাতিগুলির মধ্যে অন্তর্ভূক্ত রয়েছে গারো, জয়ন্তিয়া এবং খাসি। এখানে বেশ কিছু নৃত্য রয়েছে যা নিয়ে মেঘালয়ের সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ গঠিত যেমন লহু, শাদ নংক্রেম, ডোরেগাতা, শাদ সুকুমিয়েনশিয়েম এবং দো দ্রু-সূয়া। এখানকার মানুষদের কিছু অংশ এই সুকুমিয়েনশিয়েম-কে”সুখী হৃদয়” নৃত্য রূপে বিবেচনা করে। শাদ ওয়েইকিং-টিও নৃত্য হিসাবে উল্লেখ করা যেতে পারে। শাদ ওয়েইকিং নামটি সেই ক্ষেত্রটির নামে দেওয়া হয়েছে যেখানে এই নৃত্যটি প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হয়। এই নৃ্ত্যটিতে মানুষ একটানা তিন দিন ধরে অংশগ্রহন করে। এটি খেয়াল করা কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে কেবলমাত্র অবিবাহিত পুরুষ ও মহিলারাই এই নৃত্যের যোগ্য অংশীদার বলে বিবেচিত হয়।

শিক্ষা

মেঘালয় ধীরে ধীরে কিন্তু সচেতনভাবে সবচেয়ে প্রযুক্তিগত এক উন্নত রাজ্য হিসাবে স্বীকৃতি অর্জন করেছে। নির্বিশেষে একটি ঘটনা সত্যি যে, এই রাজ্যটি ভারত দেশের খুব একটা বেশি অংশ দখল করে নেই। ২০১১ সালের সংগৃহীত আদমশুমারিতে একটি ঘটনার উপর আলো এনেছে যে রাজ্যের মোট সাক্ষর জনসংখ্যা হল ৭৫.৪৮ শতাংশ। মেঘালয় রাজ্যের মধ্যে অবস্থিত এখানে অনেক জুনিয়ার এবং প্রাথমিক মৌলিক বিদ্যালয় রয়েছে। এখানে আপনি সবচেয়ে পছন্দের দুটি শিক্ষক প্রশিক্ষন মহাবিদ্যালয় দেখতে পাবেন। এই রাজ্যে অবস্থিত আপনার সবচেয়ে পছন্দের একমাত্র পলিটেকনিক এবং বিশ্ববিদ্যালয় দেখতে পাবেন। এখানে অনেক উচ্চ ও মধ্যম স্তরের মৌলিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।

মিডিয়া

মেঘালয় মিডিয়ার ইলেকট্রনিক ও মুদ্রিত এই উভয় মাধ্যমেই একটি শক্তিশালী উপস্থিতি রয়েছে। অনেক জাতীয় ও স্থানীয় সংবাদপত্র ও পত্রিকার এক বিশাল সমষ্টি প্রকাশনের মাধ্যমটির দায়িত্বে রয়েছেন এবং বিভিন্ন সংবাদ চ্যানেল এবং সংবাদ পোর্টাল-গুলি ইলেকট্রোনিক মেঘালয় মিডিয়ার গঠন করেছে।

কথ্য ভাষা

এখানে মেঘালয়ে বেশ কিছু কথ্য ভাষা রয়েছে। গারো, খাসি এবং প্নার সহ বেশ কিছু ভাষা রয়েছে যেগুলি মেঘালয়ের মানুষ কথা বলার সময় ব্যবহার করে। খাসি ভাষাটিকে অস্ট্রো-এশীয় ভাষা রূপে বিবেচনা করা যেতে পারে, যেটিতে প্রাথমিকভাবে মেঘালয়ের মানুষ কথা বলে। খাসি ভাষাটি অস্ট্রো-এশীয় ভাষী পরিবারের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ নিয়ে গঠিত। এর সঙ্গে মুন্ডা শাখার পরিবারেরও সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়। সম্পূর্ণ মেঘালয় রাজ্যের মধ্যে আপনি প্রায় ৮,৬৫,০০০-এরও বেশি খাসি কথ্যভাষী মানুষ দেখতে পেতে পারেন। আসামের পার্বত্য জেলাগুলিতে বসবাসকারী মানুষও এই একই ভাষায় কথা বলে। বাংলাদেশের কিছু অধিবাসীরাও এই উপরোক্ত ভাষায় কথা বলতে জানে। খাসি উপভাষাগত ভিন্নতার এক নির্দিষ্ট মান বজায় রাখে। এখানে পারস্পরিক নিজস্ব বোধগম্যরূপে আরোও কয়েকটি উপভাষা রয়েছে। অন্যান্য আরোও কয়েকটি উপভাষা হল ওয়্যার, চেরাপুঞ্জি, হৃনৃয়াম।

