পশ্চিম বঙ্গ
ভারতের বিভিন্ন মানচিত্র

পশ্চিমবঙ্গ মিডিয়া

Media of West Bengal in Bengali

পশ্চিমবঙ্গ মিডিয়া

আধুনিক বিশ্বে সংবাদপত্র হল তথ্য সঞ্চারিত করার সবচেয়ে সহজ এবং সাধারণ পন্থা। পশ্চিমবঙ্গে পাঁচশত সংবাদপত্র প্রত্যহ প্রকাশিত হয়, যার মধ্যে তিনশত বাংলায় প্রকাশিত হয়।রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন সম্প্রচার হল দূরদর্শন এবং সার্বজনীন রেডিও স্টেশন হল সর্বভারতীয় রেডিও। বেসরকারি এফএম স্টেশন শুধুমাত্র আসানসোল, কলকাতা ও শিলিগুড়িতে উপলব্ধ।

পশ্চিমবঙ্গের সংবাদপত্রগুলি সাধারণত রাজ্য, দেশ ও বিদেশের সাম্প্রতিক সংবাদ প্রকাশ করে। রাজনৈতিক, সামাজিক, অপরাধমূলক, সাংস্কৃতিক, ব্যবসায়িক এবং ক্রীড়াসূচি সম্পর্কিত খবর পত্রিকাগুলিতে প্রকাশিত হয়। এছাড়াও প্রকাশিত হয় সম্পাদকীয়, ব্যাঙ্গচিত্র যেখানে সমসাময়িক বিষয়গুলি হাস্যরসাত্মক ভাবে প্রকাশিত হয় এবং প্রখ্যাত পণ্ডিত মানুষদের নিবন্ধ।
পশ্চিমবঙ্গের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বাংলা সংবাদপত্রগুলি হল –

  • আজকাল
  • অবসর
  • আনন্দবাজার পত্রিকা
  • বর্তমান
  • দৈনিক যুগসংখ্যা
  • দৈনিক সুপ্রভাত
  • গণশক্তি

গণশক্তি একটি বাংলা সংবাদ পত্রিকা, যা ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির পশ্চিমবঙ্গীয় কক্ষের প্রধান আধিকারিক মুখপাত্র। গণশক্তি পত্রিকাটির প্রথম সংস্করণ এক পাক্ষিক সংবাদপত্র হিসেবে ১৯৬৭ সালে প্রকাশিত হয়। একটি সম্পূর্ণ পূর্ণবর্ধিত দৈনিক সংবাদপত্রে রূপান্তরিত হওয়ার আগে, এটি একটি দৈনিক সান্ধ্য হিসাবে প্রকাশিত হত। গণশক্তি পত্রিকার একটি অনলাইন সংস্করণ আছে এবং এই পত্রিকার ইংরেজি সংস্করণ সাপ্তাহিক সংবাদপত্র হিসাবে প্রকাশিত হয়। পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী শহর কলকাতা এবং অন্যান্য জেলায় এই সংবাদপত্রের ভাল প্রচলন আছে।

সক্রিয় মুক্তিযোদ্ধা ও সি.পি.আই.(এম) – এর রাজ্য সম্পাদক সরোজ মুখার্জী, ১৯৮০ সালে তার চিন্তাধারার দ্বারা এই সংবাদপত্রকে প্রভাবিত করেন এবং গণশক্তিকে সমাজতন্ত্রের কন্ঠ হিসাবে রূপান্তরিত করেন। মুখার্জীর মৃত্যুর পর, অনিল বিশ্বাস এই দায়িত্ব গ্রহণ করেন। অনিল বিশ্বাস ছিলেন এই সংবাদপত্রের সম্পাদক।

ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির পশ্চিমবঙ্গ কক্ষের রাজনৈতিক চিন্তা, কার্যক্রম এবং সাফল্য গণশক্তি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। যদিও গণশক্তি, পশ্চিমবঙ্গ কমিউনিস্ট পার্টির একটি সরকারী মুখপত্র তথাপি সমাজ, ভ্রমণ, সাহিত্য, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং সমস্ত ধরণের সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। সব সংবাদপত্রগুলির মধ্যে, এই সংবাদপত্র সবার শীর্ষে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত নিবন্ধ প্রকাশ করে বলে দাবি রাখে।

বহু লেখক ও রাজনৈতিক চিন্তাবিদরা গণশক্তি পত্রিকার মাধ্যমে তাদের মতামত প্রকাশ করে থাকে। গনশক্তির একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য হলো – এটা কলকাতা এমনকি শহরতলির পথপার্শ্বে কাঠ বোর্ডে দৈনন্দিন প্রদর্শন করা হয়। এটি তাদের কাছে যাদের সংবাদপত্র কেনার সামর্থ্য নেই, জ্ঞান সঞ্চারণের একটি আকর্ষণীয় উপায়।

  • জাগো বাংলা
  • যুগান্তর
  • কর্মক্ষেত্র
  • প্রথম আলো
  • সংবাদ প্রতিদিন
  • উত্তর বঙ্গ সংবাদ



পশ্চিমবঙ্গের কিছু মুখ্য ইংরেজি ভাষার সংবাদপত্র হল –

  • এশিয়ান এজ
  • বেঙ্গল পোস্ট
  • ক্যালকাটা পোস্ট
  • দার্জিলিং টাইমস
  • হিন্দুস্থান টাইমস
  • কলকাতা মিরর
  • দ্য হিন্দু
  • দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
  • দ্য স্টেটসম্যান



ভারতের প্রাচীনতম ইংরেজি সংবাদপত্র দ্য স্টেটসম্যান, কলকাতায় ১৮৭৫ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। আজ পর্যন্ত এটি পশ্চিমবঙ্গের এক অন্যতম নেতৃস্থানীয় সংবাদপত্র। কলকাতার পাশাপাশি ভুবনেশ্বর, নিউ দিল্লী ও শিলিগুড়ি থেকেও দ্য স্টেটসম্যান প্রকাশিত হয়। এটা দুটি সংবাদপত্রের সহযোগিতায় অবতীর্ণ হয়েছে, দ্য ইংলিশ ম্যান এবং দ্য ফ্রেন্ডস অফ ইন্ডিয়া।

দ্য ইংলিশ ম্যান এবং দ্য ফ্রেন্ডস অফ ইন্ডিয়া উভয়ই কলকাতা থেকে প্রকাশিত হত। দ্য ইংলিশ ম্যান ১৮১১ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। দ্য স্টেটসম্যান, কলকাতা শুরু হয় দ্য স্টেটসম্যান এবং নিউ ফ্রেন্ড অফ ইন্ডিয়া নাম থেকে। খুব শীঘ্রই এর প্রকৃত নাম সংক্ষিপ্ত করা হয় এবং এই সংবাদপত্র দ্য স্টেটসম্যান হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠে। স্বাধীনতার পর এই সংবাদপত্রের কর্তৃত্ব ভারতীয়দের স্থানান্তরিত করা হয়।

কলকাতায় চৌরঙ্গী স্কোয়ারের দ্য স্টেটসম্যান হাউস, এই পত্রিকার প্রধান কার্যালয় হিসাবে ভূমিকা পালন করে। যদিও, নিউ দিল্লীর কনট প্লেস- এর স্টেটসম্যান গৃহ হল জাতীয় সম্পাদকীয় কার্যালয়। এটি এশিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক- এরও সদস্য।

