ঝাড়খণ্ড পর্যটন

Travel to Jharkhand in Bengali

ঝাড়খণ্ড পর্যটন
* ঝাড়খণ্ড পর্যটন মানচিত্রে - ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন প্রধান শহর, তীর্থস্থান, নদী, পর্যটন কেন্দ্র ও অন্যান্য দর্শনীয় স্থানগুলিকে দেখানো হয়েছে।

ঝাড়খণ্ড পর্যটন

ঝাড়খণ্ড রাজ্যকে বিহার থেকে উৎকীর্ণ করা হয়েছে। এই রাজ্য ভূগর্ভস্থ খনিজ পদার্থের প্রাচুর্য ও ভারতের সবচেয়ে ভারী শিল্পের জন্য অত্যন্ত বিখ্যাত।

ছোটনাগপুর মালভূমির অরণ্যলিপ্ত পথে অবস্থিত ঝাড়খণ্ডকে যথাযোগ্যভাবে “ছোটনাগপুরের রাণী” বলে অভিহিত করা হয়।

এই রাজ্যের হরপ্পা সভ্যতার মত পুরাতন এক সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে। হাজারি বাগে হরপ্পা মৃৎশিল্পের আবিষ্কার তার প্রাচীনত্বের জন্য বিখ্যাত। এই অঞ্চল ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বিরসা মুন্ডার বীরত্বপূর্ণ কিংবদন্তী এখনও প্রতিটি মানুষের স্মৃতিতে জীবিত।

জনপরিসংখ্যান
অবস্থান ভারতের পূর্বাঞ্চলে
উত্তরে বিহার,
দক্ষিণে উড়িষ্যা,
পূর্বে পশ্চিমবঙ্গ,
পশ্চিমে ছত্তীসগঢ় ও উত্তর প্রদেশ
অক্ষাংশ 21 ডিগ্রী 58 মিনিট থেকে 28 ডিগ্রী 18 মিনিট উত্তর
দ্রাঘিমাংশ 83 ডিগ্রী 22 মিনিট থেকে 87 ডিগ্রী 57 মিনিট পূর্ব
আয়তন 79,714 বর্গ কিলোমিটার
জলবায়ু সারা বছর ব্যাপী মনোরম এবং সুষম
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা 44 ডিগ্রী সেলসিয়াস
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা 5 ডিগ্রী সেলসিয়াস
বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত 127 সেন্টিমিটার
রাজধানী রাঁচি
জনসংখ্যা 21843911
ভাষা সাঁওতালি, মুন্ডারি, কুরুখ, খোরথা, নাগপুরিয়া, সাদ্রি, খারিয়া, পঞ্চপরাগনিয়া,
হো, মালতো, কারমালি, ভোজপুরি, হিন্দি, উর্দু, বাংলা
ধর্ম হিন্দু, মুসলিম, খ্রীষ্টান
পরিদর্শনের সেরা সময় ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল
পরিধান গ্রীষ্মকালে – হালকা সূতি, শীতকালে – ভারী পশম

ঝাড়খণ্ডে পৌঁছানোর উপায়

ঝাড়খণ্ড ভারতের এক অন্যতম কনিষ্ঠ রাজ্য।পূর্বে এই রাজ্যটি বিহার রাজ্যের অংশ ছিল।রাজ্যের রাজধানী রাঁচি পূর্বে বিহারের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী ছিল।নবীন রাজ্য হলেও, ঝাড়খণ্ড যাওয়া খুব একটা কঠিন নয়।বহু সংখ্যক শিল্পকেন্দ্র কৌশলগতভাবে ঝাড়খণ্ডে অবস্থিত এবং এক সুদৃঢ় যোগাযোগ ব্যবস্থা দ্বারা পরিবেশিত।

বিমানপথ দ্বারা

ঝাড়খণ্ডের, রাঁচিতে একটি অন্তর্দেশীয় বিমানবন্দর রয়েছে যা কলকাতা, পাটনা, মুম্বাই ও নতুন দিল্লীর সঙ্গে নিয়মিত বিমান দ্বারা সংযুক্ত।

রেলপথ দ্বারা

ঝাড়খণ্ডের প্রধান রেল স্টেশনও রাঁচিতে অবস্থিত। দক্ষিণ পূর্ব রেলপথের দ্বারা অন্যান্য প্রধান শহরগুলি যেমন – পাটনা, রাউরকেল্লার সাথে ঝাড়খণ্ড নিয়মিত ট্রেন দ্বারা সুসংযুক্ত। অন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ রেলওয়ে স্টেশন হাজারিবাগে অবস্থিত।

