
ঝাড়খন্ডের উপর তথ্যাবলী |
|
---|---|
আধিকারিক ওয়েবসাইট | www.jharkhand.gov.in |
স্থাপনের তারিখ | 15 নভেম্বর, 2000 |
আয়তন | 79,714 বর্গ কিলোমিটার |
ঘনত্ব | 414/ বর্গ কিলোমিটার |
জনসংখ্যা(2011) | 32,988,134 |
পুরুষ জনসংখ্যা(2011) | 16,930,315 |
মহিলা জনসংখ্যা(2011) | 16,057,819 |
জেলার সংখ্যা | 24 |
রাজধানী | রাঁচি |
নদীসমূহ | দামোদর, সুবর্ণরেখা |
অরণ্য ও জাতীয় উদ্যান | বেতলা (পালামৌ) জাতীয় উদ্যান, হাজারিবাগ বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য |
ভাষা | মুন্ডারি, কুরুখ, খোর্থা, নাগপুরিয়া, শাদ্রি, খাড়িয়া, পাঁচপরগণীয়া, হো, মালতো, করমালি, বাংলা, হিন্দি, উর্দূ, সাঁওতালি |
প্রতিবেশী রাজ্য | বিহার, উত্তর প্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, ছত্তীসগঢ় |
রাষ্ট্রীয় পশু | হাতি |
রাষ্ট্রীয় পাখি | এশিয় কোকিল |
রাষ্ট্রীয় পাখি | শাল |
রাষ্ট্রীয় ফুল | পলাশ |
রাজ্যের অভ্যন্তরীণ মূল উৎপাদন (2011) | 29786 |
সাক্ষরতার হার (2011) | 75.60% |
প্রতি 1000 জন পুরুষে মহিলার সংখ্যা | 947 |
বিধানসভা নির্বাচনক্ষেত্র | 81 |
সংসদীয় নির্বাচনক্ষেত্র | 14 |
ঝাড়খন্ড “অরণ্য ভূমি” হিসাবে পরিচিত- উদ্ভিদকূল ও প্রাণীকূল দ্বারা সমৃদ্ধ। এখানকার প্রকৃতি ও তার সৌন্দর্যের মনোরম দৃশ্য অবলোকনের জন্য, যে কেউ জুলোজিক্যাল গার্ডেন এবং ন্যাশন্যাল পার্ক পরিদর্শন করতে পারেন। এই রাজ্য ভারতের পূর্ব অংশে অবস্থিত। ২০০০ সালে বিহারের দক্ষিণ অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ঝাড়খন্ডকে একটি পৃথক রাজ্য হিসাবে গঠন করা হয়।
ঝাড়খন্ড পূর্বদিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, পশ্চিমে উত্তরপ্রদেশ ও ছত্তীসগঢ়, উত্তরে বিহার এবং দক্ষিণে ওড়িশা দ্বারা আবৃত।
রাজ্যটি প্রায় ৩০,৭৭৮ বর্গমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। রাঁচি এই রাজ্যের প্রধান রাজধানী, অন্যদিকে শিল্পায়নের উদ্দেশ্যে বৃহত্তম শহর হল জামশেদপুর। রাজ্যের উপ-রাজধানী হল দুমকা। এই রাজ্যের অন্যান্য প্রধান শহরগুলি হল হাজারিবাগ, ধানবাদ এবং বোকারো।
ঝাড়খন্ডের মূলে মগধ সাম্রাজ্যের নিদর্শন পাওয়া গেছে। মোঘল আমলে, এই এলাকা কূকারা নামে অভিহিত ছিল। ১৭৬৫ সালের পরে ব্রিটীশরা এখানে শাসন করতে আসে এবং এটি ঝাড়খন্ড নামে পরিচিত হয়। ১৭৭১ সালে সাঁওতাল উপজাতির তিলকা মাঁঝি ব্রিটীশ শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী নেতা ছিলেন। তার ঠিক পরেই অবিলম্বে, ১৭৭৯ সালে ভূমিজ উপজাতি বর্তমান রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের জন্য ব্রিটীশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন। তার পরেই, পালামৌতে চেরো উপজাতির মধ্যে অস্থিরতা লক্ষ্য করা যায়। ১৮৩২ সালে আদিবাসী বিদ্রোহ ঝাড়খন্ডের ব্রিটীশ প্রশাসনের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছিল। “বিরসা মুন্ডার” অধীনে এক দীর্ঘতম এবং শেষ উপজাতি বিদ্রোহ ১৮৯৫ সালে শুরু হয় এবং ১৯০০ সাল পর্যন্ত চলে।
