
পাঞ্জাবের উপর তথ্যাবলী |
|
---|---|
আধিকারিক ওয়েবসাইট | www.punjabgovt.gov.in |
স্থাপনের তারিখ | 1 নভেম্বর, 1966 |
আয়তন | 50,362 বর্গ কিলোমিটার |
ঘনত্ব | 550/ বর্গ কিলোমিটার |
জনসংখ্যা(2011) | 27,743,338 |
পুরুষ জনসংখ্যা(2011) | 14,639,465 |
মহিলা জনসংখ্যা(2011) | 13,103,873 |
শহুর কেন্দ্রিক জনসংখ্যার অনুপাত (2011) | 37.49% |
জেলার সংখ্যা | 22 |
রাজধানী | চন্ডীগড় |
নদীসমূহ | রবি, বিপাশা, শতদ্রু, গোবিন্দ সাগর |
অরণ্য ও জাতীয় উদ্যান | বীর মোতিবাগ বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, হরিকে বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, বীর দোশাঁঝ বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য |
ভাষা | পাঞ্জাবি, হিন্দি, উর্দূ, গুরমুখী এবং ইংরাজী |
প্রতিবেশী রাজ্য | জম্মু ও কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ, হরিয়ানা, রাজস্থান |
রাষ্ট্রীয় পশু | কালো হরিণ |
রাষ্ট্রীয় পাখি | উত্তরি গোশাওয়াক |
রাষ্ট্রীয় বৃক্ষ | শিশু গাছ |
রাজ্যের অভ্যন্তরীণ মূল উৎপাদন (2011) | 69737 |
সাক্ষরতার হার (2011) | 82.20% |
প্রতি 1000 জন পুরুষে মহিলার সংখ্যা | 893 |
বিধানসভা নির্বাচনক্ষেত্র | 119 |
সংসদীয় নির্বাচনক্ষেত্র | 13 |
দেশের উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত ভারতের অন্তর্বতী একটি সুপরিচিত রাজ্য হল পাঞ্জাব। এই রাজ্যটি “পঞ্চ নদের দেশ” হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। পাঁচটি নদী হল শতদ্রু, রবি, বিপাশা, চন্দ্রভাগা এবং ঝিলাম। পাঞ্জাব রাজ্যটি ভারত এবং প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের মধ্যে এক সুস্পষ্ট বিভেদসীমা হিসাবে কাজ করে। রাজ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশের প্রধান শহরগুলি হল লুধিয়ানা, অমৃতসর, জলন্ধর, নওয়ানশহর, ভাতিন্ডা এবং আনন্দপুর সাহেব। উপরিউক্ত শহরগুলি ছাড়াও পাঞ্জাব রাজ্যে অবস্থিত অন্যান্য শহরগুলি হল কাপুরথালা, তরণ তারণ সাহেব এবং পাতিয়ালা। যথেচ্ছ জলজ উৎস এবং উর্বর মৃত্তিকার উপস্থিতির দরুণ এই রাজ্যটি প্রাথমিকভাবে কৃষি ভিত্তিক।
এই রাজ্যটি উত্তরে ভারতীয় রাজ্য জম্মু ও কাশ্মীর, পূর্বদিকে হিমাচল প্রদেশ ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল চন্ডীগড়, দক্ষিণে হরিয়ানা ও রাজস্থান এবং পশ্চিমমিকে পাকিস্তান দ্বারা বেষ্টিত। চন্ডীগড় শহরটি হল পাঞ্জাব ও হরিয়ানার যৌথ প্রশাসনিক রাজধানী।
