হরিয়ানা মানচিত্র

Haryana Map in Bengali

হরিয়ানা মানচিত্র
* প্রধান শহর, রেলপথ, নদী, জাতীয় সড়ক ইত্যাদি এই মানচিত্রে দেখানো হয়েছে।

হরিয়াণার উপর তথ্যাবলী

আধিকারিক ওয়েবসাইট www.haryana.gov.in
স্থাপনের তারিখ 1 নভেম্বর, 1966
আয়তন 44,212 বর্গ কিলোমিটার
ঘনত্ব 573/ বর্গ কিলোমিটার
জনসংখ্যা(2011) 25,351,462
পুরুষ জনসংখ্যা(2011) 13,494,734
মহিলা জনসংখ্যা(2011) 11,856,728
জেলার সংখ্যা 21
রাজধানী চন্ডীগড়
নদীসমূহ ঘগঘর-হাকরা
অরণ্য ও জাতীয় উদ্যান সুলতানপুর জাতীয় উদ্যান, কালেশর জাতীয় উদ্যান
ভাষা হিন্দি, পাঞ্জাবি, উর্দূ, হরিয়াণভী
প্রতিবেশী রাজ্য দিল্লী, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, পাঞ্জাব, উত্তরাখন্ড, হিমাচল প্রদেশ
রাষ্ট্রীয় পশু কালো হরিণ
রাষ্ট্রীয় পাখি কালো তিতির
রাষ্ট্রীয় বৃক্ষ পবিত্র ডুমুর
রাষ্ট্রীয় ফুল পদ্ম
রাজ্যের অভ্যন্তরীণ মূল উৎপাদন (2011) 94680
সাক্ষরতার হার (2011) 83.78%
প্রতি 1000 জন পুরুষে মহিলার সংখ্যা 877
বিধানসভা নির্বাচনক্ষেত্র 90
সংসদীয় নির্বাচনক্ষেত্র 10

হরিয়াণা সম্পর্কে

হরিয়াণা, ১৯৬৬ সালের ১লা নভেম্বর গঠিত, উত্তর ভারতের একটি রাজ্য- উর্বর ভূমি সমৃদ্ধ হওয়ায় ‘ভারতের সবুজ ভূমি’ নামে পরিচিত। দিল্লী, তিন দিক দিয়ে হরিয়াণা দ্বারা ভূমিবদ্ধ। হরিয়াণার রাজধানী শহর চন্ডীগড় হল, পাঞ্জাবেরও রাজধানী। হরিয়াণার সবচেয়ে বৃহৎ শহর হল ফরিদাবাদ। হরিয়াণা রাজ্যটি ৪৪,২১২ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত।

হরিয়াণা দুটি প্রাকৃতিক অঞ্চলে বিভক্ত; উপ-হিমালয়ের তরাই অঞ্চল এবং সিন্ধু-গাঙ্গেয় সমভূমি। এই উর্বর সমভূমির গড় উচ্চতা সমু্দ্রতল থেকে প্রায় ৭০০ থেকে ৯০০ ফুট এবং উত্তর থেকে দক্ষিণে ঢালু। হরিয়াণার দক্ষিণ-পশ্চিম অংশ শুষ্ক, বালুকাময় এবং অনুর্বর। হরিয়াণায় কোনো চিরস্হায়ী নদী নেই। ঘগঘরা নদী হরিয়াণার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে এবং রাজ্যের প্রান্ত দিয়ে বয়ে চলে গেছে।

