দিল্লী মানচিত্র

Delhi Map in Bengali

দিল্লী মানচিত্র
* এই মানচিত্রে দিল্লীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকা, সড়ক, হাসপাতাল, হোটেল, বিমানবন্দর ও আকর্ষণীয় জায়গা ইত্যাদির ব্যাখ্যা রয়েছে৷

দিল্লীর উপর তথ্যাবলী

আধিকারিক ওয়েবসাইট www.Delhi.gov.in
স্থাপনের তারিখ 1 ফেব্রুয়ারী, 1992
আয়তন 1483 বর্গ কিলোমিটার
ঘনত্ব 11297/ বর্গ কিলোমিটার
জনসংখ্যা (2011) 16,787,941
পুরুষ জনসংখ্যা (2011) 8,987,326
মহিলা জনসংখ্যা (2011) 7,800,615
জেলার সংখ্যা 11
রাজধানী নতুন দিল্লী
নদী যমুনা
অরণ্য ও জাতীয় উদ্যান ন্যাশন্যাল জুওলোজিক্যাল পার্ক, আশোলা ভাট্টি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য
ভাষা হিন্দি, ইংরাজী, পাঞ্জাবি, উর্দূ
রাষ্ট্রীয় পাখি চড়ুই
প্রতিবেশী রাজ্য হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ
রাজ্যের অভ্যন্তরীণ মূল উৎপাদন (2011) 150653
সাক্ষরতার হার (2011) 87.40%
প্রতি 1000 জন পুরুষে মহিলার সংখ্যা 866
বিধানসভা নির্বাচনক্ষেত্র 70
সংসদীয় নির্বাচনক্ষেত্র 7

দিল্লী সম্পর্কে

ভারতের রাজধানী দিল্লী, যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত এবং প্রায় ১৪৮৩ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। এই শহরটি উত্তর, পশ্চিম ও দক্ষিণ দিক থেকে হরিয়ানা দ্বারা এবং পূর্বদিকে উত্তরপ্রদেশ রাজ্য দ্বারা বেষ্টিত। দিল্লী, উত্তর ভারতের এক বৃহত্তম বাণিজ্যিক কেন্দ্র এবং দিল্লীর সংস্কৃতি, তার গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস দ্বারা প্রভাবিত। পুরনো দিল্লী, ১৬৩৮ খ্রীষ্টাব্দে নির্মিত উঁচু পাথরের দেওয়াল দ্বারা বেষ্টিত ছিল। সাতটি প্রবেশ-দ্বারের মাধ্যমে এখানে পৌঁছানো যায়, সেগুলি হল-দক্ষিণে দিল্লী দ্বার, পূর্বে আজমেরি দ্বার এবং উত্তরে কাশ্মীর দ্বার ইত্যাদি। এই দেওয়ালগুলির মধ্যে ঘনবসতিপূর্ণ এক ধাঁধানো সংকীর্ণ রাস্তা, গলি, ব্যস্ত বাজার এবং জাতির সবচেয়ে দর্শনীয় ভারত-মুসলিম স্থাপত্যের কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। দিল্লীকে, ভারতীয় সংস্কৃতির সত্য প্রতিকৃতি বলা যেতে পারে। এটি সহজেই ঐতিহ্যগত এবং আধুনিক সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে যায়।

দিল্লীর ইতিহাস

দিল্লী নামটি সেই সমস্ত শহরগুলির উপর প্রয়োগ করা হয় যেগুলি ১৬৯৮ সালে মোঘল সম্রাট শাহজাহান দ্বারা স্থাপিত, বর্তমান শহরটির আগে এই জায়গায় অবস্থিত ছিল। প্রথম শহরটি খ্রীষ্টিয় দ্বাদশ শতাব্দীতে চৌহান শাসক পৃথ্বীরাজ চৌহান স্থাপণ করেছিলেন। ১১৯৩ খ্রীষ্টাব্দে মুসলিমরা এটি দখল করে নেয় এবং কুতুব মিনারের স্থপতি কুতুবুদ্দীন আঈবক-এর অধীনে এটিকে ভারতের মুসলিম সাম্রাজ্যের একটি রাজধানী হিসাবে গড়ে তোলে। সপ্তদশ শতাব্দীর শেষভাগে তুর্কী বিজেতা তৈমূর লেনের দিল্লী দখল ও বিনাশের সাথে সাথে এখানে মুসলিম শাসনের অবসান হয়।

