জম্মু ও কাশ্মীর মানচিত্র

Jammu and Kashmir Map in Bengali

জম্মু ও কাশ্মীর মানচিত্র
* জম্মু ও কাশ্মীর মানচিত্রে এখানকার প্রধান সড়ক, রেলপথ, নদী, জাতীয় সড়ক ইত্যাদি দেখানো হয়েছে।

জম্মু ও কাশ্মীরের উপর তথ্যাবলী

আধিকারিক ওয়েবসাইট www.jkgad.nic.in
স্থাপনের তারিখ 26 অক্টোবর, 1947
আয়তন 222,236 বর্গ কিলোমিটার
ঘনত্ব 124/ বর্গ কিলোমিটার
জনসংখ্যা(2011) 12,541,302
পুরুষ জনসংখ্যা(2011) 6,640,662
মহিলা জনসংখ্যা(2011) 5,900,640
জেলার সংখ্যা 22
রাজধানী শ্রীনগর (গ্রীষ্মকালীন) এবং জম্মু (শীতকালীন)
নদীসমূহ চন্দ্রভাগা, ঝিলাম, সিন্ধু, জঁস্কর, শূরু, নূবরা, শায়ক
অরণ্য ও জাতীয় উদ্যান দচিগাম জাতীয় উদ্যান, হেমিশ উচ্চতর উচ্চতায় জাতীয় উদ্যান
ভাষা উর্দূ, হিন্দি, পাঞ্জাবি, ডোগ্রি, কাশ্মীরি, বালটি, লাদাখি, পুরিগ, গুরজি, দাদ্রি
প্রতিবেশী রাজ্য হিমাচল প্রদেশ, পাঞ্জাব
রাষ্ট্রীয় পশু হঙ্গুল
রাষ্ট্রীয় পাখি কালো-গ্রীবাযুক্ত ক্রেন
রাষ্ট্রীয় বৃক্ষ চিনার
রাষ্ট্রীয় ফুল পদ্ম
রাজ্যের অভ্যন্তরীণ মূল উৎপাদন (2011) 37496
সাক্ষরতার হার (2011) 67.63%
প্রতি 1000 জন পুরুষে মহিলার সংখ্যা 883
বিধানসভা নির্বাচনক্ষেত্র 87
সংসদীয় নির্বাচনক্ষেত্র 6

জম্মু ও কাশ্মীর সম্পর্কে

জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের সবচেয়ে উত্তর দিকের রাজ্য। এটি উত্তরে আফগানিস্তান এবং চীন, পূর্বদিকে চীন, দক্ষিণ দিকে ভারতের হিমাচল প্রদেশ ও পাঞ্জাব দ্বারা এবং পশ্চিমে পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিম প্রাদেশিক সীমান্ত ও পাঞ্জাব প্রাদেশিক সীমান্ত দ্বারা বেষ্টিত। জম্মু ও কাশ্মীর ২২২,২৩৬ বর্গকিলোমিটার (৮৫,৮০৫ বর্গমিটার) এলাকা জুড়ে আচ্ছাদিত রয়েছে।

রাজ্যটি তিনটি অঞ্চল নিয়ে গঠিতঃ জম্মুর পাদদেশীয় সমভূমি; কাশ্মীরের হ্রদ ও নীল উপত্যকার ক্রমবর্ধমান অ্যালপাইন গিরিপথ, উচ্চতর উচ্চতার সমভূমি ও লাদাখের অনমনীয় সুন্দর পর্বত যা গিরিপথ অতিক্রম করে গেছে। সিন্ধু নদী কাশ্মীরের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে এবং এই অঞ্চলের উত্তর-পূর্ব অংশে ঝিলম নদীর উৎপত্তি হয়েছে।

দক্ষিণ ভারত ও মধ্য ভারতের তুলনায় কাশ্মীরে একটি সুষম জলবায়ু রয়েছে। সুন্দর উপত্যকাটি বিখ্যাত ভ্রমণ অঞ্চলরূপে উল্লেখযোগ্য। জম্মু ও কাশ্মীরের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী হল শ্রীনগর, শীতকালীন রাজধানী হল জম্মু।

