সায়্যন্স সিটি কলকাতা
পূর্বের প্রবেশদ্বার পশ্চিমবঙ্গ, তার সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধি, পাণ্ডিত্যপূর্ণ শ্রেষ্ঠত্ব ও পর্যটন সম্ভাবনার জন্য সুপরিচিত। সাধারণ জনগণের মধ্যে বিজ্ঞান চেতনা গড়ে তোলার জন্য, রাজ্যের রাজধানী কলকাতায় এক বিজ্ঞান নগরী গড়ে উঠেছে।
ইস্টার্ন মেট্রোপলিটান বাইপাস ও পার্ক সার্কাসের সংযোগস্হলে বিশাল জায়গা জুড়ে সায়্যন্স সিটি বিস্তৃত রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের দীর্ঘদিনের একটি দুঃখজনক যন্ত্রণার কাহিনী আছে। তবে স্বাধীনতার পরে এই রাজ্য দীর্ঘ পথ এগিয়ে এসেছে। রাজধানী কলকাতায় বর্তমানে উন্নত মানের পরিকাঠামো রয়েছে এবং রাজ্যের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য সম্পূর্ণরূপে এটি ব্যবহৃত হয়।
একদা কলকাতা বহু বৈজ্ঞানিক প্রতিভাবানদের বাসস্হান ছিল যেমন – সত্যেন বোস, হোমি.জে ভাবা এবং মেঘনাথ সাহা। তাঁদের শ্রদ্ধা জানাতেই এই সায়্যন্স সিটি নির্মিত হয়েছে। এই বিশাল বিজ্ঞান প্রদর্শনশালার একমাত্র উদ্দেশ্য – মানুষের মনের মধ্যে বৈজ্ঞানিক সচেতনতা গড়ে তোলা এবং সহজ ও আকর্ষণীয় পদ্ধতিতে শিশুদের মনেও বিশ্বের ক্রিয়াকাণ্ড সম্পর্কে একটি ধারনা গড়ে তোলা।
এই প্রদর্শনশালা সুন্দর বাগান এবং রঙ বাহারি ঋতুকালীন ফুলের সৌন্দর্যের আলোয় প্রদীপ্ত। এই প্রদর্শনশালা বিভিন্ন জটিল বৈজ্ঞানিক ঘটনা যথা – মহাসাগর তরঙ্গ, টর্নেডো, শক্তি বল এবং দ্রুত বালি প্রভৃতি সহজে ব্যাখ্যা করার খ্যাতি অর্জন করেছে। জলজ দুনিয়া ও পতঙ্গ দুনিয়ার অলৌকিক বিভ্রম দর্শকদের আকৃষ্ট করে। সময় মেশিন-এ যাত্রা দর্শকদের মহাশূন্যে নিয়ে যায়। স্টিভেন স্পিলবার্গের কাল্পনিক জুরাসিক পার্ককে শ্রদ্ধা জানিয়ে ডাইনোসোর গ্যালারিতে দুর্দান্ত টাইরানোসৌরাস রেক্স-এর ন্যায় প্রতিকৃতি সুসজ্জিত রয়েছে।
সামগ্রিক ভাবে, বৈচিত্রপূর্ণ বৈজ্ঞানিক বিষয়াবলী দর্শক, ছাত্র এবং বিজ্ঞানমনস্ক ব্যক্তিদের মগ্ন করে দেয়। সায়্যন্স সিটি সকাল ৯-টা থেকে রাত ৯-টা অবধি খোলা থাকে, পর্যটকগণ বিজ্ঞান অন্বেষণের মাধ্যমে একটি ফলপ্রসূ দিন কাটাতে পারেন।
* সর্বশেষ সংযোজন : ২০- শে মার্চ, ২০১৫