হরিয়াণার ইতিহাস

যে অঞ্চল বর্তমানে হরিয়াণা নামে পরিচিত- (খ্রীষ্টপূর্ব ৮০০-৫০০) পরবর্তী বৈদিক যুগে ‘মধ্যমা দিশ’ (মধ্যম অঞ্চল)- হিন্দু ধর্মের জন্মস্থান ছিল। এটি সেই জায়গা যেখানে আর্যদের দ্বারা প্রথম স্তোত্র গীত হয়েছিল এবং সবচেয়ে প্রাচীণ পান্ডুলিপি লেখা হয়েছিল। ৩০০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে ঘগঘরা উপত্যকায় জনবসতি গড়ে উঠেছিল। প্রায় ১৫০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে অন্যান্য দলের মধ্যে আর্য উপজাতিরাই প্রথম এই অঞ্চল আক্রমণ করেছিল। এই এলাকা মহান ভরত রাজবংশের বাসস্হান ছিল, যা থেকে ভারতবর্ষের হিন্দিতে নামকরণ হয়েছিল ভারত। কৌরব এবং পান্ডবদের মধ্যে মহাকাব্যিক যুদ্ধ, যা মহাভারতে লিপিবদ্ধ রয়েছে, সেটি কুরুক্ষেত্রে ঘটেছিল। খ্রীষ্টপূর্ব তৃতীয় শতকের সময়কালে, এই এলাকা মৌর্য্য সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৫২৬ সালের পানিপতের যু্দ্ধ, ভারতে মুঘল শাসনের প্রতিষ্ঠা করে; পরবর্তীকালে মুঘলদের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তির ভিত হিসাবে গড়ে ওঠে।

হরিয়াণার রাজধানী

হরিয়াণার রাজধানী শহর হল চন্ডীগড়, যেটি এমনকি পাঞ্জাব রাজ্যেরও রাজধানী।

হরিয়াণার বৃহত্তম শহর

হরিয়াণার বৃহত্তম শহর হল ফরিদাবাদ।

হরিয়াণার মোট আয়তন

হরিয়াণা রাজ্য প্রায় ৪৪,২১২ বর্গকিলোমিটার এলাকা জড়ে বিস্তৃত রয়েছে।

হরিয়াণার বর্তমান জনসংখ্যা

২০১১ সালের জনগণনার পর প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যের মোট জনসংখ্যা হল ২৫,৩৫৩,০৮১ এবং জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৫৭৩.৪ জন।

হরিয়াণার সাক্ষরতার হার

উত্তর ভারতীয় এই রাজ্যের সাক্ষরতার হার হল ৭১.৪ শতাংশ।

হরিয়াণার অবস্থান

ভৌগোলিকগতভাবে দেশের ৩০.৭৩ ডিগ্রী উত্তর এবং ৭৬.৭৮ ডিগ্রী পূর্ব দিকে অবস্থিত, হরিয়ানা রাজ্য ভারতের উত্তরদিকে অবস্থিত। এর কিছু অংশ জাতীয় রাজধানী অঞ্চলের (এন.সি.আর) অন্তর্ভূক্ত রয়েছে। এই রাজ্যটি উত্তরদিকে হিমাচল প্রদেশ ও পাঞ্জাব দ্বারা, পূর্বে উত্তর প্রদেশ ও উত্তরাখন্ড এবং দক্ষিণ ও পশ্চিম দিকে রাজস্থান দ্বারা ঘেরা রয়েছে।

জনসংখ্যা

২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, রাজ্যের মোট জনসংখ্যা হল ২৫,৩৫৩,০৮১ এবং জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৫৭৩.৪ জন। রাজ্যে পুরুষ ও মহিলার অনুপাতঃ প্রতি ১০০০ জন পুরুষের মধ্যে মহিলার সংখ্যা হল ৮৭৭ জন। রাজ্যের মোট জনসংখ্যার অধিকাংশই প্রধানত হিন্দু এবং জনসংখ্যার বাকি লোকেরা অন্যান্য ধর্মাবলম্বী যেমন মুসলিম, শিখ, জৈন এবং খ্রীষ্টান। দলিত ও বাল্মীকি সহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষও রাজ্যের জনসংখ্যায় যুক্ত রয়েছে।

