অন্ধ্রপ্রদেশ মানচিত্র

Andhra Pradesh Map in Bengali

অন্ধ্রপ্রদেশ মানচিত্র
* প্রধান সড়ক, রেলপথ, নদী, জাতীয় সড়ক ইত্যাদি এই মানচিত্রে দেখানো হয়েছে৷

অন্ধ্রপ্রদেশের উপর তথ্যাবলী

আধিকারিক ওয়েবসাইট www.ap.gov.in
স্থাপনের তারিখ 1 নভেম্বর, 1956(প্রথম সংগঠিত) 2 জুন, 2014( দ্বিতীয়বার পুনঃ সংগঠিত)
আয়তন 1,60,200 বর্গ কিলোমিটার
ঘনত্ব 308/বর্গ কিলোমিটার
জনসংখ্যা ( 2011) 49,386,799
পুরুষ জনসংখ্যা(2011) 24,738,068
মহিলা জনসংখ্যা(2011) 24,648,731
জেলার সংখ্যা 13
রাজধানী হায়দরাবাদ (বিজয়ওয়াড়া অঞ্চল অন্ধ্রপ্রদেশের প্রস্তাবিত রাজধানী)
নদীসমূহ গোদাবরী, কৃষ্ণা, ওয়েনগঙ্গা, তুঙ্গভদ্রা, পেন্নের, স্বর্ণমুখী ইত্যাদি।
অরণ্য ও জাতীয় উদ্যান নাগার্জুনসাগর- শ্রীসইলাম বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য
ভাষা তেলেগু, উর্দূ, হিন্দি, ইংরাজী, কন্নড়, ওড়িয়া এবং তামিল।
প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িশা, ছত্তীসগঢ়, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক, ইয়ানম(পুদুচ্চেরি) এবং তামিলনাড়ু
রাষ্ট্রীয় পশু কালো হরিণ
রাষ্ট্রীয় পাখি নীলকন্ঠ
রাষ্ট্রীয় বৃক্ষ নিম
রাষ্ট্রীয় ফুল জল পদ্ম, নেলুম্বো
রাজ্যের অভ্যন্তরীণ মূল উৎপাদন (2011) 62912
সাক্ষরতার হার (2011) 67.41%
প্রতি 1000 জন পুরুষে মহিলার সংখ্যা 996
বিধানসভা নির্বাচনক্ষেত্র 177
সংসদীয় নির্বাচনক্ষেত্র 25

অন্ধ্রপ্রদেশ সম্পর্কে

অন্ধ্রপ্রদেশ, ভারতের অন্তর্গত, দেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে অবস্থিত একটি রাজ্য। এই রাজ্যটি পাথরের হস্তশিল্প, পুতুল তৈরি, মূর্তি খোদাই, সুন্দর অঙ্কন, লোকনৃত্য- যেমন যক্ষ গান, উরুমুলা নাট্য, ঘেটো নাট্য ইত্যাদির জন্য বিশেষভাবে পরিচিত; এখানকার উৎসব যেমন সংক্রান্তি, দশেরা, ভরালক্ষী, দীপাবলী, নগুলা চাভিথি এবং সুস্বাদু খাবার যেমন আট্টু, ধোসা, উলাভাচারু এবং পায়েস ইত্যাদি প্রসিদ্ধ।

অন্ধ্রপ্রদেশের উত্তর দিক পাহাড়ী এলাকাভুক্ত। এখানকার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মহেন্দ্রগিরি সমুদ্রতল থেকে ১৫০০মি. উচ্চতায় অবস্থিত। এখানকার জলবায়ু সাধারণত উষ্ণ এবং আর্দ্র। এখানকার বার্ষিক বৃষ্টিপাত হল ১২৫ সেমি. এই রাজ্যের প্রধান নদীগুলি হল কৃষ্ণা এবং গোদাবরী।

অন্ধ্রপ্রদেশে একটি একক কক্ষে ১৭৫টি আসনের বিধানসভা সমাবেশ রয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই রাজ্য থেকে ১১জন রাজ্য সভা (উচ্চ কক্ষ) এবং ২৫জন সদস্য লোকসভা (নিম্ন কক্ষ) – মোট ৬০জন সদস্য ভারতীয় জাতীয় সংসদে পাঠানো হয়েছে।

অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যটিকে দুই ভাগে দ্বিখন্ডিত করা হয়েছে এবং একটি অংশকে তেলেঙ্গানা নামে চিহ্নিত করে, অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে আলাদা করা হয়েছে। ২০১৪ সালের অন্ধ্রপ্রদেশ পুনর্গঠন আইন অনুযায়ী, ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে একটি বিল পাস হয় এবং সেখানে অন্ধ্রপ্রদেশের উত্তর-পশ্চিমের ১০টি জেলা তেলেঙ্গানা রাজ্য গঠনের পক্ষে যায়। ভারতের রাষ্ট্রপতির দ্বারা অনুমোদিত, ২০১৪ সালের ২রা জুন থেকে এই নতুন রাজ্যটি ভারতের ২৯তম রাজ্য হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করে। হায়দরাবাদকে দশ বছরের জন্য উভয় রাজ্যের রাজধানী হিসাবে ঘোষণা করা হয়। তবে, অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার বিজয়ওয়াড়া অঞ্চলকে এই রাজ্যটির রাজধানীর জন্য প্রস্তাব করেছেন।

ইতিহাস

বহু শতাব্দী পূর্বে, অন্ধ্রপ্রদেশ বৌদ্ধদের প্রধান কেন্দ্র এবং সম্রাট অশোকের অসম প্রসারিত রাজ্যের এক অংশ ছিল। আশ্চর্য্যজনকভাবে, এই রাজ্যের বিভিন্ন অংশে নিদর্শনস্বরূপ এখনও বৌদ্ধদের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। সম্রাট অশোকের মৃত্যুর পর সাতবাহনেরা এই অঞ্চলের উপর তাদের রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত করে। সপ্তম শতাব্দী পর্যন্ত চালুক্যেরা এবং দশম শতাব্দী পর্যন্ত চোলরা অন্ধ্রপ্রদেশের উপর আধিপত্য বিস্তার করে। চর্তুদশ শতাব্দীর সময়কালে, এই রাজ্যে মুসলিম ক্ষমতা কায়েম হয় এবং প্রায় একশ বছর এই রাজ্য শাসন করে। অবশেষে, ১৭১৩ খ্রীষ্টাব্দে মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের দ্বারা এই রাজ্য স্বাভাবিকভাবে গৃহীত হয়।

অন্ধ্রপ্রদেশর ভৌগোলিক অবস্থান

এই রাজ্যটি দুটি প্রধান ভূ-সংস্থান বিভাগ নিয়ে গঠিত। এই রাজ্যের পূর্ব অংশ গঠিত ডেকান/দাক্ষিণাত্য মালভূমি এবং পূর্ব ঘাট পর্বত দ্বারা। এই রাজ্যের উত্তর ভাগ তেলেঙ্গানা অঞ্চল নিয়ে গঠিত এবং দক্ষিণ অংশ রায়ালসীমা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। রায়ালসীমা এবং তেলেঙ্গানা অঞ্চল কৃষ্ণা নদী দ্বারা বিভাজিত। তেলেঙ্গানা অঞ্চলকে একটি পৃথক রাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশের দ্বিখন্ডিত বিভাগ হিসাবে গঠন করে, তেলেঙ্গানা নামে নামকরণ করা হয়েছে।

জনসংখ্যা

অন্ধ্রপ্রদেশে ১৩টি জেলা রয়েছে এবং নিম্নলিখিত টেবিলে ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী তাদের নিজ নিজ জেলার জনসংখ্যা দেখানো হয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশের জনসংখ্যা হল ৪,৯৩,৮৬,৭৯৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ এবং মহিলার সংখ্যা হল যথাক্রমে ২,৪৭,৩৮,০৬৭ জন এবং ২,৪৬,৪৮,৭৩১ জন। এই রাজ্য মোট ১৬০,২০৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে গঠিত এবং জনসংখ্যার ঘনত্বে এখানে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৩৪৩ জন লোক বাস করে। ২০১১ সালের তথ্য অনুযায়ী অন্ধ্রপ্রদেশের মোট সাক্ষরতার হার ৬৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