ভৌগোলিক অবস্থান ও জলবায়ু

এই অঞ্চলে একটি ক্রান্তীয় প্রান্তর জলবায়ু লক্ষ্য করা যায়। এখানে গ্রীষ্মকাল শুষ্ক ও অত্যন্ত উষ্ণ এবং শীতকাল অত্যন্ত শীতল হয়। এখানকার মাসিক তাপমাত্রার পরিমাণ জানুয়ারী মাসে ১৪.৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস (সর্বনিম্ন ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস) থেকে জুন মাসে ৩৪.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস (সর্ব্বোচ্চ ৪৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস)-এর মধ্যে থকে। ১৯৭১ সালের বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (ডব্লু.এম.ও) তথ্য অনুযায়ী এখানকার বার্ষিক গড় তাপমাত্রা হল ২৫.৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এখানকার জলবায়ুর প্রভাবে প্রধান ঋতু হল বর্ষাকাল, যা সাধারণত জুন থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত স্থিত হয়। এখানে বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ হল প্রায় ৭১.৫ মিলিমিটার। অধিকাংশ বৃষ্টিপাতই জুলাই মাসে হয় (প্রায় ২১১ মিলিমিটার)। অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত এখানে ‘সাফাই’-য়ের কাজ করে। এখানে সাধারণত উত্তর-পশ্চিমী বায়ুর প্রভাব রয়েছে; যদিও জুন ও জুলাই মাসে দক্ষিণ-পূর্ব বায়ুর প্রতিপত্তি রয়েছে।

জনসংখ্যা

জনসংখ্যা অনুযায়ী ভারতের সমস্ত বৃহত্তম মহানগরগুলির তালিকায় দিল্লী দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে। ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, দিল্লীর জনসংখ্যা হল ১,৬৭,৮৭,৯৪১ জন এবং প্রতি ১০০০ জন পুরুষের অনুপাতে এখানে মহিলার সংখ্যা হল ৮৬৬ জন। জনসংখ্যার ঘনত্বে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে এখানে ১১,২৯৭ জন মানুষ বাস করে। দিল্লীর স্বাক্ষরতার হার হল প্রায় ৮৬.৩৪ শতাংশ।

সমাজ ও সংস্কৃতি

দিল্লী কোনও দিন স্বাতন্ত্র্য জায়গা ছিল না; এখানকার প্রকৃতি সমরূপ, যা যেকোনও প্রকার আগত প্রভাব যথা জনসংখ্যা, সংস্কৃতি বা ভাষা যাই হোক না কেন-সম্মুখীন হওয়ার জন্য প্রস্ত্তুত থাকে। দিল্লী, দেশের সব অংশের মানুষকে আকৃষ্ট করেছে, যার ফলে এখানে বিভিন্ন সংস্কৃতির মানুষের জমায়েত হয়েছে। এখানে পাঞ্জাবিদের প্রভাব বেশি। দিল্লীর সাংস্কৃতিক জীবন, ভারত ও বিশ্বের বিভিন্ন অংশ এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পটভূমি থেকে আগত এখানকার অধিবাসীদের বিশ্বজনীন চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের দ্বারা যথেষ্ট প্রভাবিত। এর মধ্যে অধিকাংশই পশ্চিমী সংস্কৃতির অনুকরণ এবং এই অনুকরণের প্রক্রিয়াটি স্বাধীনতার পর থেকে আধুনিক গণমাধ্যমের দ্বারা দ্রুত বৃ্দ্ধি পেয়েছে। তবে, টেলিভিশন, আঞ্চলিক ও জাতীয় স্বার্থের বৃহত্তর সচেতনতার মাধ্যমে এটিকে অনেক ত্বরান্বিত করেছে।

