কেরালা মানচিত্র

Kerala Map in Bengali

কেরালা মানচিত্র
* প্রধান সড়ক, রেলপথ, নদী, জাতীয় সড়ক ইত্যাদি কেরালা মানচিত্রে দেখানো হয়েছে৷

কেরালার উপর তথ্যাবলী

আধিকারিক ওয়েবসাইট www.kerala.gov.in
স্থাপনের তারিখ 1 নভেম্বর, 1956
আয়তন 38,863 বর্গ কিলোমিটার
ঘনত্ব 859/ বর্গ কিলোমিটার
জনসংখ্যা (2011) 33,406,061
পুরুষ জনসংখ্যা (2011) 16,027,412
মহিলা জনসংখ্যা (2011) 17,378,649
জেলার সংখ্যা 14
রাজধানী তিরুবনন্তপুরম
নদীসমূহ পেরিয়ার, ভারথাপুজ্ঝা, পাম্বা, ছালাকূড়ী, কাল্লাডা
অরণ্য ও জাতীয় উদ্যান পেরিয়ার জাতীয় উদ্যান, ওয়ানদ বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, সাইলেন্ট ভ্যালি জাতীয় উদ্যান
ভাষা মালায়ালম, ইংরাজী
প্রতিবেশী রাজ্য তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, লাক্ষাদ্বীপ
রাষ্ট্রীয় পশু হাতি
রাষ্ট্রীয় পাখি গ্রেট হর্নবিল
রাষ্ট্রীয় বৃক্ষ নারিকেল
রাষ্ট্রীয় ফুল (কনিকোন্না) গোল্ডেন শাওয়ার গাছের ফুল
রাজ্যের অভ্যন্তরীণ মূল উৎপাদন (2011) 71434
সাক্ষরতার হার (2011) 70.63%
প্রতি 1000 জন পুরুষে মহিলার সংখ্যা 1084
বিধানসভা নির্বাচনক্ষেত্র 140
সংসদীয় নির্বাচনক্ষেত্র 20

কেরালা সম্পর্কে

কেরালা ভারতের দক্ষিণপশ্চিম কোণ ঘেষা একটি রাজ্য। রাজ্যটি “ঈশ্বরের নিজস্ব দেশ” বা “গড’স ওন কাউন্ট্রি” হিসাবেও অভিহিত। কেরালার মোট আয়তন প্রায় ৩৮,৮৬৩ বর্গ কিলোমিটার এবং জনসংখ্যা হল প্রায় ৩৩,৪০৬,০৬১ জন।

এই রাজ্যটি লাক্ষাদ্বীপ সাগর বরাবর কর্ণাটক এবং তামিলনাড়ু রাজ্য দ্বারা সীমান্তবর্তী রয়েছে। কেরালার রাজধানী হল তিরুবনন্তপুরম(যা ত্রিবান্দ্রাম নামেও পরিচিত), এখানকার কোভালম সৈকত পৃথিবীর সমস্ত সৈকতগুলির মধ্যে অন্যতম। কেরালা রাজ্যটি ১৪টি জেলাতে বিভক্ত। তাদের প্রত্যেকটির একটি স্বতন্ত্র চরিত্র রয়েছে।

সমস্ত রাজ্যের ভাষাগত রেখার উপর ভিত্তি করে যখন পুনর্গঠন শুরু হয় সেইসময় ১৯৫৬ সালের ১-লা নভেম্বর আধুনিক কেরালার গঠন হলেও, কেরালার খ্রীষ্টিয় যুগ পর্যন্ত একটি ইতিহাস রয়েছে। ভারতের অন্যান্য অংশ থেকে কেরালা অনেক দিক দিয়ে আলাদা। ১৯৫৭ সালে কেরালায় বিশ্বের প্রথম গণতান্ত্রিক উপায়ে মার্কসবাদী সরকার নির্বাচিত হওয়ায়, এক বিশাল ইতিহাস রচিত হয়েছিল। রাজ্যে বাম মতাদর্শের একটি শক্তিশালী প্রতিপত্তি রয়েছে। রাজ্যে স্বাক্ষরতার হার ভারতের মধ্যে সর্বোচ্চ, শিশু মৃত্যুর হর সর্বনিম্ন এবং পুরুষ ও মহিলার গড় অনুপাতে মহিলার সংখ্যা সর্বোচ্চ। এইসব তথ্য থেকে এই রাজ্যের স্বপক্ষে অনেক কথা বলা যায় এবং যার সঙ্গে উন্নত পশ্চিমী দেশগুলির সমাজের তুলনা করা যেতেই পারে।