জম্মু ও কাশ্মীরের ইতিহাস

পূর্বে হিন্দু রাজা ও মুসলিম সুলতানদের অধীনে থাকা জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্য, সম্রাট আকবরের অধীনে মোঘল সাম্রাজ্যের অংশ হয়ে ওঠে। ১৭৫৬ সাল থেকে আফগান শাসনের পর, ১৮১৯ খ্রীষ্টাব্দে এই রাজ্য পাঞ্জাবের শিখ রাজত্বের অধীনে আাসে। ১৮৪৬ খ্রীষ্টাব্দে রঞ্জিত সিং জম্মু অঞ্চল মহারাজা গুলাব সিং-য়ের নিকট হস্তান্তর করেন। ১৮৪৬ খ্রীষ্টাব্দে সাবরুন-এর নিষ্পত্তিমূলক যুদ্ধের পর, অমৃতসর চুক্তির দ্বারা কাশ্মীরও মহারাজা গুলাব সিং-য়ের হস্তান্তরে চলে আসে।

১৯৪৭ সালে, এই রাজ্য পাকিস্তান থেকে সশস্ত্র আক্রমণের বিষয় হয়ে ওঠে এবং ১৯৪৭ সালের ২৬শে অক্টোবর মহারাজা দ্বারা একটি অঙ্গীকার পত্র স্বাক্ষরের মাধ্যমে, এই রাজ্যের ভারতে অন্তর্ভূক্তি মেনে নেওয়া হয়। ১৯৪৯ সালের জানুয়ারী মাসে, ভারত তৎকালীন রাষ্ট্রপুঞ্জের নিকট প্রস্তাব দেয়। তখন থেকে কাশ্মীর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কলহের বিষয় হয়ে রয়েছে। এক দশকের উপর ধরে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন, এই রাজ্যের শান্তি বিঘ্নিত করেছে।

জনসংখ্যা

২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, জম্মু ও কাশ্মীরের জনসংখ্যা হল ১,২৫,৪১,৩০২ জন। রাজ্যের অধিকাংশ জনসংখ্যাই মুসলিম সম্প্রদায় নিয়ে গঠিত। ইসলাম ধর্মের প্রাধান্য থাকলেও, হিন্দু, বৌদ্ধ এবং শিখ সম্প্রদায়ের মানুষও এই রাজ্যে রয়েছে। হিন্দুরা আবার বিভিন্ন দলে বিভক্ত- যেমন রাজপুত, ব্রাহ্মণ, জাট্ এবং ক্ষত্রিয়। কাশ্মীর উপত্যকায় আর এক সম্প্রদায় রয়েছে, যারা কাশ্মীরি ব্রাহ্মণ বা কাশ্মীরি পন্ডিত নামে পরিচিত। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার অনুমান অনুযায়ী, সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীরি পন্ডিতেরা রাজনৈতিক উত্তেজনা, দাঙ্গা ও অর্থনৈতিক কারণে ব্যক্তিগতভাবে বাস্তুচ্যূত হয়েছেন।

ভৌগোলিক অবস্থান

রাজ্যটি ৩৯৫ মিটার থেকে ৬৯১০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। এখানকার জলবায়ু বৈচিত্র্যময়, যার প্রধান কারণ হল এখানকার রূঢ় অসমতল ভূসংস্থান। বাইরের পার্বত্যময় ও সমতল এলাকায় বৃষ্টিপাতের জন্য গ্রীষ্মকালে এখনে জলবায়ু হালকা থাকে। আর্দ্রতা বোঝাই বাতাস উচ্চ শিখরে আছড়ে পড়ায় এখানকার তাপমাত্রা নীচের দিকে নেমে আসে। বাইরের সমতলের চেয়ে উচ্চতর উচ্চতায় অবস্থিত হওয়ায় উপত্যকার জলবায়ু বেশ শীতল হয়। শীতকালে ভূমধ্যসাগরীয় বাতাস এই উপত্যকায় তুষারপাতের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। গ্রীষ্মকাল এখানে হালকা এবং স্বল্পমেয়াদী তথা শীতকাল শীতল এবং শুষ্ক। ক্রমবর্ধমান উচ্চতার সঙ্গে এখানে ঠান্ডার মাত্রাও বাড়তে থাকে এবং স্বাভাবিকভাবেই উচ্চতর পর্বতশৃঙ্গ গুলিতে তুষারপাতও হতে থাকে।