ভাষা

দিল্লীর আঞ্চলিক ভাষা বলে কিছু নেই; বিভিন্ন সংস্কৃতির ন্যায়, দেশের বিভিন্ন ভাষাকেও সাদরে গ্রহণ করে নিয়েছে। এখানে প্রচলিত সাধারণ কথ্য ভাষাগুলি হল হিন্দি, পাঞ্জাবি, উর্দূ ও ইংরাজী। এখানকার জনসংখ্যার অধিকাংশই হিন্দি ভাষায় কথা বলার দরুণ হিন্দিই এখানকার প্রধান ভাষা, যদিও এটির ভিন্ন ভিন্ন উপভাষা রয়েছে। ইংরাজীও প্রধান ভাষা রূপে ব্যাপকভাবে এখানকার মানুষদের মধ্যে প্রচলিত রয়েছে, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম এই ভাষার ব্যবহার বেশি করে। জনসংখ্যার মধ্যে পাঞ্জাবিদের প্রভাব বেশি থাকায় স্বাভাবিকভাবেই পাঞ্জাবি ভাষাও এখানে ব্যাপকভাবে প্রচলিত। এই মহানগরীতে মুসলিম সম্প্রদায়ের উপস্থিতির কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভাষা রূপে উর্দূরও প্রচলন রয়েছে।

পর্যটন

দিল্লী তার চমৎকার পর্যটন স্থল, বিনোদনমূলক সুবিধা এবং তার প্রাচীনত্বের ইতিহাসের সমৃদ্ধতার দরুণ একটি আন্তর্জাতিক মহানগরী হিসাবে গড়ে উঠেছে। এটি পর্যটকদের এতো মনোরঞ্জন ও আকর্ষণীয় স্থানের বিকল্প প্রদান করে যে এটা স্বিদ্ধান্ত নেওয়া মুশকিল হয়ে পড়ে যে, শহরের কোথা থেকে ভ্রমণ শুরু করা যায়। পুরনো দিল্লীতে, আপনি বিভিন্ন মসজিদ, দুর্গ, এবং অন্যান্য মিনার দেখতে পারেন যেগুলি ভারতের মুসলিম ইতিহাসের বর্ণনা দেয়। পুরনো দিল্লীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলি হল ঐশ্বর্য্যশালী লাল কেল্লা, ঐতিহাসিক চাঁদনী চৌক, রাজঘাট ও শান্তি বন। এর মধ্যে রাজঘাট ও শান্তি বন-এর আধুনিক কাঠামো ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পর নির্মিত হয়েছিল। অন্য দিকে, আধুনিক শহর-নতুন দিল্লী, এডউইন লিউটিয়েন্স ও হারবার্ট বেকারের দ্বারা পরিকল্পিত। এটি একটি প্রশস্ত, খোলামেলা শহর যেখানে ঐতিহাসিক নিদর্শন স্থল ছাড়াও অনেক সরকারি ভবন এবং দূতাবাস রয়েছে।

অর্থনীতি

ভারতের রাজধানী দিল্লী, উত্তরাঞ্চলের ব্যবসা, বাণিজ্য ও শিল্পায়নের একটি কেন্দ্রস্হল। সরকারি দপ্তরের ভবনগুলি হল কর্মসংস্থানের একটি প্রধান উৎস এবং এই শহরটি চিকিৎসা, কৃষি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক গুরুত্বপূর্ণ আবাসস্থল হিসাবে গড়ে উঠেছে। এটি “চাকুরিজীবি শহর” হিসাবে চিহ্নিত হলেও শিল্পও এখানে দ্রুত বিস্তার লাভ করছে। দিল্লীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিল্প ক্ষেত্র হল পরিষেবা সেক্টর যা রাজ্যের স্থূল আভ্যন্তরীণ উৎপাদনে (জি.এস.ডি.পি) এক বিশাল অবদান রাখে। এখানকার ইঞ্জিনীয়ারিং, তথ্য প্রযুক্ত (আই.টি), পোশাক ও রাসায়নিক ক্ষেত্রও উল্লেখযোগ্য; বৈদ্যুতিক ও বৈদ্যুতিন উপকরণের ক্ষেত্রটিও গুরুত্ব অর্জন করেছে। অধিকাংশ শিল্পগুলিই শহরের পশ্চিম, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অবস্থিত।

সরকার ও রাষ্ট্রনীতি

দিল্লী, ভারতের সাংস্কৃতিক, বাণিজ্যিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রের এক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রস্থল। বতর্মানে, এর ১১-টি জেলা রয়েছে, সেগুলি হল মধ্য দিল্লী, উত্তর দিল্লী, দক্ষিণ দিল্লী, পূর্ব দিল্লী, উত্তর-পূর্ব দিল্লী, দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লী, নতুন দিল্লী, উত্তর-পশ্চিম দিল্লী এবং পশ্চিম দিল্লী। দিল্লীকে বিধানসভার তিনটি শাখায় বিভক্ত করা হয়েছে; নিউ দিল্লী পৌর সভা (এন.ডি.এম.সি), দিল্লী পৌর নিগম (এম.সি.ডি) এবং দিল্লী ক্যান্টনমেন্ট পরিষদ (ডি.সি.বি)। ভারতের সর্বোচ্চ আদালত দিল্লীতে অবস্থিত, এছাড়াও এখানে আঞ্চলিক দিল্লী উচ্চ-আদালত, আধিকরণিক আদালত, অপরাধমূলক মামলার জন্য বিভাগীয় আদালত ও নাগরিক মামলার জন্য অন্যান্য কিছু ছোট আদালত রয়েছে।