কেরালার ইতিহাস

কেরালার আধুনিক দিনের সংস্কৃতি-বিভিন্ন সময়ে বিশ্বের ভিন্ন ভিন্ন জায়গা থেকে আসা, রাজ্যে বসতি স্থাপন করা বিভিন্ন সংস্কৃতি ও রাজবংশের দ্বারা প্রভাবিত। কেরালার মুসলমানেরা আরব ব্যবসায়ীদের উত্তরপুরুষ যারা কেরালায় এসে স্থানীয় অধিবাসীদের বিবাহ করে এবং পরিশেষে এখানেই স্থায়ীভাবে বসবাস করতে শুরু করে। ইহুদিদের পর আরবীরাই এখানে এসে মুসলিম স্থাপণকারী হিসাবে প্রথম তরঙ্গ নিয়ে আসে। তারাই প্রথম এই উপমহাদেশের মাটিতে, কোদুঙ্গাল্লুরে মসজিদ স্থাপন করেছিল। তারা মালাবার উপকূলে কেন্দ্রীভূত হয়েছিল এবং অষ্টাদশ শতক পর্যন্ত তারা প্রধানত কৃষক শ্রমিক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং জামোরিয়ান সেনাবাহনীতে সৈন্য হিসাবে কাজ করত।

ভৌগোলিক অবস্থান ও জলবায়ু

কেরালা পশ্চিম ঘাট এবং লাক্ষাদ্বীপ সাগরের মধ্যবর্তী এলাকায় অবস্থিত। রাজ্যের মোট উপকূলীয় এলাকা হল প্রায় ৫৯০ কিলোমিটার। রাজ্যটিকে তিনটি স্বতন্ত্র অঞ্চলে ভাগ করা যেতে পারে; সেগুলি হল পূর্ব পার্বত্য, কেন্দ্রীয় মধ্যভূমি এবং পশ্চিমী নিম্নভূমি। রাজ্যের পূর্বাঞ্চল উচুঁ পর্বত, সঙ্কীর্ণ গিরিপথ, উপত্যকা নিয়ে গঠিত যা পশ্চিম ঘাটের বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চলের পশ্চিম দিক। এই অঞ্চল থেকেই ৪১-টি পশ্চিমে বহমান এবং ৩-টি পূর্বে বহমান নদীর উৎপত্তি হয়েছে। পশ্চিম ঘাটের গড় উচ্চতা হল সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৪৯২০ফুট (১,৫০০মিটার), তথা সর্ব্বোচ্চ শৃঙ্গের উচ্চতা প্রায় ৮২০০ফুট (২,৫০০মিটার)। উপকূলীয় অঞ্চল তুলনামূলকভাবে সমতল এবং এটি পরস্পরের সাথে খাল, মোহনা, হ্রদ, নদী দ্বারা এমনভাবে সংযুক্ত যা সম্মিলিতভাবে কেরালা ব্যাকওয়াটার নামে পরিচিত।

কেরালার জেলাসমূহ

কেরালা ১৪-টি জেলায় বিভক্ত রয়েছে। কেরালার জেলাগুলি হল অলাপুঝা, এর্নাকুলম, ইড়ুক্কি, কন্নুর, কাসারাগড়, কোল্লাম, কোট্টায়ম, কোঝিকোড়, মলাপ্পুরম, পালকড, পাঠানমথিত্তা, তিরুবনন্তপুরম, ত্রিশূর এবং ওয়ানদ। জেলাগুলি আবার ৭৫-টি তালুকে উপবিভক্ত রয়েছে, যেগুলি আবার ১৪৫৩-টি রাজস্ব গ্রামে বিভক্ত। স্থানীয় সরকার ১৪-টি জেলা পঞ্চায়েত, ১৫২-টি ব্লক পঞ্চাযেত, ৯৭৮-টি গ্রাম পঞ্চাযেত, সঙ্গে ৬০-টি পৌরসভা, ৫-টি পৌরনিগম, ১-টি শহরাঞ্চল নিয়ে গঠিত।