ঐতিহাসিক পটভূমির বিচারে বলা যেতে পারে যে, এই রাজ্যেই সিন্ধু সভ্যতা প্রাথমিকভাবে গড়ে উঠেছিল। ঐতিহাসিক সময়ের প্রত্নতাত্ত্বিক ধ্বংসাবশেষ থেকে একটি বিষয়ের উপর আলোকপাত করা হয়েছে যে এই রাজ্যের শহরগুলি হরপ্পা ও মহেঞ্জোদারো-র প্রধান অংশ ছিল, যা বর্তমানে পাকিস্তানের অন্তর্গত। মহাভারতেও এই রাজ্যের ভূমি ও এখানকার লোকেদের সর্ম্পকে সমৃদ্ধ তথ্য পাওয়া গেছে। এই রাজ্যের অবস্থান এমনই যে এই রাজ্যটিকে অনবরত আক্রমণ ও চাপের সম্মুখীন হতে হয়েছে। পাঞ্জাব রাজ্যটিকে পূর্ব ও পশ্চিম অঞ্চল থেকে আসা উভয় দিকের আক্রমণের চাপ সহ্য করতে হয়েছে। বিভিন্ন সম্প্রদায় যেমন আফগানি, ফরাসি, সিথিয়ান, গ্রীক ও তুর্কীদের দ্বারা এই রাজ্য নিয়মিতভাবে আক্রান্ত হয়েছিল, যার ফল হয়েছিল তিক্ত রক্তপাত। এখানকার সংস্কৃতিতে বৌদ্ধ, ব্রিটীশ, শিখ, হিন্দু, আফগান ও ইসলাম সহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সম্মিলিত প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। ভারত বিভাজনের সময় পাঞ্জাব সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এইসময় ভারতের উত্তর অংশের এই রাজ্যটিকেই সবচেয়ে বেশি ধ্বংস ও ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছিল।
ভৌগোলিকগত দিক দিয়ে বলা যেতে পারে, প্রায় ৫০,৩৬২ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে অবস্থিত পাঞ্জাব রাজ্যটি ভারতের উত্তর-পশ্চিম অংশে অবস্থিত। রাজ্যের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশের প্রসারণ যথাক্রমে ২৯.৩০ ডিগ্রী উত্তর থেকে ৩২.৩২ ডিগ্রী উত্তর এবং ৭৩.৫৫ ডিগ্রী পূর্ব থেকে ৭৬.৫০ ডিগ্রী পূর্ব পর্যন্ত। রাজ্যের প্রধান অংশটি একটি পাললিক এবং উর্বর সমভূমি অঞ্চলে অবস্থিত। এখানকার প্রধান বিষয়টি হল, এখানে অবস্থিত অনেক নদী এবং প্রসারিত সেচ খালের ব্যবস্থা রয়েছে যা কৃষি ক্ষেত্রে খুব ভালো সংকেত প্রদান করে। যাইহোক তবে, এটি বর্ণনা করা প্রয়োজন যে রাজ্যের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশ অর্ধ শুষ্ক এবং অবশেষে এটি থর মরুভূমিতে গিয়ে মিশেছে। এটি আপনি পরিষ্কার দেখতে পাবেন যে শিবালিক পর্বত, এই রাজ্যের উত্তর-পূর্ব অংশে এসে মিলিত হয়েছে যা, হিমালয় পর্বতমালা-র পাদদেশ পর্যন্ত প্রসারিত।
পাঞ্জাব সরকার হল রাজ্যের শাসক কর্তৃপক্ষ। ভারতের অন্যান্য রাজ্যগুলির ন্যায়, পাঞ্জাব সরকারেরও নির্বাহী, বিচার বিভাগীয় এবং আইন সহ তিনটি শাখা রয়েছে। পাঞ্জাব, সরকারের সংসদীয় প্রথা অনুসরণ করে চলে এবং রাজ্যের প্রধান ব্যাক্তি হিসাবে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের বিধানসভা পরিষদে ১১৭ জন সদস্য রয়েছেন যারা পাঁচ বছরের মেয়াদে নির্বাচিত হন। পাঞ্জাব থেকে ১৩ জন সদস্য লোকসভায় ও সাতজন সদস্য রাজ্য সভায় পাঠানো হয়।
শিক্ষা ব্যবস্থায় নেতৃস্থানীয় কয়েকটি রাজ্যগুলির মধ্যে পাঞ্জাব একটি রাজ্য যেটি উচ্চ শিক্ষার জন্য স্বীকৃতি অর্জন করেছে। সাম্প্রতিক সমীক্ষা থেকে, একটি বিষয়ের উপরে আলোকপাত করা হয়েছে যে পাঞ্জাব, প্রাথমিকভাবে নিরক্ষরতা দূরীকরণের প্রচেষ্টায় নির্মিত জাতীয় অভিযান-‘সর্ব শিক্ষা অভিযান’-এ সক্রিয় প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। এটি সত্যিই এক উৎসাহজনক ব্যাপার যে, ভারত সরকারের একটানা