দ্য স্টেটসম্যান দৈনন্দিন আঞ্চলিক, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদ প্রকাশ করে। এটি বিশ্ব ব্যাপী ক্রীড়াসূচীরও ব্যাপক বিবরণ দেয়। দ্য স্টেটসম্যান-এর কলকাতা সংস্করণের পাশাপাশি কিছু সম্পূরকও প্রকাশিত হয়। এদের মধ্যে সবচেয়ে উল্লিখিত হল ভয়েসেস্। সৃষ্টির পর থেকেই এটি বিদ্যালয় যাত্রীদের কাছে খুবই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। কলকাতার দ্য স্টেটসম্যান এর অন্য এক জনপ্রিয় সম্পূরক হল দ্য এইটথ্ ডে। এটি প্রত্যেক রবিবারীয় পত্রিকার প্রধান পাতার সাথে থাকে যাতে আপনি বিভিন্ন বিষয়ে নিবন্ধ পাঠ করার সুযোগ পান।

দ্য স্টেটসম্যান এর একটি বৈকাল সংস্করণও উপলব্ধ আছে।

দ্য টেলিগ্রাফ

দ্য টেলিগ্রাফ কলকাতার এক অন্যতম নেতৃস্থানীয় সংবাদপত্র। এটি আনন্দ বাজার পত্রিকা লিমিটেডের মালিকানাধীন। এটি আনন্দ প্রকাশনারই একটি উদ্যোগ। এটি ১৯৮২ সালের ৭ই জুলাই থেকে সংবাদ প্রকাশ করে আসছে। বর্তমানে টেলিগ্রাফ কলকাতা, ভারতের পূর্বাঞ্চলের বৃহত্তম প্রচারিত ইংরেজি সংবাদপত্র।

কলকাতা কেন্দ্র ছাড়াও দ্য টেলিগ্রাফ অন্যান্য অনেক জায়গা থেকেও প্রকাশিত হয়। উত্তর পূর্বের পাঠকদের কাছে পরিবেশনের জন্য গুয়াহাটি থেকেও এই পত্রিকা প্রকাশিত হয়। দ্য টেলিগ্রাফ এর শিলিগুড়ি সংস্করণ নর্থ বেঙ্গল এবং সিকিমের পাঠকদের জন্য প্রকাশিত করা হয়। রাঁচি ও জামশেদপুর হল অন্য দুটি শহর যেখানে এই সংবাদপত্র দৈনিক প্রকাশিত হয়।


কলকাতার দ্য টেলিগ্রাফ, জাতীয়, আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংবাদ প্রকাশ করে। এসবের পাশাপাশি এই পত্রিকা বিশ্বের এক বিস্ময়কর ক্রীড়াসূচক বিবরণী প্রদান করে। পড়ার বিভিন্ন উপকরন বৃদ্ধির জন্য এবং প্রত্যেক সম্ভাব্য ক্ষেত্রে গ্রাহকদের তথ্য প্রদান করার জন্য এটি বহু দৈনিক সম্পূরকও প্রকাশ করে থাকে।


মুখ্য সংবাদপত্রের সাথে আপনি প্রতি সোমবার ‘নো হাউ’ বলে একটি অনুলিপি পাবেন। এটি বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি সংক্রান্ত আকর্ষণীয় তথ্য প্রদান করার একটি সংক্ষিপ্ত ট্যাবলয়েড। ‘টেলিগ্রাফ জবস্’ প্রতি মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়। এখানে আপনি শূন্য পদ পরিস্থিতির তথ্য পাবেন এবং সমসাময়িক কর্মখালি সংক্রান্ত অন্যান্য দরকারী পরামর্শও পাবেন। শিশুদের জন্য বিশেষ আনন্দময় ট্যাবলয়েড, “টেলি কিডস্’’ প্রতি বুধবার মুখ্য সংস্করণের সাথে থাকে। অন্যান্য সম্পূরক গুলি হল ক্যারিয়ার গ্রাফ, উইকেন্ড এবং গ্রাফিটি।