অর্থনীতি ও পরিকাঠামো

হরিয়াণার বেশিরভাগ জমিই কৃষির জন্য উপযুক্ত এবং ৬০ শতাংশে সেচের ব্যবস্থা রয়েছে। মোট জনসংখ্যার তিন-চতুর্থাংশেরও বেশি মানুষ কৃষিতে নিযুক্ত। এই রাজ্যের প্রধান উৎপাদকদ্রব্য হল চাল এবং গম। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ফসলগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল তৈলবীজ, আখ, তুলা, আলু, ডাল (ভোজ্য বীজ মটর এবং বিনস থেকে সংগৃহীত), বার্লি, জোয়ার এবং ভূট্টা। হরিয়াণা, পুরনো এবং নূতন দিল্লীর বাজারের নিকটস্হ হওয়ায়, উন্নত সড়ক ও রেলব্যবস্থা, সার ও উন্নত বীজের ব্যবহার- এর উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে। হরিয়াণা গবাদি পশু এবং দুগ্ধশিল্পে পুরষ্কার বিজেতা হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছে। রাজ্যে একটি সুসংহত রেলব্যবস্থা রয়েছে। হরিয়াণার পূর্ব সীমানায়, দিল্লী, প্রধান এয়্যার ট্রাফিক কেন্দ্র হিসাবে কাজ করে।

সরকার ও রাষ্ট্রনীতি

ভারতের অন্যান্য রাজ্যগুলির মতোই, হরিয়াণাও রাজ্যের রাজ্যপাল কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হয়, যাঁর রাজ্যে একটি সম্মানীয় স্হান রয়েছে। হরিয়াণা রাজ্য সরকারের প্রধান হলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যাঁর কার্যনির্বাহী ক্ষমতা রয়েছে। এখানে ৯০টি আসনের একককক্ষ বিশিষ্ট বিধানসভা রয়েছে। এই রাজ্য থেকে ১৫ জন সদস্য সংসদে পাঠানো হয়ঃ পাঁচজন রাজ্য সভায় (উচ্চ কক্ষে) এবং দশজন লোক সভায় (নিম্ন কক্ষে)। স্থানীয় সরকার রাজ্যের ২১টি জেলার উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে। রাজ্যের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলি হল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস (আই.এন.সি), ভারতীয় জনতা দল (বি.জে.পি), ভারতের মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী), ভারতীয় জাতীয় লোক দল ইত্যাদি।

শিক্ষা

২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, উত্তর ভারতের এই রাজ্যের সাক্ষরতার হার ৭৬.৬৪ শতাংশ। এই রাজ্যে অনেক সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যালয় আছে যেগুলি হয় কেন্দ্রীয় মধ্য শিক্ষা পর্ষদ (সি.বি.এস.ই) অথবা হরিয়ানা বিদ্যালয় শিক্ষা পর্ষদ (এইচ.বি.এস.ই) দ্বারা অনুমোদিত। এইচ.বি.এস.ই বিদ্যালয়ের সমস্ত স্তরের শিক্ষার জন্য বছরে দুইবার বার্ষিক পরীক্ষার সঞ্চালন করে। অনেক উচ্চ শিক্ষার মহাবিদ্যালয় সহ কিছু শহর যেমন রোহতক, সোনপত এবং গুড়গাঁও ইত্যাদি এই রাজ্যের শিক্ষার কেন্দ্রস্থল হিসাবে গড়ে উঠেছে। এই রাজ্যে প্রযুক্তিগত, গবেষণা ব্যবস্থাপক বিষয়ক অনেক মহাবিদ্যালয় রয়েছে। হরিয়াণার জাতীয় মস্তিষ্ক গবেষণা কেন্দ্র, দেশের একমাত্র প্রতিষ্ঠান-যা স্নায়ুবিজ্ঞানের গবেষণা ও শিক্ষার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

ভাষা

ভারতের অন্যান্য রাজ্যগুলির ন্যায়, এই রাজ্যের মানুষের মাতৃভাষা হল হরিয়াণভী। তবে, এটি একটি উপভাষা যা সরকারি ভাষা হিসাবে বিবেচনা করা হয় না। রাজ্যের সরকারি ভাষা হল হিন্দি, পাঞ্জাবি এবং ইংরাজি। হরিয়াণভী ছাড়া বাঙ্গরু, বাগরি এবং আহিরবাটী হল অন্যান্য উপভাষা যেগুলিতে রাজ্যের মানুষ কথা বলে।