প্রচেষ্টার কারণে এখানে বর্তমান শিক্ষার হার প্রায় ৭৭ শতাংশ-এ উন্নীত হয়েছে। এই সম্পর্কে কোনও দ্বিমত নেই যে, ভারত সরকার ও রাজ্য সরকার উভয়ের পক্ষ থেকে করা অক্লান্ত ও ক্রমাগত প্রচেষ্টায় এখানকার প্রচুর মানুষকে উন্নত মানের শিক্ষা প্রদান করা সম্ভব হয়েছে। এখানকার শিক্ষা ব্যবস্থা শ্রেণীবদ্ধ রূপে পরিচালিত হয়। শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রাথমিকরূপে তিনটি স্তর বিদ্যমান যেমন প্রাথমিক শিক্ষা, মধ্য শিক্ষা ও উচ্চ শিক্ষা।
পাঞ্জাব রাজ্য বনজ, পর্যটন, কৃষি, শিল্প ও খনিজের উপস্থিতির কারণে, সকলের মধ্যে সম্মানীয় স্বীকৃতি অর্জন করেছে। এছাড়াও রাজ্যের অন্য আরোও একটি বৈশিষ্ট্য হল পশুপালন। তবে, পাঞ্জাব রাজ্যে মৌলিক খনিজ পদার্থ ও জ্বালানীর বেশ ঘাটতি রয়েছে যা এখানকার শিল্পায়নের উন্নতির পিছনে সবচেয়ে বড় বাধা। রাজ্যের অর্থনীতিতে কৃষি সর্বদাই একটি শক্তিশালী কেন্দ্র হয়ে রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে গম উৎপাদক হিসাবে দেশের সার্বিক অর্থনীতিতে এই রাজ্য একটি বিশাল প্রভাব তৈরি করেছে। কিছু কৃষি ভিত্তিক শিল্পকে আপনি সর্বদাই এই রাজ্যের সাথে সংযুক্ত করতে পারেন যেমন কাগজ, কাঠ, পানীয় এবং খাদ্য দ্রব্য।
রাজ্যের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৬০ শতাংশেরও বেশি শিখ সম্প্রদায় দ্বারা অধিষ্ঠিত। রাজ্যের প্রধান অংশে অবস্থিত অন্যান্য আরোও কিছু সম্প্রদায় হল হিন্দু, জৈন, মুসলিম, খ্রীষ্টান ও অন্যান্য আরোও কিছু সম্প্রদায়। রাজ্যের শিখ সম্প্রদায়ের এক অভিন্ন অংশ হল জাট শিখ। ২০১১ সালে, এই রাজ্যের জনসংখ্যা ছিল ২,৭৭,৪৩,৩৩৮ জন। রাজ্যের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২০ শতাংশ অধিবাসী, ভারতের অন্যান্য অঞ্চল থেকে এসে এখানে বসবাস করছে। এখানকার পুরুষ ও মহিলার অনুপাত অনবরত নিম্মগামী। একটি সমীক্ষা থেকে জানা গেছে যে শেষ ২০ বছরে এখানে পুরুষ ও মহিলার অনুপাতের হার সবচেয়ে বেশি নেমে গেছে।
পাঞ্জাব রাজ্যের সংস্কৃতিতে বৈচিত্র্য রয়েছে। এই রাজ্যের সংস্কৃতি প্রাচীন সভ্যতাগুলির বহুমাত্রিক ঐতিহ্যের প্রকৃত প্রতিফলন বহন করে। রাজ্যে আগত সমস্ত পর্যটকেরা এই রাজ্যের প্রতিফলিত উৎসবগুলির অনন্য আকর্ষণে মুখরিত হয়ে পড়ে। এখানকার মুখ্য কিছু উপাদান যথা জনপ্রিয় নৃত্য শৈলী, হাস্য-রসিক লোককথা ও রঙীন পোশাক, রাজ্যের উৎসবগুলির অবিচ্ছেদ্য অংশ রূপে প্রমাণিত। এই উৎসবগুলিতে তাদের নিজস্ব কিছু অনন্য সাধারন প্রতিভা এবং বিভিন্ন ধরনের বিনোদনমূলক কার্যক্রমের বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায় যেমন বৈশাখী, ভাঙড়া এবং গিড্ডা। পাঞ্জাব রাজ্যের সাথে সংযুক্ত অধিকাংশ উৎসবই অপরিমেয় শক্তির একটি প্রকৃত প্রতিফলন। এখানকার উৎসব এবং সংস্কৃতি, এই সুন্দর রাজ্যটিতে পরিদর্শন করতে আসা প্রত্যেকটি পর্যটকদেরকে আহ্লাদিত করে। রাজ্যের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত কিছু সমসাময়িক আনন্দ পাঞ্জাবকে, এখানে ঘুরতে আসা পর্যটকদের কাছে স্বর্গ হিসাবে গড়ে তুলেছে।