সড়কপথ দ্বারা

রাঁচি, ২৩-নং জাতীয় সড়ক এবং ৩৩-নং জাতীয় সড়ক-এর সংযোগস্হলে অবস্থিত। এই এলাকায় সড়ক পরিবহনকে সহজতর করার জন্য এবং দেশের যেকোন প্রান্ত থেকে ঝাড়খণ্ডকে সহজলভ্য করার জন্য বিস্তৃত সড়ক যোগাযোগ এখনও নির্মাণাধীন।

jharkhand-tourist-map

ঝাড়খণ্ডে পরিদর্শনযোগ্য স্থান

ঝাড়খণ্ড পর্যটন ঝাড়খণ্ডের অর্থনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। ভারতে বিদেশীদের আসার সঙ্গে সঙ্গে ঝাড়খণ্ডের পর্যটন দ্রুতগতিতে উত্থিত হয়েছে।

ঝাড়খণ্ডের বৈচিত্রময় ভৌগলিক বৈশিষ্ট্য তার সীমানার মধ্যে পাহাড় ও বনাঞ্চল দ্বারা গঠিত। পবিত্র মন্দির, মিউজিয়াম, বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য ইত্যাদি সহ পাহাড় ও বনাঞ্চল মূলত ঝাড়খণ্ড পর্যটনে অবদান রাখে।

ঝাড়খণ্ডের দর্শনীয় স্থান

ঝাড়খণ্ড বহু পর্যটক গন্তব্যের অধিকারী, যা বিশ্বের বিভিন্ন অংশে থেকে আগত পর্যটকদের আকর্ষণ করে। ঝাড়খণ্ড পর্যটনের অবদানমূলক গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলি হল –

  • রাঁচি।
  • জামশেদপুর।
  • ধানবাদ।
  • বোকারো।
  • হাজারিবাগ।
  • পালামু।
  • ছাতরা।
  • পরেশনাথ পাহাড়।
  • নেতারহাট, ইত্যাদি।

* ঝাড়খন্ডের বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য পর্যটন স্থলগুলির বিষয়ে নীচে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়েছে –

রাঁচি পাহাড়


রাঁচির পাহাড়গুলি ঝাড়খণ্ডের সেরা পর্যটক গন্তব্য। চারিদিকে নির্মল সৌন্দর্য দ্বারা বেষ্টিত এবং ২১৪০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত, এই পাহাড়ী অঞ্চল শহরের তাড়াহুড়া এবং ব্যস্ততা থেকে একটি আদর্শ পশ্চাদপসরণ। চারপাশের শ্যামলিমা আপনার চোখকে একটি আনন্দজনক অনুভূতি প্রদান করে।

ঝাড়খণ্ডের রাঁচি পাহাড় রাঁচি শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত।ঝাড়খণ্ডের রাজধানী শহর ভারতের বিভিন্ন অংশ থেকে বিমানপথ, সড়ক পথ ও রেলপথ দ্বারা প্রবেশযোগ্য। তাছাড়া, রাঁচিতে থাকার কোন সমস্যা নেই। কারন এই শহরের বিভিন্ন অংশে বিভিন্ন হোটেল রয়েছে।

ঝাড়খণ্ডের রাঁচি পাহাড়ের প্রধান আকর্ষণ হল তার আকৃতি। এই পাহাড়টি একটি সমতল ভূমিতে অবস্থিত এবং দূর থেকে এটি অত্যন্ত আশ্চর্যজনক দেখায়। তাছাড়া, এই পাহাড়ের চূড়া থেকে রাঁচি শহরের একটি অসাধারণ দৃশ্য দেখা যায়।

ঝাড়খণ্ডের রাঁচি পাহাড়ের আরেকটি আকর্ষণ হল এখানে অবস্থিত শিব মন্দির যা অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করা হয়। শ্রাবণ মাসে এই মন্দিরে ভক্তদের অত্যন্ত ভিড় দেখা যায় যাদের জন্য এটি দেওঘরের বৈদ্যনাথ ধামের মতন পবিত্র।

একটি কৃত্রিম হ্রদ ঝাড়খণ্ডের রাঁচিতে অবস্থিত। এটি রাঁচি লেক নামে পরিচিত। এই হ্রদে নৌকাচালনার সুবিধা প্রদান করা হয়। রাঁচির একটি সফর আপনাকে রাঁচির প্রাকৃতিক বিস্ময়ের অন্বেষণের একটি সুযোগ প্রদান করে।

দশম জলপ্রপাত


দশম জলপ্রপাত ঝাড়খণ্ডের একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটক গন্তব্য। এটি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সবচেয়ে সুন্দর জলপ্রপাত। জলপ্রপাতটি দশম ঘাগ নামেও পরিচিত। ঝাড়খণ্ডের দশম জলপ্রপাত শধুমাত্র জাতীয় নয় বরং আন্তর্জাতিক পর্যটকদেরও আকর্ষণ করে।

