কর্ণাটক মানচিত্র

Karnataka Map in Bengali

কর্ণাটক মানচিত্র
* প্রধান সড়ক, রেলপথ, নদী, জাতীয় সড়ক ইত্যাদি এই মানচিত্রে দেখানো হয়েছে।

কর্ণাটকের উপর তথ্যাবলী

আধিকারিক ওয়েবসাইট www.karnataka.gov.in
স্থাপনের তারিখ 1 নভেম্বর, 1956
আয়তন 191,791 বর্গ কিলোমিটার
ঘনত্ব 319 বর্গ কিলোমিটার
জনসংখ্যা(2011) 61095297
পুরুষ জনসংখ্যা(2011) 30966657
মহিলা জনসংখ্যা(2011) 30128640
জেলার সংখ্যা 30
রাজধানী বেঙ্গালুরু
নদীসমূহ অর্কাবতী, শারাভাথী, মালাপ্রভা, হেমাবতী
অরণ্য ও জাতীয় উদ্যান বন্দিপুর জাতীয় উদ্যান, নাগরহোল জাতীয় উদ্যান, মুদুমলাই জাতীয় উদ্যান
ভাষা কন্নড়, টুলু, হিন্দি, বাংলা, মাল
প্রতিবেশী রাজ্য মহারাষ্ট্র, গোয়া, কেরালা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, তামিলনাড়ু
রাষ্ট্রীয় পশু হাতি
রাষ্ট্রীয় পাখি নীলকন্ঠ
রাষ্ট্রীয় বৃক্ষ চন্দন
রাষ্ট্রীয় ফুল পদ্ম
রাজ্যের অভ্যন্তরীণ মূল উৎপাদন (2011) 60946
সাক্ষরতার হার (2011) 93.91%
প্রতি 1000 জন পুরুষে মহিলার সংখ্যা 968
বিধানসভা নির্বাচনক্ষেত্র 224
সংসদীয় নির্বাচনক্ষেত্র 28

কর্ণাটক সম্পর্কে

কর্ণাটক ভারতের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকের একটি অতি সুপরিচিত রাজ্য। প্রকৃতপক্ষে, এটি মহীশূর রাজ্য হিসাবে পরিচিত ছিল কিন্তু ১৯৭৩ সালে নুতন নামকরণ হয় কর্ণাটক। ব্যাঙ্গালোর এই রাজ্যের রাজধানী তথা বৃহত্তম শহর। রাজ্যটি পশ্চিমে লাক্ষাদ্বীপ ও আরব সাগর, উত্তরে মহারাষ্ট্র, উত্তর-পশ্চিম দিকে গোয়া এবং পূর্বদিকে অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলেঙ্গানা রাজ্য দ্বারা বেষ্টিত। এটি দক্ষিণ-পশ্চিমে কেরালা এবং দক্ষিণ-পূর্বে তামিলনাড়ু দ্বারাও বেষ্টিত। জনসংখ্যার দিক দিয়ে কর্ণাটক ভারতের নবম বৃহত্তম রাজ্য। রাজ্যে ৩০টি জেলা রয়েছে। কন্নড় এই রাজ্যের সরকারি এবং ব্যাপকভাবে প্রচলিত কথ্য ভাষা হিসাবে ব্যবহৃত হয়। রাজ্যের অন্যান্য প্রচলিত কথ্য ভাষাগুলি হল কোঙ্কনি, টুলু এবং হিন্দি।