অর্থনীতি

এই রাজ্যের আয়ের প্রাথমিক খাতে কৃষিই প্রধান ক্ষেত্র হিসাবে অবদান রেখেছে। রাজ্যের প্রায় অর্ধ শতাংশ জনগণ রোজগারের জন্য কৃষির উপরই নির্ভরশীল। কেরালার গুরুত্বপূর্ণ উৎপাদিত খাদ্য শস্য এবং প্রধান খাদ্য হল ধান। অন্যান্য উৎপাদিত ফসলগুলি হল নারকেল, চা, কফি, রাবার, কাজু-বাদাম, মরিচ, ভ্যানিল্যা, এলাচ, দারুচিনি এবং জায়ফল। এখানকার রপ্তানির প্রধান উৎস হল নারকেলের ছোবড়া এবং কাজু-বাদাম পাশাপাশি সামু্দ্রিক পণ্য এবং জনশক্তি। মশলার মধ্যে মরিচ হল এখানকার সবচেয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ পণ্য-যার উৎপাদনে কেরালা হল বৃহত্তম রাজ্য এবং কালো গোলমরিচের প্রধান রপ্তানিকারক রাজ্য হিসাবেও কেরালা পরিচিত। এলাচ এবং আদাও এখান থেকে রপ্তানি হয়। মাছ ধরাও এই রাজ্যের আরেকটি প্রধান শিল্প।

পরিকাঠামো

কেরালা দেশের বাকি অংশের সাথে বিমান, সড়ক ও রেলপথ দ্বারা সুসংযুক্ত। কেরালায় প্রায় ১৪৫,৭০৪ কিলোমিটার মোটরোপযোগী সড়ক সংযোগ সহ খুবই সুপ্রতিষ্ঠিত পরিকাঠামো রয়েছে। এখানকার জাতীয় সড়কের মোট দৈর্ঘ্য হল প্রায় ১৫২৪ কিলোমিটার। কেরালা ৪৭-নং এবং ১৭-নং জাতীয় সড়ক এবং অন্যান্য কিছু রাজ্য সড়ক দ্বারা সংযুক্ত রয়েছে। ভারতীয় রেলপথের অন্তর্গত দক্ষিণী রেলপথের মাধ্যমে রাজ্যেটি ইড়ুক্কি ও ওয়ানদ ব্যতীত সমস্ত প্রধান নগর ও শহরগুলির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। রাজ্যের রেলপথ সংযোগ ব্যবস্থা তিরুবনন্তপুরম রেলপথ বিভাগ এবং পালকড রেলপথ বিভাগ কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হয়।

সমাজ ও সংস্কৃতি

শিক্ষা, সাক্ষরতা ও স্বাস্থ্যের দিক দিয়ে ভারতের মধ্যে কেরালায় সবচেয়ে উন্নত সমাজ ব্যবস্থা রয়েছে। এমনকি কেরালায় জীবন সূচির সর্ব্বোচ্চ শারীরিক মান রয়েছে। ভ্রমণপিপাসা, কেরালার অধিবাসীদেরকে পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি দেশে নিয়ে গেছে। ভারতীয় ও দ্রাবিড় সংস্কৃতির একটি অংশ হলেও, মালয়ালিদের সংস্কৃতির এক নিজস্ব স্বতন্ত্র ছাপ রয়েছে। এর কারণ কেরালার অদ্ভূত ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য। পূর্বে, পশ্চিমঘাট এবং পশ্চিমে আরব সাগর দ্বারা বেষ্টিত কেরালার, দ্বীপের ন্যায় অস্তিত্ব ছিল। ফলস্বরূপ তাদের ভাষা, পোষাক, সংস্কৃতি এবং প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বৈচিত্র্য লক্ষিত হয়।