অর্থনীতি এবং পরিকাঠামো

কৃষি, অন্ধ্রপ্রদেশের অর্থনীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ। মোট জনসংখ্যার প্রায় ৭০শতাংশ মানুষ কৃষিকাজে নিযুক্ত আছে এবং এই রাজ্যটি ভারতের একটি প্রধান ধান উৎপাদিত এলাকা। প্রধান ফসল হল ধান, ভুট্টা, জোয়ার, ডাল, রেড়ী, তামাক, তুলা, আখ, বাদাম এবং কলা। রাজ্যের প্রায় ২৩ শতাংশ এলাকা বন দ্বারা আবৃত, এবং গুরুত্বপূর্ণ বনজ দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে সেগুন, ইউক্যালিপ্টাস, কাজু, বাঁশ ও নরম কাঠ। এই রাজ্যের প্রধান শিল্পগুলি হল যন্ত্র সরঞ্জাম, কৃত্রিম ঔষধ, ওষুধপত্র, ভারী বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি, জাহাজ, সার, বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম, বিমানের অংশ, সিমেন্ট এবং সিমেন্টজাত দ্রব্য, রাসায়নিক, অ্যাসবেসটাস, কাঁচ এবং ঘড়ি ইত্যাদি।

পরিবহন

এই রাজ্যের বাস পরিষেবা, অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্য সড়ক পরিবহন নিগম দ্বারা পরিচালিত হয়, যা সমস্ত রাজ্যের মধ্যে হাজার হাজার বাস পরিচালনা করে। রাজ্যের যে সমস্ত জায়গায় বাস চলাচল করে সেখানে গ্রাম সহ বিভিন্ন অংশে এক বিশাল সড়ক সংযোগ ব্যবস্থা রয়েছে, যা রাজ্যের বিভিন্ন অংশের সাথে সংযোগের সুবিধা প্রদান করেছে। একটি বিরাট রেলপথ সংযোগ ব্যবস্থা রয়েছ, যা এক্সপ্রেস রেল এবং যাত্রীবাহী রেলের মাধ্যমে দেশের প্রায় প্রতিটি অংশের সাথে এই রাজ্যের সংযোগ প্রদান করেছে। এ রাজ্যে অন্তর্দেশীয় এবং সেইসঙ্গে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা রয়েছে। সরকার এই রাজ্যের সংযোগ আরও উন্নত করার জন্য আরো বিমানবন্দর তৈরির পরিকল্পনা করছে। এছাড়াও এই রাজ্যের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য কিছু দরকারি সমুদ্রবন্দর রয়েছে।

সমাজ, শিল্প এবং সংস্কৃতি

অন্ধ্রপ্রদেশের জনসংখ্যার প্রায় ৮৫ শতাংশেরও বেশি মানুষ তেলেগু ভাষায় কথা বলে। দক্ষিণ অঞ্চলের লোকেরা তামিল ভাষায় কথা বলে এবং কর্ণাটক সীমান্তবর্তী এলাকায় কিছু কানাড়ী বা কন্নড় ভাষী রয়েছে। হায়দরাবাদে প্রচুর সংখ্যক উর্দু ভাষী রয়েছে যারা মোট রাজ্যের জনসংখ্যার প্রায় ৭ শতাংশ।

হিন্দু উৎসব যেমন দশেরা, দীপাবলী, শ্রী রামনবমী, কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী, বিনায়ক চাভিথি(গণেশ চতুর্থী) এবং মহা শিবরাত্রি ইত্যাদি উৎসব এই রাজ্যে পালিত হয়। সমানভাবে মুসলিম উৎসব যেমন বকরি-ঈদ ও ঈদ-উল-ফিতর এবং খ্রীষ্টান উৎসব যেমন খ্রীষ্টমাস, ঈস্টার, নববর্ষ ইত্যাদিও আনন্দের সাথে পালিত হয়। কিন্তু এই রাজ্যের উগাড়ি (তেলেগু নববর্ষের দিন), সংক্রান্তি, দশেরা এবং বিনায়ক চাভিথি ইত্যাদি উৎসব পালন অসাধারণ।

ভাষা

অন্ধ্রপ্রদেশের সরকারি ভাষা হল তেলেগু যা আগে তেনুগু নামে পরিচিত ছিল। উর্দু হল অন্ধ্রপ্রদেশের দ্বিতীয় কথ্য ভাষা, যে ভাষায় বহু লোক কথা বলে অর্থাৎ এটি এখানকার সহ সরকারি ভাষা। এই রাজ্যের অন্য কয়েকটি প্রধান ভাষা হল ইংরাজী, হিন্দি এবং বানজারা। তেলেগু বিশ্বে ১৫-তম প্রচলিত কথ্য ভাষা হিসাবে স্থান পেয়েছে এবং ভারতবর্ষের মধ্যে হিন্দির পর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। এখানে সংস্কৃত ভাষারও প্রচলন রয়েছে এবং এটিকে শাস্ত্রীয় ভাষা হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। এই রাজ্যের কিছু অংশে তামিল, ওড়িয়া এবং কন্নড় ভাষারও প্রচলন আছে।