রাজ্যটি ১৯১,৯৭৬ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে অবস্থিত। এটি আয়তনের দিক থেকে ভারতের অষ্টম বৃহত্তম রাজ্য। ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, রাজ্যের জনসংখ্যা হল ৬১,১৩০,৭০৪ জন। এটি পর্যটকদের কাছে ভারতের দক্ষিণ অংশের একটি জনপ্রিয় গন্তব্যস্থল। রাজ্যের প্রধান ধর্মীয় সম্প্রদায় হল হিন্দু। তথাপি এখানে আরও অন্যান্য ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষও রয়েছে যথা মুসলিম, খ্রীষ্টান, জৈন এবং তিব্বতি বৌদ্ধ। উত্তরে কৃষ্ণা এবং দক্ষিণে কাবেরী এই দুটি নদী, রাজ্যের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। রাজ্যের নামকরণে বিভিন্ন শব্দপ্রকরণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তবে, এই রাজ্যের নামটি দুটি শব্দ কারু এবং নারু যার অর্থ হল “উঁচু ভূমি” থেকে এসেছে।

ইতিহাস

এই রাজ্যের ইতিহাস কত পুরাতন তা এই অঞ্চলে প্রাপ্ত প্রত্নতাত্ত্বিক যুগের হাতে তৈরি কুঠার ও ছুরি থেকে বোঝা যায়। এমনকি কর্ণাটকে প্রাচীন প্রস্তরযুগীয় এবং নব প্রস্তরযুগীয় সংস্কৃতিরও প্রমাণ পাওয়া গেছে। এই রাজ্যে হরপ্পায় সোনা পাওয়া গিয়েছিল যা খনন করে রাজ্যের আমদানি হত। পন্ডিত ও গবেষকরা, সিন্ধু সভ্যতা এবং প্রাচীণ কর্ণাটকের মধ্যে এক যোগাযোগ ছিল বলে অনুমান করেন। খ্রীষ্টপূর্ব তৃতীয় শতকের পূর্ববর্তী সময়কালে, রাজ্যের একটি বিশাল অংশ নন্দ সাম্রাজ্যের একটি অংশ ছিল। পরবর্তী কালে, এটি মৌর্য্য সাম্রাজ্যের একটি অংশ হয়ে উঠেছিল। সাতবাহনের শাসনকাল ৪ শতক ধরে অনুসরণ করার দরুণ তাদেরকে এই রাজ্যের একটি বিশাল এলাকার নিয়ন্ত্রণের অনুমতি দেওয়া হয়। সাতবাহনেরা ব্যর্থ হওয়ার পর, পশ্চিমী গঙ্গা ও কদোম্বাসের মত দেশীয় রাজ্যগুলির নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি পায় এবং তারা নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতার দ্বারা এই অঞ্চলের রাজনৈতিক সত্ত্বার উত্থান চিহ্নিত করে। ময়ূরাশর্মা এখানে কদোম্ব রাজবংশের প্রতিষ্ঠা করেন ও বনভাসিতে রাজধানী স্থাপন করেন। ১৫৬৫ খ্রীষ্টাব্দে, কর্ণাটক এবং দক্ষিণ ভারতের বেশ কিছু জায়গা এসময় ভূ-রাজনৈতিক স্থানান্তরের অভিজ্ঞতা পায়। ভারত তার স্বাধীনতা অর্জন করার পর, তখনকার মহারাজা জয়াচামারাজেন্দ্র ওয়াদেইয়ার, ভারতকে তার রাজত্ব সংযোজনে অনুমতি দেন। ১৯৫০ সালে মহীশূর ভারতের একটি রাজ্য হয়ে ওঠে। মোক্ষগুন্ডাম বিশ্বেশ্বরায়া-র মতো শিল্প কল্পনাকারীরা কর্ণাটকের শিল্পায়ন ও উৎপাদনের ভিতের উন্নয়ন ও বৃদ্ধিতে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