এই রাজ্য সাঁওতাল পরগণা এবং ছোটনাগপুর মালভূমির উপর অবস্থিত। ঝাড়খন্ডের অধিকাংশই ছোটনাগপুর মালভূমির মধ্যে পড়ে। এখানকার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত নদীগুলি হল কোয়েল, ব্রাক্ষণী, দামোদর, সুবর্ণরেখা এবং খরকাই। লোধ জলপ্রপাত থেকে অরণ্য, পর্বত এবং মালভূমির এক সৌন্দর্যময় দৃশ্য উপভোগ করতে পারেন। এই রাজ্যের ঘন জঙ্গলে এশিয়ার হাতি এবং বাঘ বিপুল সংখ্যায় রয়েছে। ঝাড়খন্ডের মাটির উপাদান কাঁকড় এবং খন্ডিত পাথর নিয়ে গঠিত। মাটির উপাদানে আরও বিভাজন রয়েছে যা রাজ্যের চারপাশে দেখতে পাওয়া যায়। রাজমহল এলাকা এবং দামোদর উপত্যকায় লালমাটি দেখতে পাওয়া যায়। বরকাগাঁও, ঝুমরি তিলাইয়া, কোডারমা এবং মান্দার পাহাড়ের কিছু এলাকায় অভ্র কণা নিয়ে গঠিত অভ্রযুক্ত মাটি দেখতে পাওয়া যায়। ধানবাদ এবং হাজারিবাগে বেলে মাটি রয়েছে এবং রাজমহল এলাকার বেশির ভাগ অংশে কৃষ্ণ মৃত্তিকা দেখতে পাওয়া যায়। পালামৌ, দুমকা, পশ্চিমী রাঁচি, সিংভূম এবং সাঁওতাল পরগণা অঞ্চলে ল্যাটেরাইট মৃত্তিকা রয়েছে।
ঝাড়খন্ডে সরকারের প্রধান হলেন মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপাল হলেন রাজ্যের বিধিসম্মত প্রধান। জাতীয় এবং রাজ্য পর্যায়ের অনেক রাজনৈতিক দল ঝাড়খন্ড নির্বাচনে অংশগ্রহন করে। ঝাড়খন্ড নির্বাচনে সবচেয়ে সক্রিয় জাতীয় দলগুলি হল ভারতীয় জনতা দল (বি.জে.পি), ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস (আই.এন.সি) এবং ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি (সি.পি.আই)। রাজ্য স্তরের দলগুলির মধ্যে ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চা (জে.এম.এম) একটি বিশেষ রাজনৈতিক দল। বেশ কিছু আঞ্চলিক রেজিস্ট্রিভুক্ত দল ঝাড়খন্ড রাজনীতিতে অপরিসীম আগ্রহ দেখায় কিন্তু তাদের বিশেষ রাজনৈতিক প্রভাব নেই।
২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, রাজ্যের সাক্ষরতার হার ৬৭.৬৩ শতাংশ। পুরুষদের সাক্ষরতার হার ৭৮.৪৫ শতাংশ এবং মহিলাদের সাক্ষরতার হার ৫৬.২১ শতাংশ। এছাড়াও, রাজ্যের নয়টি জেলা গড় সাক্ষরতা হারের ওপরে অবস্থান করছে। রাজ্যে বেসরকারি ও সরকারি উভয় বিদ্যালয়ই চলে। শিক্ষার ধরন বিভিন্ন বিদ্যালয় অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়। ঝাড়খন্ডের কিছু সুপরিচিত বিদ্যালয়গুলি হল ডি নোবিলি বিদ্যালয়, ডি.এ.ভি হেহাল, দিল্লী পাবলিক স্কুল, অক্সফোর্ড পাবলিক স্কুল, সেন্ট থোমাস স্কুল, চিন্ময় পাবলিক স্কুল, সেন্ট জেভিয়ার্স, কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়, শিশু মন্দির, স্যাকরেড হার্ট স্কুল, লোয়োলা স্কুল, সুরেন্দ্রনাথ সেন্টেনারি স্কুল ইত্যাদি। ঝাড়খন্ড গঠিত হওয়ার পর, ঝাড়খন্ড শিক্ষা প্রকল্প পরিষদ (জে.ই.পি.সি) প্রাথমিক-স্তরে শিক্ষা প্রসারিত করার তাগিদে চারটি ভিন্ন প্রকল্প- ডি.পি.ই.পি, এস.এস.এ, এন.পি.ই.জি.ই.এল এবং কে.জি.বি.ভি- চালু করে ছিল। তবে, ধীর গতিতে কাজ হওয়ার জন্য সরকার এখনো পর্যন্ত ১০০শতাংশ ছাত্রদের বিদ্যালয় তালিকাভুক্ত করতে পারে নি।