ঝাড়খণ্ডের দশম জলপ্রপাত টাটা-রাঁচি মহাসড়ক রোডে তাইমারা গ্রামের কাছাকাছি অবস্থিত। এটি রাজ্যের রাজধানী রাঁচি থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই মহৎ জলপ্রপাত কাঞ্চী নদী থেকে সৃষ্ট যা ১৪৪ ফুট উচ্চতা থেকে পড়ে দশম জলপ্রপাতের সৃষ্টি করে।

এই বিশাল জলরাশির দৃশ্য দেখতে অত্যন্ত অসাধারণ লাগে। এই জলের শব্দ চারিদিকে প্রতিধ্বনিত হয়। ঝাড়খণ্ডের দশম জলপ্রপাত ঝাড়খণ্ডের সেরা পর্যটন আকর্ষণ। আপনার কাছের এবং প্রিয় মানুষদের সঙ্গে বনভোজন করা বা এক সফরে যাওয়ার জন্য এটি হল এক আদর্শ গন্তব্য।

সূর্য মন্দির


ঝাড়খণ্ডের সূর্য মন্দির, রাঁচি এক্সপ্রেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শ্রী রাম মারুর নেতৃত্বে, সংস্কৃত বিহার নামক এক দাতব্য ট্রাস্ট কর্তৃক নির্মিত। এই মন্দির পরিদর্শন করা কালীন আপনি শধুমাত্র এখানকার সৌন্দর্য দেখে অবাক হবেন না, বরং এখানকার চারিপাশের নিদারূণ নকশা আপনাকে মুগ্ধ করবে যা এই মন্দিরে আরও আকর্ষণ যোগ করে।

ঝাড়খণ্ডের সূর্য মন্দির বুন্ডুর কাছাকাছি টাটা-রাঁচি মহাসড়কে অবস্থিত। এই মন্দিরটি আদর্শভাবে শহরের জনাকীর্ণ ব্যস্ততা থেকে দূরে এক নির্মল প্রকৃতির সৌন্দর্যের মধ্যে অবস্থিত। রাঁচি থেকে একটি গাড়ী বা একটি বাস ধরে পাকা রাস্তা দ্বারা সহজেই ঝাড়খণ্ডের সূর্য মন্দির পোঁছানো যায়।

এমনকি রাঁচি হয়ে ঝাড়খণ্ডের সূর্য মন্দির যাওয়ার পথটিও খুব সুন্দর। এই যাত্রাপথ ছোট নাগপুর মালভূমি অঞ্চলের বহু সেরা চিত্রানুগ দৃশ্যের প্রস্তাব দেয়। তাই যদি আপনি চান, আপনি সূর্য মন্দিরের একটি সফরে বেরিয়ে পরতে পারেন যেখানে আপনি অসাধারণ সৌন্দর্য উপভোগ করতে এবং প্রকৃতির অনুগ্রহ অন্বেষণ করতে পারবেন।

বৈদ্যনাথ ধাম


অনাদিকাল থেকে হিন্দু পুরাণ উপকথা শুধুমাত্র ভারতে নয় বরং সারা বিশ্ব জুড়ে অসংখ্য মানুষের মনকে সম্মোহিত করে আসছে। অসংখ্য হিন্দু দেবদেবীর প্রধান দেবতা প্রভু শিব, যিনি বলিষ্ঠ এবং শক্তির ঐশ্বর্যময় প্রতীক হিসাবে সম্মানিত, এছাড়াও তিনি বৈদ্যনাথ ধাম মন্দির চত্বরের প্রধান দেবতা।

বৈদ্যনাথ ধামের মন্দিরটি প্রভু শিবের জন্য প্রতিষ্ঠিত, যা ভূপৃষ্ঠ থেকে ৭২ ফুট উঁচুতে একটি পিরামিড আকৃতির স্তম্ভের সাথে দাঁড়িয়ে আছে। বৈদ্যনাথ ধাম মন্দিরের উত্তর দিকের বারান্দায় স্থাপিত একটি ‘লিঙ্গ’ বা প্রভু শিবের মূর্তিকে দুধ এবং জল দ্বারা স্নান করান হয়। এই লিঙ্গটি, প্রকৃতপক্ষে ব্যাসল্ট পাথর দ্বারা তৈরী যা প্রায় ৫ ইঞ্চি ব্যাস যুক্ত চোঙার মত আকৃতিবিশিষ্ট।