শিক্ষা

গত কয়েক বছর ধরে, শিক্ষা ক্ষেত্রে দিল্লী এক অসাধারণ উন্নতি করেছে। উচ্চমানের শিক্ষা সহ নতুন নতুন মহাবিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এখানে সমস্ত প্রকারের প্রায় ১৬০-টিরও বেশি মহাবিদ্যালয় এবং ভারতের কয়েকটি সু-প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় যেমন জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়, দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়, জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি রয়েছে। এছাড়াও এখানে বহু সংখ্যক সরকারি, বেসরকারি, প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয় রয়েছে যেগুলি ২০ লক্ষ্যেরও বেশি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রদান করে।

পরিবহন

দিল্লী সড়কপথ, রেলপথ ও বিমানপথ দ্বারা দেশের বাকিদের সাথে সু-সংযুক্ত। দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লীতে অবস্থিত ইন্দিরা গান্ধি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে অন্তর্দেশীয় বিমান ছাড়াও সারা দুনিয়ার জন্য আন্তর্জাতিক বিমান উপলব্ধ হয়। এটি জি.এম.আর গ্রুপ দ্বারা পরিচালিত এবং দক্ষিণ এশিয়ার ব্যস্ততম বিমানবন্দর গুলির মধ্যে এটি অন্যতম। এই শহর উত্তরাঞ্চল রেলপথের সদরদপ্তর। দিল্লীতে পাঁচটি প্রধান রেলওয়ে স্টেশন রয়েছেঃ নতুন দিল্লী রেলওয়ে স্টেশন, পুরনো দিল্লী রেলওয়ে স্টেশন, নিজামুদ্দিন রেলওয়ে স্টেশন, আনন্দ বিহার রেলওয়ে টার্মিন্যাল এবং সরাই রোহিল্লা রেলওয়ে স্টেশন। এছাড়াও একটি শহরকেন্দ্রিক রেলওয়ে রয়েছে যেটি বিভিন্ন শহর ও প্রতিবেশী এন.সি.আর অঞ্চলগুলিকে যুক্ত করেছে।

দিল্লী পাঁচটি জাতীয় সড়ক যেমন ১-নং, ২-নং, ৮-নং, ১০-নং এবং ২৪-নং জাতীয় সড়ক দ্বারা সুসংযুক্ত; দিল্লীতে, বেসরকারি পরিবহন যানবাহন গুলিতে কমপ্রেস্ড প্রাকৃতিক গ্যাস (সি.এন.জি)-এর ব্যবহার হয় এবং রাজ্যের মলিকানাধীনে দিল্লী পরিবহন নিগম (ডি.টি.সি) বাস পরিষেবা পরিচালনা করে। ট্যাক্সি, রেডিও ক্যাব, অটো-রিক্সা ও সাইকেল রিক্সা অতি সহজেই উপলব্ধ হয়। দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশন (ডি.এম.আর.সি) এখানে একটি দ্রুত পরিবহন প্রণালী তৈরী করেছে। এটি বিভিন্ন শহর ও প্রতিবেশী এন.সি.আর অঞ্চলগুলির সঙ্গে যেমন গুড়গাঁও, নয়ডা এবং গাজিয়াবাদের মধ্যে পরিবহন পরিষেবা প্রদান করে। মেট্রো সংযোগ ব্যবস্থা ৬-টি লাইন ও ১৪২-টি স্টেশন নিয়ে গঠিত রয়েছে। এই লাইনের মোট দৈর্ঘ্য হল প্রায় ১৯০ কিলোমিটার। দিল্লী মেট্রোকে আরোও অনেক পর্যায় ও লাইনে প্রসারিত করার লক্ষ্যে বর্তমানে নির্মাণ কার্য চলছে।