ছত্তীসগঢ়ের পরেই ঝাড়খন্ড ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম খনিজ সম্পদ উৎপাদক রাজ্য। রাজ্যে আকরিক লৌহ, তামা, কয়লা, ইউরেনিয়াম, বক্সাইট, অভ্র, চুনাপাথর এবং গ্রাফাইট খনিজ সম্পদ হিসাবে পাওয়া যায়। খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ হওয়ায়, রাজ্যে মাথাপিছু আয়ের পরিমাণ আগামী দিনে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যায়। রাজ্যটি অনেক সুপরিচিত শিল্পোন্নত শহর নিয়ে গঠিত যেমন- বোকারো স্টীল সিটি, রাঁচি, রামগড় এবং ধানবাদ। ধানবাদে অবস্থিত সিন্দ্রি একটি বৃহত্তম সার কারখানা ছিল যেটি এখন বন্ধ হয়ে গেছে। জামশেদপুরে প্রথম লৌহ ও ইস্পাত কারখানা গড়ে উঠেছিল। বোকারো এশিয়ার সবচেয়ে বড় ইস্পাত কারখানা। বোকারোর গোমিয়ায় বৃহত্তম বিস্ফোরক রয়েছে। এরকমও ইঙ্গিত করা হয়েছে যে এনটিপিসি এখানে কয়লার উৎপাদন শুরু করবে যেখানে প্রায় ১,৮০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে।
২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী রাজ্যের বর্তমান জনসংখ্যা হল ৩২.৯৬ কোটি (পুরুষঃ ১৬.৯৩ কোটি; মহিলাঃ ১৬.০৩কোটি)। ২৪টি জেলা এবং ৩২,৬২০টি গ্রাম নিয়ে রাজ্যটি গঠিত। কেবল ৮,৪৮৪টি গ্রামের মধ্যে সংযোগ আছে। জনসংখ্যার মধ্যে ২৮ শতাংশ মানুষ উপজাতি এবং ১২ শতাংশ তফসিলী জাতি নিয়ে গঠিত। এই অঞ্চলে নগরায়ণ এবং শিল্পায়নের বিরুপ প্রভাব পড়েছে। প্রায় ৬৮.৫ শতাংশ মানুষ হিন্দু ধর্ম অনুসরণ করে, ১৩.৮ শতাংশ মানুষ ইসলাম ধর্ম অনুসরণ করে, ১৩ শতাংশ মানুষ সর্বপ্রাণবাদমূলক সরন অনুসরণ করে এবং ৪.১ শতাংশ মানুষ খ্রীষ্টান ধর্ম অনুসরণ করে। জনসংখ্যার অবশিষ্ট অংশ বৌদ্ধ, জৈন এবং শিখ ধর্ম অনুসরণ করে। রাজ্যে বহু উপজাতি সম্প্রদায় রয়েছে যেমন অসুর, বিঞ্ছিয়া, গোঁদ, হো, খারিয়া, খরওয়ার, বানজারা, বাথুঁন্ডি, মাল পাহাড়িয়া, চিক বারাইক, কোর্বা, বিরহোর, মাহলি, খোন্ড, কিষান, কোরওয়া, মাল পাহাড়িয়া, মুন্ডা, ওরাওঁ, সাঁওতাল, সৌরিয়া পাহাড়িয়া, সাভার, সবর, পারাহিয়া, বিরাজিয়া, পার্বত্য খাড়িয়া ইত্যাদি।