স্বাধীনতার পর দ্য টেলিগ্রাফ কে ভারতের দ্রুততম ক্রমবর্ধমান দৈনন্দিন বলে মনে করা হয়। মানুষের কাছে আরও বেশী করে পৌঁছনোর জন্য দ্য টেলিগ্রাফ-এর একটি ইন্টারনেট সংস্করণও উপলব্ধ আছে।

দ্য টাইমস্ অফ ইন্ডিয়া

কলকাতা থেকে প্রকাশিত ‘দ্য টাইমস্ অফ ইন্ডিয়া’ ইংরেজি ভাষার সংবাদপত্র গুলির মধ্যে এক অন্যতম নেতৃস্থানীয় পত্রিকা।কলকাতার ছাড়াও এটি দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলিতেও প্রকাশিত হয়। এটিকে ভারতের বহুল প্রচারিত ইংরেজি দৈনিক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। দ্য টাইমস্ অফ ইন্ডিয়া ১৮৩৮ সালের ৩রা নভেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয়। এই সংবাদপত্র প্রথমে দ্য বোম্বে টাইমস্ এবং জার্নাল অফ কমার্স এই শিরোনামের অধীনে প্রকাশ হয়।

এই দৈনিক সংবাদের বর্তমান নাম ১৮৬১ সাল থেকে অস্তিত্বের মধ্যে আসে। টাইমস্ অফ ইন্ডিয়া- বেনেট, কোলম্যান এন্ড কোং লিমিটেড নামক মিডিয়া গ্রুপ দ্বারা প্রকাশিত হয়। এর অন্তর্ভুক্ত অন্যান্য প্রকাশনী গুলি হল – মহারাষ্ট্র টাইমস্, মুম্বাই মিরর্, দি ইকোনমিক টাইমস্ এবং নব ভারত টাইমস্। এদের সদর দপ্তর নিউ দিল্লীতে অবস্থিত। জায়দীপ বোস ২০০৫ সাল থেকে নির্বাহী সম্পাদক রূপে দায়িত্ব পালন করছেন।

এই সংস্থা ব্রিটিশদের মালিকাধীন ছিল। দীর্ঘ সময় ধরে ভারতের পশ্চিম অংশে বসবাসকারী ব্রিটিশ উপনিবেশ স্থাপনকারীদের এটি পরিবেশন করে আসছিল। প্রাথমিকভাবে এটিকে দ্বি-সাপ্তাহিক সংস্করণ হিসাবে চালু করা হয়েছিল এবং বুধবার ও শনিবার প্রকাশিত হত।১৮৫০ সাল থেকে এটির দৈনিক সংস্করণ প্রকাশিত হতে শুরু করে। তারপর এটা আমেরিকা, ইউরোপ তথা ভারতীয় উপমহাদেশগুলির সংবাদ প্রকাশিত করত। দ্য টাইমস্ অফ ইন্ডিয়ার প্রতিটি সংস্করণ নিয়মিত ভাবে কিছু ইউরোপীয় দেশগুলোতে পাঠানো হত ও এই কাজের জন্য বাষ্পচালিত জাহাজ ব্যবহার করা হত।

দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় দুটি সম্পূরক হল দ্য এডুকেশন টাইমস্ এবং দ্য টাইমস্ আ্যসেন্ট। পশ্চিমবঙ্গের কিছু সুপরিচিত অর্থনৈতিক দৈনিক হল –

  • বিজনেস লাইন
  • বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড
  • ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস
  • দ্য ইকোনমিক টাইমস্


পশ্চিমবঙ্গের কিছু বিশিষ্ট দেশীয় ভাষার সংবাদপত্রগুলি হল –

  • গুজরাটি
  • হিন্দি
  • নেপালি
  • ওড়িয়া
  • পাঞ্জাবি
  • উর্দু



পশ্চিমবঙ্গের কিছু ২৪ ঘন্টা বাংলা টেলিভিশন সংবাদ চ্যানেলগুলি হল –

  • ২৪ ঘণ্টা
  • এ.বি.পি আনন্দ
  • চ্যানেল ১০
  • সি.টি.ভি.এন প্লাস
  • কলকাতা টিভি
  • মহুয়া খবর
  • এন.ই বাংলা
  • নিউজ টাইম
  • আর প্লাস
  • তারা নিউজ