উন্নত পরিবহন ব্যবস্থা

রাজ্যের উন্নত পরিবহন ব্যবস্থার সুবিধার দরুণ মেঘালয়কে আপনি যুক্ত করতে পারেন যা পর্যটকদের এখানে আসতে প্রেরণা দেয়। এখানকার সংশ্লিষ্ট অধিকাংশ মানুষই মেঘালয়ের উন্নত পরিবহন ব্যবস্থার দ্বারা আনন্দিত। সড়ক ও বিমান সংযোগ খুবই শক্তিশালী এবং যা রাজ্যের সমস্ত প্রধান শহরগুলির মধ্যে পৌঁছতে তার উপযুক্ত সংযোগ ব্যবস্থা আপনাকে প্রেরিত করে তুলবে। তবে, এটি স্পষ্ট করে বলে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ যে রাজ্যের কিছু অংশ রয়েছে যেখানে উপযুক্ত পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায়নি। প্রায় ৭,৬৩৩ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক সংযোগ আপনি মেঘালয় রাজ্যের নামে সংযুক্ত করতে পারেন। আপনি উপযুক্ত ও উন্নত সড়ক সংযোগ উপভোগ করতে পরেন যেমন ত্রিপুরার আগরতলায়, আসামের শিলচর এবং মিজোরামের আইজল-এ। জাতীয় মহাসড়কগুলি প্রাথমিকভাবে নিখুঁত উন্নত সড়ক সংযোগের উদাহরণ প্রদান করে, এইভাবেই সমস্ত ভ্রমণার্থীদের অধিকাংশই এর জন্য চরম আনন্দে এখানে প্রতিপাদন করে।

মেঘালয়ের পর্যটন

এটা বলা ভুল হবে না যে, পর্যটন মেঘালয় অর্থনীতির এক প্রধান অংশ হিসাবে অনুমান করা হয়। সাম্প্রতিক কালে রাজ্যটি বড় পরিমাণে বিকশিত হয়েছে। একটি ঘটনা ঠিক যে, আসলে মেঘালয় সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া উদ্যোগ রাজ্যটিকে একটি নতুন মাত্রায় উন্নীত করতে সাহায্য করেছে। এই রাজ্যের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন স্থল আপনি ঘুরে দেখতে পারেন যেমন শিলং, মৌসিনরাম এবং চেরাপুঞ্জি। এখানে অবস্থিত বেশ কিছু স্থান রয়েছে যা সংশ্লিষ্ট পর্যটকদের মধ্যে খুবই আকর্ষিত এবং যেগুলি আপনি ঘুরে দেখতে পছন্দ করবেন যেমন খাসি পর্বতের মোনোতিথ, জাক্রেম, জোওয়াই এবং বালপকরাম জাতীয় উদ্যান। এই উপরোক্ত পর্যটন স্থানগুলি ছাড়াও, আপনি পরিদর্শন যোগ্য আরোও কিছু জায়গা দেখতে পেতে পারেন যেমন নাটিয়াং, নোকরেক জীবমন্ডল, তুরা এবং সিজু গুহা।

মেঘালয়ের হোটেল

মেঘালয় রাজ্যে ঘুরতে আসা পর্যটকদের খাদ্য ও চাহিদা পূরণের জন্য ছোটো থেকে শীর্ষ পর্যায়ের এবং বিভিন্ন বাজেটের হোটেল আছে। এর পাশাপাশি, এখানে প্রচুর রিসর্ট, রেস্তোঁরা এবং ক্যাফেও রয়েছে যেগুলি সমস্ত রকমের পর্যটকদের চাহিদা পূরণ করে। শিলং-এ অবস্থিত কিছু জনপ্রিয় হোটেল হলঃ লাখ্খোটা লজ, রি কিয়নজাই, পাইনউড হোটেল, হোটেল সেন্টার পয়েন্ট, হোটেল অ্যলপাইন কোন্টিনেন্টাল, এশিয়্যান কোনফ্লুয়েন্স, ব্লুবেরী ইন, দ্য ঈই সিই হোটেল, শিলং বেড আ্যন্ড ব্রেকফাস্ট এবং আ্যরোডেন কটেজ হল অন্যতম।

* সর্বশেষ সংযোজন : ২৭- শে ফেব্রুয়ারী, ২০১৫