ভৌগোলিক অবস্থান

ভৌগোলিকগত দিক দিয়ে কর্ণাটকের তিনটি প্রধান অঞ্চল রয়েছে। এটি কারাভালী উপকূলীয় অঞ্চল, পশ্চিমঘাটকে আচ্ছাদিত মালেনাড়ুর পার্বত্য অঞ্চল এবং দাক্ষিণাত্য মালভূমির সমভূমি অঞ্চলকে আচ্ছাদিত বায়ালুসীম অঞ্চল নিয়ে গঠিত। এই রাজ্যের প্রধান অংশ বায়ালুসীম অঞ্চলে আচ্ছন্ন রয়েছে। চিকমাগালুর জেলায় অবস্থিত এই রাজ্যের সর্ব্বোচ্চ শিখর বিন্দু হল মূল্যায়ন গিরি পর্বত। এর উচ্চতা হল ৬৩২৯ ফুট বা ১৯২৯ মিটার। এই রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ নদীগুলি হল কাবেরী, কৃষ্ণা, শারাভাথী, মালাপ্রভা এবং তুঙ্গভদ্রা। কর্ণাটক প্রধানত ৪ ধরনের ভৌগোলিক গঠন নিয়ে গঠিত। এগুলি হল আর্কিয়ান মিশ্রিত গ্রানাইট জাতীয় শিলা এবং ধারওয়াড় শিলা, ভীমার প্রস্তরযুগীয় পাললিক অজীবাশ্মীয় গঠন এবং কালাদগি শ্রেণী, দাক্ষিণাত্যের জমানো এবং অন্তবর্তী জমানো পলি এবং টার্সিয়ারী ও আ্যলুভিয়্যাল পলি।

পর্যটন

সুদীর্ঘ ইতিহাস এবং বিভিন্ন ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে, কর্ণাটক পর্যটকদের দ্রষ্টব্য বিভিন্ন আকর্ষণীয় স্থানের আবাসন স্থল হিসাবে গড়ে উঠেছে। আপনারা এখানকার বিশাল এলাকা জুড়ে অবস্থিত পুরাতন এবং ভাস্কর্যময় মন্দির, আকর্ষণীয় পর্বত শ্রেণী, আধুনিক শহর, অসীম সৈকত এবং অপরিসীম অরণ্য ঘুরে দেখতে পারেন। প্রকৃতপক্ষে, এই রাজ্যটি ভারতের পর্যটনের জন্য একটি জনপ্রিয় গন্তব্যস্থল হিসাবে গণ্য হয়। জাতীয়স্তরে মিনার সংরক্ষণের ক্ষেত্রে, ভারতের মধ্যে কর্ণাটক কেবলমাত্র উত্তর প্রদেশের পরে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে রয়েছে। রাজ্যের দক্ষিণাত্য অঞ্চলসহ, পশ্চিমঘাটের বিভিন্ন জেলায় বেশ কিছু জনপ্রিয় ইকো-পর্যটন রয়েছে। সেই সমস্ত স্থানগুলি হল কুদ্রেমুখ, আগুম্বে এবং মদিকেরি।

প্রশাসন এবং সরকার

ভারতের অন্যান্য রাজ্যগুলির ন্যায় কর্ণাটকে, সাংবিধানিকগতভাবে ২-টি নির্বাচিত কক্ষ সহ সাংসদীয় সরকার রয়েছে। একটি হল আইন পরিষদ ও অন্যটি হল বিধানসভা পরিষদ। ২২৪ জন সদস্য নিয়ে বিধানসভা সমাবেশ গঠিত এবং তারা ৫ বছরের জন্য নির্বাচিত হন। অন্যদিকে, আইন পরিষদে ৭৫ জন স্থায়ী সদস্য রয়েছেন। ২৫ জন সদস্য প্রতি দুই বছর অন্তর অবসর নেন। কর্ণাটক সরকার মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে নিয়ন্ত্রিত হয়। বিধানসভা পরিষদের সদস্যদের দ্বারা মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন। নেতা অথবা নেত্রী সহ মন্ত্রী সমাবেশ একসঙ্গেই বিভিন্ন আইন প্রণয়ন সূচিতে উদ্যোগ নেন। উপরন্তু, মুখ্যমন্ত্রীও প্রধান নির্বাহী সিদ্ধান্ত নেন। রাজ্যপাল হলেন নিরপেক্ষ এবং রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। রাজ্যপাল কেন্দ্রীয় সরকারের সুপারিশে ভারতীয় রাষ্ট্রপতির দ্বারা পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হন।