অন্ধ্রপ্রদেশের পর্যটন

অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্য ঐতিহাসিক মিনার এবং প্রচুর পবিত্র মন্দির দ্বারা সমৃদ্ধ। চিত্তুর জেলার তিরুপতি মন্দির হল ভারতের বিখ্যাত মন্দিরগুলির মধ্যে অন্যতম। এখানে ভেঙ্কটেশ্বর রক্ষাকরী দেবতা হিসাবে পরিচিত। এখানকার পাহাড়ের শীর্ষে অবস্থিত প্রধান মন্দির হল তিরুমালা, যা দক্ষিণ ভারতের স্থাপত্যের এক উজ্জ্বল নিদর্শন। এই রাজ্যের রাজধানী হায়দরাবাদ হল এখানকার প্রধান আকর্ষণীয় পর্যটনস্থল। বাস্তবে এই রাজধানী, হায়দরাবাদ এবং সেকেন্দ্রাবাদ দুই যমজ শহর, যা হুসেন সাগর লেক দ্বারা যুক্ত। এখানকার আকর্ষণীয় জায়গাগুলি হল – ১৫৯১ খ্রীষ্টাব্দে নির্মিত চারমিনার, ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রাজ্য যাদুঘর এবং আর্ট গ্যালারি, স্বাস্থ্য যাদুঘর, পাবলিক গার্ডেন, বিড়লা মন্দির এবং মক্কা মসজিদ।

সরকার এবং রাষ্ট্রনীতি

অন্ধ্রপ্রদেশে ১৭৫টি বিধান সভা আসন এবং বিধানসভা পরিষদে ৭৫ জন সদস্য রয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে রাজ্যসভায় ১১জন এবং লোকসভায় ২৫জন সদস্য রয়েছে। বর্তমানে অন্ধ্রপ্রদেশে ১৩টি জেলা রয়েছে। এখনও পর্যন্ত অন্ধ্রপ্রদেশে বিভিন্ন সরকার দ্বারা রাজ্য শাসিত হয়েছে। ১৯৮২ সাল পর্যন্ত এই রাজ্য ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস দ্বারা শাসিত হত। রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী হলেন এন.চন্দ্রবাবু.নাইডু। নাইডু ১৯৯৫ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত এই রাজ্যের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদী মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে কাজ করার জন্য খ্যাতি অর্জন করেছেন। নীলম সঞ্জিবা রেড্ডি হলেন এই রাজ্যের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী, এছাড়াও ইনি ভারতের রাষ্ট্রপতি ছিলেন। এখানে অনেক রাজনৈতিক দল রয়েছে যেমন তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি (টি.আর.এস), তেলেগু দেশম পার্টি (টি.ডি.পি), এবং ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস (আই.এন.সি) ইত্যাদি, কিন্তু বর্তমানে তেলেগু দেশম পার্টি (টি.ডি.পি) এই রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে।

শিক্ষা

২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী অন্ধ্রপ্রদেশের সাক্ষরতার হার ৬৭.৪ শতাংশ। এই রাজ্যের মধ্যে অনেক সরকারি এবং বেসরকারি বিদ্যালয় রয়েছে। রাজ্যের বিদ্যালয়গুলি হয় কেন্দ্রীয় মধ্য শিক্ষা পর্ষদ (সি.বি.এস.ই) অথবা (আই.সি.এস.ই) বা রাজ্য পর্ষদ দ্বারা অধিভুক্ত। অন্ধ্রপ্রদেশে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষণা কেন্দ্র সহ প্রচুর উন্নত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলিতে সাহিত্য, ইঞ্জিনিয়ারিং, আইন, ব্যবসা ইত্যাদি বিষয়ে পেশাগত শিক্ষা প্রদান করা হয়। এই রাজ্যে, সরকার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত- জাতীয় পরমাণু গবেষণা সংস্থা এবং পরিকল্পনা ও স্থাপত্য বিষয়ক বিদ্যালয়ের মতো প্রধান গবেষণা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

সর্বশেষ সংযোজন : ০৫ই জানুয়ারী , ২০১৫