এই তথ্যটিকে অগ্রাহ্য করলে চলবে না যে, পর্যটনের দিক দিয়ে পাঞ্জাব খুব একটা পিছনে নেই। ঘটনা হল যে, ভারতের এই রাজ্যটির ইতিহাস, রন্ধনপ্রণালী ও সংস্কৃতির সমৃ্দ্ধতার কারণেই পর্যটকেরা এই রাজ্যে ঘুরতে আসার জন্য এত উৎসাহ প্রকাশ করে। এখানে বেশ কিছু শহর রয়েছে যেগুলি চমৎকার পর্যটক পরিবহনের অভিজ্ঞতা প্রদান করে যেমন পাতিয়ালা, জলন্ধর, অমৃতসর এবং লুধিয়ানা। রাজ্যের বিভিন্ন শহরের মধ্যে সার্বজনীন উন্নত পরিবহন ব্যবস্থা এখানকার পর্যটকদের সংখ্যা বৃদ্ধির পিছনে অন্য আরোও একটি কারণ। পর্যটকেরা এখানে এসে বিভিন্ন প্রকার রোমাঞ্চ অনুভব করতে পারে, এর মধ্যে রয়েছে এখানকার ইতিহাস, আধ্যাত্মিকতা, সংস্কৃতি এবং এক প্রাচীন সভ্যতা। অন্যান্য আরোও কিছু আকর্ষণ যেমন ধর্মস্হল, মন্দির, ঐতিহাসিক যুদ্ধ ক্ষেত্র এবং শিখ স্থাপত্যের সম্মোহিত উদাহরণ ইত্যাদি পর্যটকদের আনন্দিত করে।
পাঞ্জাবি ভাষার উৎপত্তি, প্রাচীন সংস্কৃত ভাষা থেকে হয়েছিল। এটির সেইসব ইন্দো-আর্য ভাষাগুলির সঙ্গে মিল রয়েছে যেগুলির উৎপত্তিও ছিল সংস্কৃত ভাষা। এখানে আরোও কিছু উপভাষা রয়েছে যেগুলি পাঞ্জাবি ভাষার সাথে সংযুক্ত রয়েছে। যদিও, এই উপভাষাগুলি একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত একে অপরের সাথে যুক্ত। প্রতিটি বক্তা সহজেই অন্যান্য উপভাষাগুলি উপলব্ধি করতে পারেন। পাঞ্জাবে প্রচলিত প্রধান কিছু উপভাষা হল মাঝি, পওয়াধি, মালওয়ি এবং দোয়াবি। রাজ্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপভাষা হল মাঝি। প্রায় ৯৩ শতাংশেরও বেশি ব্যক্তি রয়েছেন যারা তাদের প্রথম ভাষা হিসাবে পাঞ্জাবি ভাষায় কথা বলেন এবং তারা বেশিরভাগই পাকিস্তান ও ভারতের অধিবাসী। এই সম্পর্কে কোনও দ্বিমত নেই যে, এই ভাষা পাকিস্তানেও স্থানীয় ভাষা হিসাবে ব্যাপকভাবে প্রচলিত। পশ্চিমী পাঞ্জাবি উপভাষাগুলির মধ্যে রয়েছে রিয়াস্তি, শাহ পুরি, পাহাড়ী, পোথোহারি, মূলতানি এবং দেরাওয়ালি।
এখানকার বিভিন্ন পরিবহন মাধ্যম যেমন সাইকেল-রিক্সা, বাস, ট্যাক্সি এবং অটো-রিক্সা প্রকৃতপক্ষে রাজ্যের মানুষদের জন্য অপরিমেয় সাহায্যকারী হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াতের জন্য এই পরিষেবাগুলি পর্যটকদেরও যথেষ্ট সুবিধা প্রদান করে। এখানকার অধিকাংশ ব্যক্তির যাতায়াতের জন্য পরিবহনের প্রধান অবলম্বন হল রেলপথ ও সড়কপথ। আপনি এই রাজ্যের কোনও একটি নির্দিষ্ট শহর থেকে অন্যান্য জায়গায় ভ্রমণ করতে চাইলে, রেলের চেয়ে অন্য কোনও ভাল বিকল্প হতে পারে না। রাজ্যের প্রায় প্রধান ছোট-বড় প্রতিটি শহরই রেলপথ দ্বারা সুসংযুক্ত রয়েছে। অমৃতসরে একটি আন্তর্জাতিক বিমানন্দর এবং কিছু অন্তর্দেশীয় বিমানন্দরও রয়েছে যা এই রাজ্যটিকে, অন্যান্য শহরগুলির সাথে সংযু্ক্ত করেছে।
|