শিক্ষা

সর্বশেষ আদমশুমারি অনুযায়ী, কর্ণাটকে সাক্ষরতার হার হল ৭৫.৬০ শতাংশ। পুরুষ ও মহিলাদের স্বাক্ষরতার হার হল যথাক্রমে ৮২.৮৫ শতাংশ এবং ৬৮.১৩ শতাংশ। আপনি সমস্ত ভারত জুড়ে অবস্থিত প্রধান গবেষণা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেমন আই.আই.এস, আই.আই.এম, এন.আই.টি কর্ণাটক এবং ন্যাশনাল ল্য স্কুল এখানে পেতে পারেন। কর্ণাটকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা হল প্রায় ৫৪,৫২৯-টি। রাজ্যে প্রায় ৮.৪৯৫ কোটি শিক্ষার্থী এবং ২৫২,৮৭৫ জন শিক্ষক রয়েছেন। কর্ণাটকে তিন ধরনের বিদ্যালয়/মহাবিদ্যালয় রয়েছে যথা- সংযুক্ত বেসরকারি; অসংযুক্ত বেসরকারি এবং সরকার কর্তৃক চালিত বিদ্যালয়। সংযুক্ত বেসরকারি বিদ্যালয়গুলির মধ্যে সরকার আর্থিক সাহায্য প্রদান করে। অন্যদিকে, অসংযুক্ত বেসরকারি বিদ্যালয়গুলিকে সরকার আর্থিক সাহায্য প্রদান করে না।

অর্থনীতি

২০১২-১৩ সালের আর্থিক বছরে, রাজ্যের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে (জি.সি.ডি.পি) রাজ্যে প্রায় ২.৯৪ শতাংশ আর্থিক ঘাটতি হয়েছে। অন্যদিকে, মোট আর্থিক ঘাটতির প্রায় ১১০ শতাংশ মূলধন ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজ্যের রাজস্ব আয় মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের (জি.সি.ডি.পি) ১৫.৬৪ শতাংশ বৃ্দ্ধি পেয়েছে। ২০১২-১৩ সালের বাজেট, কার্যক্ষেত্রের সাধারণ অর্থনৈতিক অবস্থার পুনুরুদ্ধারে সুবিধা করেছিল যা রাজ্যের সামগ্রিক অর্থনীতির উন্নতিকে সঞ্চালিত করেছিল। ব্যয় সাপেক্ষে, মূলধন ব্যয় মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের (জি.সি.ডি.পি) হার ২০০৪-০৫ সালের ২.৮১ শতাংশ থেকে ২০১০-১১ সালে ৪.৪৩ শতাংশের উচ্চতর স্তরে পৌঁছে গিয়েছে। তারপর থেকে, মূলধন ব্যয় মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের (জি.সি.ডি.পি) হার ২০১১-১২ সালের ৪.০৭ শতাংশে এবং ২০১২-১৩ সালে ৩.৫৫ শতাংশে নেমে এসেছে।

জনসংখ্যা

২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, এই রাজ্যের জনসংখ্যা ছিল ৬১,০৯৫,২৯৭ জন। জনসংখ্যায় পুরুষ ও মহিলার সংখ্যা যথাক্রমে ৩০,৯৬৬,৬৫৭ জন এবং ৩০,১২৮,৬৪০ জন। ২০১১ সালের আদমশুমারির তুলনায় এটি ১৭ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। জনসংখ্যার ঘনত্ব হল প্রতি বর্গ কিলোমিটরে ৩১৯ জন। উপরন্তু, মোট জনসংখ্যার শতকরা প্রায় ৩৪ শতাংশ শহরাঞ্চলে বাস করে। সাক্ষরতার হার হল ৭৫.৩৬ শতাংশ। পুরুষ এবং মহিলার সাক্ষরতার হার হল যথাক্রমে ৮২.৪৭ শতাংশ এবং ৬৮.০৮ শতাংশ। মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮৩ শতাংশ হল হিন্দু সম্প্রদায়। রাজ্যের অন্যান্য ধর্মীয় সম্প্রদায়গুলি হল মুসলিম, খ্রীষ্টান, জৈন এবং বৌদ্ধ।