জামশেদপুর


জামশেদপুর ঝাড়খণ্ডের কেন্দ্রে অবস্থিত এবং এটি জামশেদজি নুসেরবানজি টাটার এক অনুপ্রেরণা, যিনি এই স্থানের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। জামশেদপুরে বিরাজমান চমকপ্রদ পরিবেশ, টিলাসদৃশ দলমা পাহাড়ের মসীলিপ্ত ছায়াচিত্র এবং সুবর্ণরেখা ও খরকাই নদীর নীলচে সবুজ জলের দৃশ্য দ্বারা সম্মোহিত।

সিংভুম জেলার পূর্ব দিকে এবং ছোটনাগপুর মালভূমির উপর যথাযোগ্যভাবে অবস্থিত ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুর টাটা স্টিল, ভারতের প্রথম লোহা ও ইস্পাত কারখানার অধিকারী। লর্ড চেমসফোর্ড ১৯১৯ সালে মহান ব্যক্তিত্ব জামশেদজি নুসেরবানজি টাটাকে সপ্রশংস স্বীকৃতি প্রদান করতে তার নামানুসারে এই শহরের নাম দেন।

নেতারহাট


চিত্রানুগ স্থান নেতারহাট, রাঁচি হিসাবে গণ্য ঝাড়খণ্ডের সক্রিয় রাজধানী থেকে প্রায় ১৪৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। সবুজ বনভূমি এবং টিলা দ্বারা বেষ্টিত নেতরহাট ভূখণ্ড, এখানকার বিস্ময়কর আকর্ষণ যা এই স্থানে এক স্বতন্ত্র স্পর্শ প্রদান করে। যেহেতু ঝাড়খণ্ডের নেতারহাট ছোটা নাগপুর মালভূমির উপর অবস্থিত, তাই এটি ভারতের যেকোন দূরবর্তী প্রান্ত থেকে অত্যন্ত সহজেই প্রবেশযোগ্য।

ঝাড়খণ্ডের নেতারহাটের পার্শ্বদেশের পাহাড়গুলি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩৭০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। ঝাড়খণ্ডের নেতরহাটের প্রধান আকর্ষণ যা বহু বছর ধরে পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আসছে তা হল এখানকার সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের অসাধারণ সৌন্দর্যপূর্ণ দৃশ্য। এই দৃশ্যটি অত্যন্ত আনন্দদায়ক এবং আকর্ষণীয় যেখান থেকে আপনি চোখ সরাতে পারবেন না।

ঝাড়খণ্ডের নেতারহাটে বসবাসকারী মানুষদের দ্বারা সঞ্চালিত এক সেরা শিক্ষাগত বিকল্প হল নেতারহাট আবাসিক স্কুল নামে পরিচিত বিখ্যাত শিক্ষাগত প্রতিষ্ঠান। গ্রীষ্মকালে, এখানকার তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রী থেকে ৩০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেডের কাছাকাছি থাকে। শীতকালের তাপমাত্রা অত্যন্ত ঠাণ্ডা যা ১ ডিগ্রী এবং ১০ ডিগ্রীর মধ্যে ওঠানামা করে।

ঝাড়খণ্ডে কেনাকাটা

ঝাড়খণ্ডের কেনাকাটা প্রধানত আদিবাসী হস্তশিল্প নিয়ে গঠিত। ঝাড়খণ্ডের জনসংখ্যা বিভিন্ন আদিবাসী বিভাগের প্রভাবাধীন যারা যুগ যুগ ধরে চারু ও কারুশিল্পের একটি সমৃদ্ধ ঐতিহ্যকে উন্নত করে আসছে।

ঝাড়খন্ডের বিভিন্ন দক্ষ শিল্পীরা নানান রকমের নিদারূণ হস্তশিল্পের পণ্য তৈরি করে।নতুন রাজ্য সরকার এই শিল্পের দিকে তার মনোযোগ নিবদ্ধ না করা পর্যন্ত, কিছু ঐতিহ্যগত হস্তশিল্পকে বিলুপ্তির শেষপ্রান্তে যেতে হচ্ছে শুধুমাত্র প্রচার এবং সংরক্ষণের অভাবে। তবুও আপনি এখানে অত্যন্ত বিরল পৈতকর চিত্রকলার অন্তর্গত বা প্রস্তর খোদাইকৃত পণ্য কিনতে পারেন।

ঝাড়খণ্ডে কেনাকাটার জন্য, আপনি ব্যক্তিগত দোকান এবং স্থানীয় বাজারগুলিতে যেতে পারেন। সরকারি এম্পোরিয়া এই নবীন রাজ্যে তৈরি হতে চলেছে। পথপার্শ্ব বিক্রেতারাও বেশ বৈচিত্রময় এবং ভাল জিনিসের প্রস্তাব প্রদান করে।

* সর্বশেষ সংযোজন : ১৯ - শে জুন, ২০১৫