সমাজ ও সংস্কৃতি

হরিয়াণার মোট জনসংখ্যার প্রায় ৯০ শতাংশ হিন্দু। রাজ্যের অধিকাংশ শিখ সম্প্রদায়ের লোকেরা উত্তরপূর্ব এবং উত্তরপশ্চিমে বাস করে। মুসলিমরা দিল্লী সংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্ব জেলাগুলিতে কেন্দ্রীভূত রয়েছে। জাট্ (একটি কৃষক সম্প্রদায়) হরিয়াণার কৃষিজ অর্থনীতির মেরুদন্ড। যদিও মোট জনসংখ্যার প্রায় ৭৫ শতাংশ মানুষ গ্রামীণ কিন্তু শহরগুলি বাণিজ্যিক, শিল্প, কৃষি বিপণন কেন্দ্র হিসাবে দ্রুত বর্ধনশীল হয়ে উঠেছে।

হরিয়াণাবাসী মানুষেরা সরল, অকপট, উচ্চ অভিলাষী এবং কঠোর পরিশ্রমী হয়। তাদের পুরনো ধর্মীয় ও সামাজিক ঐতিহ্য সংরক্ষণের তাগিদে, তারা তাদের সনাতন ঐতিহ্য বজায় রেখে উৎসাহের সঙ্গে উৎসব পালন করে। এই রাজ্য লোকগীতি, লোকসঙ্গীত এবং সঙ্গীতের বাদ্যযন্ত্রের জন্য খুবই জনপ্রিয়। মহিলারা পরিশ্রমী, কর্তব্যপরায়ণ এবং তারা তাদের মানুষদের চাষের কাজে সহায়তা করে। এখানকার মানুষদের সাধারণ খাদ্যাভ্যাস রয়েছে। গবাদি পশুর প্রতি ভালোবাসা এবং খাদ্যে দুধ ও দই-য়ের প্রাচুর্য্যের জন্য- হরিয়াণাবাসী সুপরিচিত।

পরিবহন

হরিয়াণা রাজ্য, তার প্রতিবেশী রাজ্যগুলি ও পাশাপাশি ভারতের অন্যান্য অংশের সাথে সড়ক, রেলপথ এবং বিমানপথের মাধ্যমে বেশ ভলোভাবে সংযুক্ত থাকায় এটি দেশের শিল্পায়নের এক প্রধান কেন্দ্রস্থল হিসাবে গড়ে উঠেছে।

বিমানপথঃ চন্ডীগড় বিমানবন্দর থেকে ইন্ডিয়ান এয়্যারলাইন্স বিমানের মাধ্যমে এই রাজ্যটি দিল্লী, লেহ, জম্মু ও শ্রীনগরের সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে। এছাড়াও এখানে জনসাধারণের জন্য ভিওয়ানী, হিসার, করনাল, নরনৌল এবং পিঞ্জোরে বিমান ঘাঁটি রয়েছে। বায়ুদূত পরিষেবা হরিয়াণাকে, চন্ডীগড়ের মাধ্যমে দিল্লী, গাগ্গার, কুলু ইত্যাদি জায়গার সাথে সংযুক্ত করেছে।

রেলপথঃ চন্ডীগড় রেলওয়ে স্টেশন, যা উত্তরাঞ্চল রেলের শেষ সীমান্ত, যেটি এই রাজ্যকে মুম্বাই, কালকা, দিল্লী এবং ভারতের অন্যান্য অনেক প্রধান শহরগুলির সঙ্গে যুক্ত করে রেখেছে। অন্যান্য সংযুক্ত রেলওয়ে স্টেশনগুলি রয়েছে আম্বালা, হিসার, জাখল, ঝিন্দ্, কালকা, কুরুক্ষেত্র, পানিপত এবং রোহতক-এ।

সড়কপথঃ রাজ্যটি অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক উভয়ভাবে সড়ক মাধ্যম দ্বারা যুক্ত। এছাড়াও, জাতীয় রাজধানী এই রাজ্যের নিকটবর্তী হওয়ায়, দিল্লী এই রাজ্যকে দেশের অন্যান্য অংশের সাথে কিছু রাজ্য সড়ক ও সেইসঙ্গে জাতীয় সড়কের মাধ্যমে সংযুক্ত হতে সাহায্য করেছে।