পশ্চিমবঙ্গের মোবাইল ফোন অপারেটর এবং ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটগুলি হল –

  • এয়ারসেল
  • এয়ারটেল
  • বি.এস.এন.এল
  • আইডিয়া সেলুলার
  • এম.টি.এস ইন্ডিয়া
  • রিলায়েন্স কমিউনিকেশনস
  • টাটা ডোকোমো
  • টাটা ইন্ডিকম
  • ইউনিনর
  • ভোডাফোন


পশ্চিমবঙ্গের রেডিও স্টেশন

টেলিভিশন আবিষ্কার করার পর, রেডিও একটি আদ্যিকালের বিষয় হয়ে উঠেছে। কিন্তু খুব সম্প্রতি এটি তরুণ প্রজন্মের এক আবেগে পরিণত হয়েছে। আপনি তরুণ তরুণীদের এমনকি রাস্তাতেও মোবাইলে রেডিও শ্রবণ করতে দেখতে পাবেন। এয়্যার (এ.আই.আর) ভারতের সর্বপ্রথম রেডিও স্টেশন। পশ্চিমবঙ্গে অনেক এয়্যার (এ.আই.আর) রেডিও স্টেশন আছে। তাদের কম্পাংকের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের এয়ার রেডিও স্টেশন গুলি হল নিম্নলিখিত –

  • অল ইন্ডিয়া রেডিও আসানসোল ১০০.৩ মেগাহার্টজ।
  • অল ইন্ডিয়া রেডিও চিনসুরা ৫৯৪ কিলোহার্টজ, ১১৩৪ কিলোহার্টজ।
  • অল ইন্ডিয়া রেডিও কলকাতা ৬৫৭ কিলোহার্টজ, ১৩২৩ কিলোহার্টজ, ৯৭.০ মেগাহার্টজ, ১০৩.০
  • মেগাহার্টজ, ১০০৮ কিলোহার্টজ, ৪৮২০ কিলোহার্টজ, ৭২১০ কিলোহার্টজ, ৯৫.০ মেগাহার্টজ,

    ১০০.২ মেগাহার্টজ, ১০২.৪ মেগাহার্টজ, ১০৪.০ মেগাহার্টজ, ১০৭.০ মেগাহার্টজ।

  • অল ইন্ডিয়া রেডিও কার্শিয়াং ১০২.৩ মেগাহার্টজ।
  • অল ইন্ডিয়া রেডিও মুর্শিদাবাদ ১০২.২ মেগাহার্টজ।
  • অল ইন্ডিয়া রেডিও শিলিগুড়ি ৭১১ কিলোহার্টজ।



যেহেতু বাংলা পশ্চিমবঙ্গের প্রধান স্থানীয় ভাষা, তাই বহু সংখ্যক রেডিও স্টেশনগুলি বেশীর ভাগ বাংলা ভাষায় সম্প্রচারিত হয়। কিন্তু এর মানে এটা নয় যে অ বাংলা ভাষাভাষী মানুষদের জন্য কোন রেডিও স্টেশন নেই। বহু এয়্যার (এ.আই.আর) রেডিও স্টেশন জাতীয় ভাষা হিন্দি, আন্তর্জাতিক ভাষা ইংরেজি ও অন্যান্য ভাষায় সম্প্রচার করে।