দিল্লী এবং এন.সি.আর- তে আই.টি

দিল্লী গত কয়েক বছর ধরে ভারতের এক প্রধান তথ্য প্রযুক্তির কেন্দ্র রূপে গড়ে উঠেছে। একটি সফটওয়্যার কোম্পানি পরিচালিত এক নিরীক্ষা অনুযায়ী, দিল্লী ও সম্পূর্ণ এন.সি.আর অঞ্চলগুলি ভারতের সর্ববৃহত্তম সফটওয়্যার রপ্তানিকারক হিসাবে রয়েছে। যে ধরনের পরিকাঠামোগত সুবিধা এই শহরে উপলব্ধ রয়েছে, তার উপর বিবেচনা করে অধিকাংশ উচ্চ পর্যায়ের আই.টি এবং আই.টি.ই.এস-গুলি দিল্লী ও এন.সি.আর-গুলিতে তাদের ভিত গড়ে তুলেছে। এই শহরে অনেক আই.টি পার্ক এবং এস.ই.জেড এলাকা গড়ে উঠেছে, যেগুলিতে বেশ কিছু বৃহত্তম বহুরাষ্ট্রিক সংস্থার দপ্তর রয়েছে।

দিল্লীর প্রধান ব্যবসায়িক কেন্দ্র ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্র

প্রগতি ময়দান – প্রগতি ময়দান দিল্লীর জনপ্রিয় ব্যবসা কেন্দ্রগুলির মধ্যে অন্যতম। প্রায় ৭ একর জমি নিয়ে প্রসারিত এই প্রদর্শনী ভবনে ১৮-টি ভবন এবং ২২-টি স্থায়ী মঞ্চ রয়েছে। প্রগতি ময়দানে অনেক উচ্চ পর্যায়ের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মেলার প্রদর্শনী হয়।

ইন্ডিয়া এক্সপো সেন্টার – দিল্লীর ইন্ডিয়া এক্সপো সেন্টার, ২১-এক্সপো আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী সেন্টার শৃঙ্খলার একটি অংশ। রাজধানীর লোকপ্রিয় বাণিজ্যিক কেন্দ্রগুলির মধ্যে গণ্য এই ইন্ডিয়া এক্সপো সেন্টার ভারতে অনেক মহত্বপূর্ণ প্রদর্শনীর আয়োজন করে। ভালো শিল্প-কলার সুবিধা সহ সুন্দরভাবে পরিকল্পিত, প্রযুক্তি ও সেবা যুক্ত দিল্লীর এই বাণিজ্যিক কেন্দ্রটি প্রদর্শনী, সম্মেলন, পণ্যের সূচনা, প্রচারমূলক অনুষ্ঠান এবং অন্যান্য বিশেষ অনুষ্ঠান ইত্যাদির জন্য ব্যবহৃত হয়।

কনাট প্লেস (সি.পি) – সি.পি বা কনাট প্লেস দিল্লীর সঙ্গে প্রায় সমার্থক হয়ে উঠেছে। সি.পি-কে অতি সহজেই দিল্লীর সবচেয়ে ব্যস্ততম স্থান হিসাবে গণ্য করা যেতে পারে। এটি কেনাকাটা, ব্যবসা, খাওয়া-দাওয়া, প্রেক্ষাগৃহ, গ্যালারী, এম্পোরিয়াম বা পরিষেবা সম্পর্কিত দপ্তর-সমস্ত কিছুই এই কনাট প্লেস-এ দেখতে পাওয়া যায়।

নেহরু প্লেস – নেহরু প্লেস দিল্লীর একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক কেন্দ্র। এটিকে শহরের তথ্য প্রযুক্তির (আই.টি) কেন্দ্রস্থলও বলা যেতে পারে। এই ক্ষেত্রটি বৃহৎ হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার মার্কেটের আবাসস্থল। এই নেহরু প্লেসে বেশ কিছু বিখ্যাত কোম্পানি রয়েছে যেমন – সি.আই.এস.সি.ও, ইন্টেল, মাইক্রোসোফ্ট, ই.ডি.এস, আমেরিক্যান প্রেসিডেন্ট লাইনস, জেরক্স, সিঙ্গার, শেল পেট্রোলিয়্যাম, দেওউ, মিৎসুই ইত্যাদি।

সর্বশেষ সংযোজন : ০৫ ই - মার্চ, ২০১৫