অর্থনীতি ও পরিকাঠামো

রাজ্যে সীমিত খনিজ এবং জীবাশ্ম জ্বালানি সম্পদ রয়েছে এবং এগুলির বেশিরভাগই জম্মু অঞ্চলে কেন্দ্রীভূত রয়েছে। জম্মুর কাছাকাছি জায়গায় প্রাকৃতিক গ্যাসের সামান্য ভাণ্ডার আছে, এবং উধমপুর জেলায় বক্সাইট ও জিপসাম পাওয়া যায়। অন্যান্য খনিজগুলির মধ্যে রয়েছে চুনাপাথর, কয়লা, দস্তা এবং তামা। ভূমিতে সর্বত্র জনসংখ্যার চাপ সুস্পষ্ট রূপে লক্ষ্য করা যায় এবং সমস্ত উপলব্ধ সম্পদ ব্যবহৃত হয়। হ্রদ এবং নদীগুলি থেকে পাওয়া যায় মাছ, পানিফল, জলবিদ্যূৎ, পরিবহন- যা পর্যটকদের আকর্ষণ করে। পর্বতগুলি বিভিন্ন ধরনের কাঠ এবং গবাদিপশুর চারণভূমির সরবরাহ স্হল। গুজ্জর ও গাড্ডি যাযাবরেরা, তাদের ভেড়া, ছাগল, তিব্বতী ষাঁড়, খচ্চরসহ মৌসুমিপ্রবাস অর্থাৎ সময়ের সাথে জায়গা পরিবর্তন করে।

অধিকাংশ মানুষ বিভিন্ন সারিবদ্ধ ঢালু চত্বরে জীবনধারণ উপযোগী কৃষিতে নিযুক্ত, প্রতিটি ফসল স্থানীয় পরিস্থিতিতে অভিযোজিত হয়। এখানকার প্রধানতম উৎপাদিত ফসল ধান, যা মে মাসে রোপণ করা হয় এবং সেপ্টেম্বরের একেবারে শেষের দিকে ফসল কাটা হয়। কর্ন (ভূট্টা), বাজরা, ডাল (শিমজাতীয় যেমন মটর, বিনস এবং ডাল), তুলা, তামাক এবং ধান হল প্রধান গ্রীষ্মকালীন ফসল, অন্যদিকে গম, বার্লি বসন্তকালীন মুখ্য ফসল। শহুরে বাজারের সন্নিহিত এলাকায় বা জৈব মাটি সমৃদ্ধ উপযুক্ত জলজ এলাকায় অনেক নাতিশীতোষ্ণ ফল ও সবজির ফলন হয়।

সরকার ও রাষ্ট্রনীতি

জম্মু ও কাশ্মীরে সরকারের সর্ব্বোচ্চ কর্তৃত্ব রয়েছে এবং রাজ্যের ২২টি জেলা নিয়ন্ত্রন করে। অন্যান্য রাজ্যের ন্যায়, এই রাজ্যেও তিনটি শাখা রয়েছে- নির্বাহী, আইন ও বিচার বিভাগ। নির্বাহী শাখা রাজ্যপালের নেতৃ্ত্বে চালিত হয় যিনি রাজ্যের প্রধান হিসাবেও গণ্য হন। নির্বাহী ক্ষমতা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর উপর ন্যস্ত থাকে। রাজ্যের ৮৯জন সদস্য নিম্ন কক্ষে (বিধান সভা) এবং ৩৬জন সদস্য উচ্চ কক্ষে (বিধান পরিষদ)-এ রয়েছে।