কেরালায় শিল্প এবং উৎসব

কথাকলি কেরালার সবচেয়ে নিখুঁত, বৈজ্ঞানিক এবং বিশদভাবে ব্যাখ্যায়িত নৃত্য শৈলী। এটি একটি খুবই উত্তেজনাপূর্ণ শিল্প ভঙ্গি, যার প্রতিটি পরিবেশনায় কেবলমাত্র শিল্পীদের শারীরিক অঙ্গভঙ্গির সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রনই দাবি করে না আবেগেরও এক তীব্র সংবেনশীলতা প্রকাশিত হয়। কেরালার রাজদরবারে এটির উৎপত্তি। এটি পূর্বের কৃষ্ণনাট্যম এবং রামনাট্যমের মূল তত্ত্ব এবং বৈজ্ঞানিক নৃত্যভঙ্গিমার ধরনসহ একটি কৃত্রিম মিশ্রণ হিসাবে বিবেচিত হয়। এটি লোকনৃত্য নয়, উচ্চস্তরের শাস্ত্রীয় নৃত্য।

কালারিপায়াট্টু কেরালার একাদশ শতকের সামরিক শিল্প কলা। এটিকে কূং-ফু এবং ক্যারাটের ন্যায় প্রাচ্য সামরিক কলার অগ্রদূতও বলা হয়। এটি জাপানের জূ-জিত্সুর ন্যায় বিশিষ্ট এবং জটিল প্রথা অনুসরণ করে।

ভাষা

কেরালা ভারতের প্রথম একটি রাজ্য যেখানে সাক্ষরতার স্তর ১০০ শতাংশ। রাজ্যে মালায়ালম এবং ইংরাজী দুটি ভাষাতেই প্রধানত শিক্ষা দেওয়া হয়। তবে, মালায়ালম হল রাজ্যের আঞ্চলিক ও সরকারি ভাষা। এমনকি মালায়ালম ভারতেরও একটি সরকারি ভাষা। এটি মূলত একটি দ্রাবিড় ভাষা হলেও ঐতিহাসিক ঘটনাসমূহ এর বৃদ্ধি ও শব্দভান্ডারকে প্রভাবিত করেছে।

জনসংখ্যা

প্রতি বর্গকিলোমিটরে ৮৬০জন জনবসতির ঘনত্ব সহ কেরালার জনসংখ্যা হল ৩৩,৪০৬,০৬১ জন। রাজ্যের জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার হল ৪.৯১ শতাংশ। কেরালায় পুরুষ ও মহিলার অনুপাত খুবই চিত্তাকর্ষক, এখানে প্রতি ১০০০ জন পুরুষদের অনুপাতে মহিলাদের সংখ্যা হল ১০৮৪ জন। রাজ্যের মোট জনসংখ্যার ১.১০ শতাংশ দেশীয় উপজাতিদের নিয়ে গঠিত। ২০১১ সালের সর্বশেষ জনগণনা অনুযায়ী, কেরালার অধিবাসীদের প্রায় ৫৬.২ শতাংশ হল হিন্দু সম্প্রদায়, তারপরে ২৪.৭ শতাংশ মুসলিম, ১৯ শতাংশ খ্রীষ্টান এবং অন্যান্য সম্প্রদায় বাকি ১.১ শতাংশ। ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী রাজ্যের সাক্ষরতার হার ৯৪ শতাংশ।

শিক্ষা

দেশের সমস্ত রাজ্যগুলির মধ্যে সর্ব্বোচ্চ স্বাক্ষরতা সম্পন্ন রাজ্য হিসাবে কেরালার অবস্থানের জন্যই এখানে শিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যায়। রাজ্যে আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা প্রচলনের ব্যাপারে ক্যাথলিক মিশনারিগুলি দায়ী। কেরালায় গণশিক্ষা উন্নয়নের ক্ষেত্রে অনেক প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা নেতৃত্ব দেয়। ১৯৯১ সালে, ভারতের প্রথম সম্পূর্ণ সাক্ষর রাজ্য হিসাবে কেরালাকে আখ্যা দেওয়া হয় যদিও সেইসময় সাক্ষরতার হার ছিল কেবল ৯০ শতাংশ। কেরালায় প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। অধিকাংশ বিদ্যালয়গুলিই কেরালা রাজ্য শিক্ষা পর্ষদ এবং অন্যান্য পরিচিত যথা আই.সি.এস.ই, সি.বি.এস.ই এবং এন.আই.ও.এস পর্ষদ দ্বারা অনুমোদিত। রাজ্যে শিক্ষার মাধ্যম হল ইংরাজী। কেরালায় প্রচুর বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, সেগুলির মধ্যে বিখ্যাত কয়েকটি হল কালিকট বিশ্ববিদ্যালয়, কেরালা বিশ্ববিদ্যালয়, কেরালা কৄষি বিশ্ববিদ্যালয়, কোচিন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি। অন্যান্য প্রধান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি হল ভারতীয় পরিচালন সংস্হা কোঝিকোড়, ভারতীয় বিজ্ঞান শিক্ষা ও গবেষণা সংস্হা তিরুবনন্তপুরম, রাষ্ট্রীয় প্রযুক্তি সংস্হা কালিকট (এন.আই.টি.সি) এবং ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সংস্হা (আই.আই.এস.টি)।