এই রাজ্যে উপজাতিদের প্রাধান্য হেতু, প্রকৃতিকে তাদের সংস্কৃতি ও জীবনযাত্রার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ রূপে বিবেচনা করা হয়। মানুষেরা ঐতিহ্যের অংশ হিসাবে পবিত্র গাছ কিনে তাদের অঙ্গনে রোপণ করে। জনসাধারণ জিতিয়া পূজা, কর্ম পূজা, সারহুল ইত্যাদি কয়েকটি ধর্মানুষ্ঠান অনুসরণ করে। মকর সংক্রান্তির সময়, মানুষেরা ফসল ঘরে তোলার উৎসব হিসাবে তুসু মেলা বা পৌষ মেলা পালন করে। এটি একটি লোক-প্রচলিত বিশ্বাস যে এই অনুষ্ঠান খুবই উজ্জ্বল ও বর্ণময়। সম্পূর্ণ ছোটনাগপুর মালভূমি অঞ্চলে করম উৎসব খুবই ধূমধাম ও উৎসাহের সঙ্গে পালিত হয়। কঁওয়ার-শুক্ল-পক্ষের পরে এটি ১৫ দিন ধরে পালিত হয়। এই উৎসবের প্রস্ত্ততি হিসাবে, মানুষেরা নতুন জামাকাপড়, সিঁন্দুর, তেল, ডালিয়া কেনে এবং অনেক রকমের খাবার তৈরি করে। এই উৎসবে ছেলে-মেয়েদের তাদের নিজস্ব পরিবারদের দ্বারা পরম গুরুত্ব সহকারে করম কাপড় দেওয়া হয় যা ইঙ্গিত করে যে তারা অবিবাহিত।
হিন্দি এই রাজ্যের প্রধান ভাষা। এখানকার মানুষ আরও অনেক অন্যান্য ভাষাতেও কথা বলে। তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ভাষা সমূহ হল- মুন্ডা, সিন্ধু-আর্য এবং দ্রাবিড়। এগুলি ভগিনী ভাষা এবং ব্যবহৃত শব্দগুলির প্রায় ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ একইরকম। সাঁওতালি, ভূমিজ, হো, মুন্ডারি এবং খাড়িয়া মুন্ডা ভাষার মধ্যে আসে, সিন্ধু-আর্য ভাষার মধ্যে আসে-বাংলা, শাদ্রী, মৈথিলী, পাঁচপরগণীয়া, ওড়িয়া, খোর্থা, নাগপুরী এবং কূর্মালি, দ্রাবিড় ভাষার মধ্যে আসে যেমন পাহাড়িয়া (মালতো), কোরওয়া এবং ওরাওঁ(কূরুখ)।
জামতারা, গোড্ডা, সাহেবগঞ্জ, দুমকা, পাকুড়, সরাইকেলা-খরসাওয়ান জেলা এবং সিংভূমের পূর্ব অংশের মানুষেরা প্রধানত সাঁওতালি ভাষায় কথা বলে। রাঁচি, খুন্তি, পশ্চিমী সিংভূম, লাতেহার জেলা, সিমডেগা, গুমলা ইত্যাদি অংশে মুন্ডারি ভাষায় কথা বলা হয়। সরাইকেলা-খরসাওয়ান জেলা এবং পশ্চিমী সিংভূম জেলার মানুষ হো ভাষায় কথা বলে।
ঝাড়খন্ডে সঘন রেলপথ আছে। অধিকাংশ জেলা রেলপথ দ্বারা সুসংযুক্ত। এছাড়াও, ঝাড়খন্ডের রাঁচিতে বিরসা মুন্ডা নামে একটি বিমানবন্দর রয়েছে। ভারতের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এই দেশীয় বিমানবন্দরটিকে পরিচালনা করে। এটি প্রকৃতপক্ষে শহর থেকে প্রায় সাত কিলোমিটার দূরে হিনু অঞ্চলে অবস্থিত। এছাড়া, শহরের সড়ক পরিবহন ব্যবস্থাও উন্নত। জাতীয় সড়কে পাঁচ-দশ মিনিটের অন্তরে অনবরত বাস পাওয়া যায়। বাসের মাধ্যমে যে কেউ উপজাতীয় এলাকা এবং গ্রাম থেকে শহরে ভ্রমণ করতে পারেন। এছাড়াও, রাজ্যের পরিবহন দপ্তর রাজ্যের মধ্যে সর্ব্বোচ্চ রাজস্ব উৎপাদন করে। পরিবহন বিভাগের আঞ্চলিক দপ্তর ধানবাদ, রাঁচি এবং জামশেদপুর থেকে শহর উন্নয়ন দপ্তর বাস পরিষেবার অনুমতি প্রদান করে।
পর্যটন শিল্প রাজ্যের অর্থনীতিতে একটি প্রধান অংশ রূপে অবদান রেখেছে। পর্বত ও অরণ্য ছাড়াও রাজ্যটি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, পবিত্র স্থান, যাদুঘর ইত্যাদি দ্বারা পূর্ণ, যা সমস্ত দেশের পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। এখানে অনেক ভারতীয় এবং বিশ্বব্যাপী প্রতিষ্ঠানের জন্য রাজ্যের পর্যটন ব্যবসাকে আকর্ষিত করেছে। রাজ্যের পরিদর্শন যোগ্য স্থানগুলি হলঃ
|