প্রশাসনিক বিভাগ

জম্মু ও কাশ্মীর তিনটি বিভাগে বিভক্ত রয়েছে- জম্মু, কাশ্মীর উপত্যকা এবং লাদাখ। এইগুলি আবার ২২টি জেলায় বিভক্ত রয়েছে। সেগুলি হল- অনন্তনাগ, বড়গাম, বন্দিপুরা, বারমূলা, ডোডা, গন্ডারবাল, জম্মু, কার্গিল, কথুয়া, কিশতওয়ার, কুপওয়ারা, কুলগাম, লেহ, পুঞ্চ, পুলওয়ামা, রাজৌরি, রামবন, রিয়াসি, সাম্বা, শোঁপিয়া, শ্রীনগর এবং উধমপুর। রাজ্যের দুটি পৌর নিগম রয়েছে, ৯টি পৌর পরিষদ এবং ২১টি পৌর পর্ষদ রয়েছে।

সমাজ ও সংস্কৃতি

জম্মু ও কাশ্মীরে ভারতের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় সর্ব্বোচ্চ অনুপাতে মুসলিম রয়েছে, যা মোট জনসংখ্যার দুই তৃতীয়াংশ। শেষ তৃতীয় ভাগ বেশিরভাগই হিন্দুদের নিয়ে গঠিত, এবং সেখানে কিছু সংখ্যালঘু শিখ ও বৌদ্ধ রয়েছে। উর্দূ এই রাজ্যের সরকারি ভাষা। জম্মু ও কাশ্মীরে- পৃথক বহুমুখী, বিচিত্র এবং অনন্য সংস্কৃতির মিশ্রন দেখা যায়, যার ফলে এটি দেশের বাকিদের থেকে স্বতন্র, শুধুমাত্র সংস্কৃতিগত এবং ঐতিহ্যগত ভিন্নতা নয়, ভৌগোলিকগত দিক, জনসংখ্যার দিক, নৈতিক এবং সামাজিক সত্বার দিক থেকেও এটি বাকিদের থেকে আলাদা। এর বিভিন্ন সাংস্কৃতিক গঠন- যেমন শিল্প-স্থাপত্য, উৎসব-অনুষ্ঠান, ক্রিয়া-কার্যকলাপ, দর্শন ও সাহিত্য, ভাষা ও পর্বত ইত্যাদিতে অনন্ত ইতিহাস জড়িয়ে আছে যা অসম সাংস্কৃতিক বন্ধন এবং সাংস্কৃতিক প্রথা সহ তাদের বৈচিত্রতার মধ্যে একতার কথা বলে। যেখানে কাশ্মীর, সংস্কৃত ও ফরাসী-র সর্ব্বোচ্চ শিক্ষা কেন্দ্র হিসাবে গড়ে উঠেছে- পূর্বে সেখানে সিন্ধু-আর্য সভ্যতার উৎপত্তি ও বিকাশ হয়েছিল এবং এখান থেকেই ভারতে ইসলাম ধর্মের আবির্ভাব হয়।

একদিকে লাদাখ যেমন তন্ত্রযাণ বৌদ্ধদের সর্ব্বোচ্চ কেন্দ্র ছিল তেমনই জম্মু ,রাজা ও মহারাজাদের কেন্দ্র ছিল- যা রাজ্যের এই সমস্ত ভিন্ন ভিন্ন জাতিগত ও ভাষাগত বিভাগের সাংস্কৃতিক, ঐতিহাসিক এবং সামাজিক মেলবন্ধনে সমৃদ্ধ হয়েছে। প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক মিনার ও ধ্বংসাবশেষ রাজ্যের স্বতন্ত্র সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সাক্ষ্য বহন করে চলেছে।

ভাষা

জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের প্রধান কথ্য ভাষাগুলি হল কাশ্মীরি, উর্দূ, পাহাড়ী, ডোগ্রি, বালতি, গোজরি, লাদাখি, শিনা এবং পাশতো। যাইহোক, ফারসীতে লেখা উর্দূ হল জম্মু ও কাশ্মীরের সরকারি ভাষা।