সরকার ও রাষ্ট্রনীতি

কেরালায় প্রধান দুটি রাজনৈতিক জোট রয়েছে, ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউ.ডি.এফ) যেটি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস (আই.এন.সি) নেতৃত্ব দেয় এবং লেফ্ট ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (এল.ডি.এফ) যেটি ভারতীয় মার্কসবাদী (মার্ক্সিস্ট) কমিউনিস্ট পার্টি (সি.পি.আই.এম) নেতৃত্ব দেয়। মুখ্যমন্ত্রী ঊমেন চন্ডীর নেতৃ্ত্বে বর্তমানে ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউ.ডি.এফ) সরকারে রয়েছে। কেরালায় ১৪০-টি নির্বাচনী সমাবেশ রয়েছে; ২০-জন সদস্য লোকসভায় এবং ৯-জন সদস্য রাজ্যসভায় নির্বাচিত হয়েছেন। কেরালার রাজ্যপাল হলেন পি. সত্যশিবম। নিম্ন আদালত সহ উচ্চ আদালত নিয়ে কেরালার বিচার বিভাগটি গঠিত। উচ্চ আদালত কোচি-তে অবস্থিত এবং কেরালা সচিবালয় ভবন সহ কেরালা বিধানসভা সমাবেশীয় ভবন তিরুবনন্তপুরমে অবস্থিত। পঞ্চায়েত, পৌরসভা, পৌরনিগম নিয়ে স্থানীয় পরিচালন সংস্থা গঠিত।

কেরালার পর্যটন

পর্যটনকে এখানে শিল্প হিসাবে অবহিত করা হয়। জাতীয় ভৌগোলিক সমিতি, তাদের প্রকাশনায় বিশ্বের ৫০-টি বিখ্যাত স্থানের মধ্যে কেরালার নাম তালিকাভুক্ত করেছেন। কেরালার বিশেষ কয়েকটি ভ্রমণযোগ্য স্থান নিম্নলিখিত রূপে দেওয়া হলঃ

  • রাজধানী তিরুবনন্তপুরম শহর, মন্দির, মসজিদ ও গির্জার একটি আবাসস্থল। কোভালম সৈকত রিসর্ট, ভেলি, নেইয়ার ড্যাম এবং পনমুড়ির কিছু জায়গা হল আকর্ষণের প্রধান স্থান।
  • অন্য আরেকটি আকর্ষণ হল ইড়ুক্কি জেলার থেক্কাডিতে অবস্থিত পেরিয়ার বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য।
  • পাঠানমথিত্তা জেলায় অবস্থিত প্রভু আয়্যাপ্পনের আবাস স্থল সবরিমালা হল বিখ্যাত ধর্মীয় স্হান।
  • কেরালার প্রধান বন্দর, কোচি, যা আরব সাগরের রাণী হিসাবেও সুপরিচিত।
  • সংলগ্ন বন্দর সহ সুন্দর উইলিংটন দ্বীপ হল একটি দারুণ আকর্ষণীয় স্থান।
  • কালাডী, যেটি হল শ্রী শঙ্করাচার্য্যের জন্মস্থান।
  • গুরুভায়ুরে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বিখ্যাতমন্দির আছে।
  • ত্রিশূর জেলায় অবস্থিত কলামন্ডলম বিখ্যাত কথাকলি কেন্দ্র।

* সর্বশেষ সংযোজন : ০৩- ফেব্রুয়ারী, ২০১৫