সংস্কৃতি

এই রাজ্যে আপনি বিভিন্ন ধর্মীয় এবং ভাষাগত জাতি পেতে পারেন। সুদীর্ঘ ইতিহাস এই রাজ্যের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারের উপর বিশাল অবদান রেখে গেছে। কান্নাড়ী ছাড়া, এই রাজ্য কোডাভা, কোঙ্কনি এবং টুলুদেরও আবাসস্হল। তিব্বতী বৌদ্ধ, অন্যান্য উপজাতি যেমন ইয়েরাভা, সিদ্ধি, তোড়া এবং শোলিগা-দের নিয়ে রাজ্যের অল্প সংখ্যক জনসংখ্যা গঠিত। ঐতিহ্যগত শিল্পকলা এবং লোক নাট্য-নাটক, নৃত্য, সঙ্গীত ইত্যাদি দ্বারা গঠিত। যক্ষ গান এবং উপকূলীয় কর্ণাটক- এই রাজ্যের প্রধান নাট্য ধরন। রাজ্যের আধুনিক নাট্য সংস্কৃতি খুবই স্পন্দনশীল।

ভাষা

এই রাজ্যের সরকারি এবং প্রধান প্রচলিত ভাষা হল কন্নড়। জনসংখ্যার একটি প্রধান অংশ এই ভাষাতে কথা বলে এবং এটি ভারতে শাস্ত্রীয় ভাষা হিসাবেও গণ্য হয়। কর্ণাটকের গঠনে কন্নড়দের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৫৬ সালে রাষ্ট্র সংজ্ঞার জন্য ভাষাগত জনসমষ্টি এক উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহন করে। রাজ্যের অন্যান্য কিছু স্থানীয় ভাষা হল কোঙ্কনি, কোডাভা এবং টুলু যার সঙ্গে একটি ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে। মুসলিম সম্প্রদায়ের কিছু মানুষ উর্দূ ভাষায় কথা বলে। কিছু কম প্রচলিত ভাষা হল সংকেথি এবং বেয়ারী বাশহে। দক্ষিণ্ কন্নড় এবং উদুপি-র কিছু অঞ্চল এবং বিভিন্ন উপকূলীয় জেলায় প্রধানত টুলু ভাষা ব্যবহৃত হয়।

পরিবহন

এই রাজ্যের বিমান পরিবহন সুবিধা ক্রমবর্ধমান। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অনেক বিমানবন্দর রয়েছে যেমন ম্যাঙ্গালোর, ব্যাঙ্গালোর, বেলগাঁও, হুবলি, বেল্লারি, হামপি এবং মহীশূর। উপরন্তু, ম্যাঙ্গলোর এবং ব্যাঙ্গালোর বিমানবন্দর থেকে আন্তর্জাতিক বিমানগুলিকেও পরিচালনা করা হয়। প্রধান বিমান সংস্থা যেমন কিংফিশার রেড এবং কিংফিশার এয়্যারলাইনস ব্যাঙ্গলোর শহরের উপর ভিত্তি করে রয়েছে। এই রাজ্যের সংযুক্ত রেলপথের দৈর্ঘ্য হল ৩,০৮৯ কিলোমিটার। ২০০৩ সালে গড়ে ওঠা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল রেলের সদর দপ্তর হুবলিতে অবস্থিত। বর্তমানে, কর্ণাটকের অনেক অংশ দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পশ্চিম রেলপথের অধীনে চলে এসেছে।

* সর্বশেষ সংযোজন : ১৮- ই ফেব্রুয়ারী, ২০১৫