শিক্ষা

২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, জম্মু ও কাশ্মীরের সাক্ষরতার হার হল ৬৮.৭৪ শতাংশ। রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা বিভিন্ন পর্যায়ে বিভক্ত রয়েছে- প্রাথমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, মহাবিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়। রাজ্যের পাবলিক ও বেসরকারি বিদ্যালয়গুলি হয় জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (জে.কে.বি.ও.এস.ই) অথবা কেন্দ্রীয় মধ্য শিক্ষা পর্ষদ (সি.বি.এস.ই) দ্বারা অনুমোদিত। এখানে উচ্চ শিক্ষার জন্য অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে যেমন- শ্রীমাতা বৈষ্ণোদেবী বিশ্ববিদ্যালয়, গভর্নমেন্ট কলেজ অফ ইঞ্জিনীয়ারিং আ্যন্ড টেকনোলোজি এবং ইসলামিক ইউনিভারসিটি অফ সায়্যন্স আ্যন্ড টেকনোলোজি ইত্যাদি।

জম্মু ও কাশ্মীরের পর্যটন

কাশ্মীর উপত্যকা ভূস্বর্গ হিসাবে বর্ণিত। রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্রগুলি হল- শ্রীনগরে অবস্থিত চশমা শাহী প্রস্রবণ, শালিমার বাগ, ডাল লেক ইত্যাদি; উপত্যকায় অবস্থিত গুলমার্গ, পাহেলগাম, সোনমার্গ ইত্যাদি; জম্মুর কাছে বৈষ্ণোদেবী মন্দির এবং পাটনীটপ ইত্যাদি। ১৯৮৯ সালের বিদ্রোহের আগে কাশ্মীরি অর্থনীতিতে পর্যটনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। এই সময়ের পরে পর্যটন ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। বর্তমানে, রাজ্যে হিংসা কম হওয়ার জন্য পর্যটনের প্রভূত উন্নতি হয়েছে। ২০১১ সালে, লাখেরও বেশি পর্যটক জম্মু ও কাশ্মীর পরিদর্শন করতে এসেছিলেন।

জম্মু ও কাশ্মীরের হোটেল

রাজ্যে পর্যটকদের চাহিদা অনুযায়ী তারকা ও তারকাহীন হোটেল রয়েছে। এখানে অনেক রিসর্ট, রেস্টুরেন্ট এবং ক্যাফে রয়েছে যেগুলি ভ্রমণার্থীদের সমস্ত প্রকারের চাহিদা পূরণ করে। জম্মু ও কাশ্মীরের হোটেলগুলি অতিথিদের উচ্চ মানের সুবিধা প্রদান করে এবং তাদের সর্ব্বোচ্চ সন্তুষ্টির জন্য সহায়তা করে। জম্মু-কাশ্মীরে পর্যটকেরা বিভিন্ন বাজেটের হোটেলে একটি ঘর অতি সহজেই পেতে পারেন।

পরিবহন

জম্মু ও কাশ্মীর ভ্রমণ খুব একটা কঠিন নয়, বিভিন্ন পরিবহনের মাধ্যমে এখানে পৌঁছানো যায়। আকাশ পথে, বিমান মাধ্যমে অন্যান্য শহর থেকে এই রাজ্যে পৌঁছানো যায় শ্রীনগর এবং লেহ বিমানবন্দর দ্বারা। রাজ্যের মধ্যে দিয়ে অতিবাহিত রেলপথ, উধমপুরে গিয়ে শেষ হয়েছে এবং সেখান থেকে যে কেউ বাস বা অন্যান্য যানবাহন নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছতে পারেন। সড়কপথে দুটি ভিন্ন রাস্তার মাধ্যমে, এই রাজ্যে পৌঁছানো যেতে পারে-একটি মানালি হয়ে লেহ পর্যন্ত অথবা জম্মু হয়ে শ্রীনগর পর্যন্ত।

সর্বশেষ সংযোজন : ২০- শে জানুয়ারী , ২০১৫