পর্যটন

হরিয়াণা রাজ্য পর্যটনের উন্নতির লক্ষ্যে ৪৪টি পর্যটক কমপ্লেক্স সংযুক্ত করেছে। হরিয়াণার সর্বাধিক বিশেষ দর্শনীয় স্থানগুলি নিম্নলিখিতরূপে দেখনো হলঃ

  • বাধকাল হ্রদ
  • ডমডামা হ্রদ
  • কর্ণ
  • কুরুক্ষেত্র
  • মাগপী সুরজকুন্ড
  • মোর্নী পর্বত
  • পঞ্চকূলা
  • পানিপত
  • পৃথ্বিরাজের কাছারী
  • সুলতানপুর পক্ষী সংগ্রহালয়
  • থানেশ্বর
  • তিলওয়ার হ্রদ
  • ইয়াদাভিন্দ্র উদ্যান

হরিয়াণার জলবায়ুর পরিস্থিতি

ভারতের উত্তরীয় সমভূমি এলাকায় অবস্থানের জন্য এই রাজ্যে, গ্রীষ্মকালে প্রচন্ড গরম এবং শীতকালে প্রচন্ড শীতল হয়। তবে, বিভিন্ন জলবায়ু পরিস্থিতির কারণে উত্তর ভারতের এই রাজ্য, তিনটি স্বতন্ত্র ঋতু অনুভব করে। মে এবং জুন মাস এখানে সবচেয়ে উষ্ণতম হয় তখন তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রী সেন্ট্রিগ্রেড পর্যন্ত পৌঁছে যায়, অন্যদিকে বছরের ডিসেম্বর এবং জানুয়ারি মাস সবচেয়ে শীতল হয় যখন তাপমাত্রা ১ ডিগ্রী সেন্ট্রিগ্রেডেরও নীচে নেমে যায়। হরিয়াণায় জুলাই মাসে বর্ষাকাল শুরু হয় এবং সেপ্টেম্বরের শেষ পর্যন্ত চলতে থাকে। মোট বৃষ্টিপাতের ৮০ শতাংশ বৃষ্টিপাত এই সময়েই হয়, যা অনেক সময় বন্যার আকার ধারন করে।

রাজ্যে ঘোরার উপযুক্ত সময়

যদিও সারা বছর ধরে হরিয়াণা পরিদর্শন করা যেতে পারে, কিন্তু অক্টোবর থেকে মার্চ মাস হল উত্তর ভারতের এই রাজ্যে ঘোরার উপযুক্ত সময়।

হরিয়াণা কি জন্য বিখ্যাত?

ঐতিহাসিকগতভাবে এই রাজ্য দেশের বিখ্যাত কুরু অঞ্চলের একটি অংশ এবং সিন্ধু সভ্যতার শৈশবভূমি হিসাবে সুপরিচিত। তবে বর্তমানে, এই স্থান ভারতের মোটরগাড়ি এবং আই.টি (তথ্য প্রযুক্তি) শিল্পায়নের কেন্দ্রস্থল হিসাবে পরিচিত। ট্রাক্টর, যাত্রীবাহী গাড়ি এবং দু-চাকা মোটরগাড়ির প্রস্তুতকারক হিসাবে এই রাজ্য দেশের অন্যতম প্রধান হিসাবে গণ্য হয়। এই রাজ্য দুধ এবং খাদ্যশস্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে ভারতের অন্যান্য রাজ্যগুলিকে ছাড়িয়ে গেছে।

হরিয়াণার হোটেল

সুবিশাল পর্যটক সম্ভাবনার সাথে তাল মিলিয়ে, দ্রুত গতিতে গোটা রাজ্য প্রচুর হোটেলে ছেয়ে গেছে। তাদের ঐতিহ্যগত আতিথেয়তা এবং নিদারুণ সৌন্দর্যপূর্ণ রান্না দ্বারা, তারা আপনার প্রবাসে অবস্হান স্মরণীয় করে তোলে।

সর্বশেষ সংযোজন : ২০- শে জানুয়ারী, ২০১৫