সম্প্রতি বহু এফ.এম রেডিও স্টেশন পশ্চিমবঙ্গে চালু করা হয়েছে। কম্পাঙ্ক অনুযায়ী কলকাতার এফ.এম স্টেশন গুলির মধ্যে কিছু হল – ৯১.৯ মেগাহার্টজ এর ফ্রেন্ডস-এফ.এম, ৯২.৭ মেগাহার্টজ এর বিগ-৯২.৭ এফ.এম, ৯৩.৫ মেগাহার্টজ এর রেড-এফ.এম, ৯৮.৩ মেগাহার্টজ এর রেডিও মিরচি, ১০৬.২ মেগাহার্টজ এর আমার-১০৬.২ এফ.এম। এই এফ.এম রেডিও স্টেশনগুলি বেশিরভাগ চলচ্চিত্র গান এবং সঙ্গীত সম্প্রচার করে।

স্টেশন কম্পাঙ্ক (ফ্রিকোয়েন্সি)
বিগ – ৯২.৭ এফ এম, আসানসোল ৯২.৭ মেগাহার্টজ
রেড – এফ এম, আসানসোল ৯৩.৫ মেগাহার্টজ
এয়্যার আসানসোল ১০০.৩ মেগাহার্টজ
এয়্যার বালুরঘাট ১০১.০ মেগাহার্টজ
এয়্যার চুঁচুড়া ৫৯৪ কিলোহার্টজ, ১১৩৪ কিলোহার্টজ
এয়্যার দার্জিলিং ১০০.২ মেগাহার্টজ
এয়্যার কলকাতা ৬৫৭ কিলোহার্টজ, ১০০৮ কিলোহার্টজ, ১৩২৩ কিলোহার্টজ,

৪৮২০ কিলোহার্টজ, ৭২১০কিলোহার্টজ, ৯৫.০ মেগাহার্টজ,

৯৭.০ মেগাহার্টজ, ১০০.২ মেগাহার্টজ, ১০২.৪ মেগাহার্টজ,

১০৩.০ মেগাহার্টজ, ১০৪.০ মেগাহার্টজ, ১০৭.০ মেগাহার্টজ
রেডিও এস.আর.এফ.টি.আই, কলকাতা ৯০.০ মেগাহার্টজ
রেডিও – জে.ইউ, কলকাতা ৯০.৮ মেগাহার্টজ
ফ্রেন্ডস – এফ.এম, কলকাতা ৯১.৯ মেগাহার্টজ
বিগ – ৯২.৭ এফ.এম, কলকাতা ৯২.৭ মেগাহার্টজ
রেড – এফ.এম, কলকাতা ৯৩.৫ মেগাহার্টজ
রেডিও – ওয়ান, কলকাতা ৯৪.৩ মেগাহার্টজ
রেডিও – মিরচি কলকাতা ৯৮.৩ মেগাহার্টজ
ফিভার – ১০৪ এফ.এম, কলকাতা ১০৪.০ মেগাহার্টজ
রেডিও টুডে (ওয়ে – এফ.এম), কলকাতা ১০৪.৮ মেগাহার্টজ
জ্ঞান – বাণী, কলকাতা ১০৫.৪ মেগাহার্টজ
আমার – ১০৬.২ এফ.এম, কলকাতা ১০৬.২ মেগাহার্টজ
পাওয়ার – ১০৭.৪ এফ.এম, কলকাতা ১০৭.৪ মেগাহার্টজ
এয়্যার কার্শিয়াং ১৪৪০ কিলোহার্টজ, ৪৮৯৫ কিলোহার্টজ,

৭২৩০ কিলোহার্টজ, ১০২.৩ মেগাহার্টজ
এয়্যার মুর্শিদাবাদ ১০২.২ মেগাহার্টজ
এয়্যার শিলিগুড়ি ৭১১ কিলোহার্টজ
নাইন ৯১.৯ এফ.এম, শিলিগুড়ি ৯১.৯ মেগাহার্টজ
হাই ৯২.৭ এফ.এম, শিলিগুড়ি ৯২.৭ মেগাহার্টজ
রেড – এফ.এম, শিলিগুড়ি ৯৩.৫ মেগাহার্টজ
রেডিও – মিষ্টি ৯৪.৩ এফ.এম, শিলিগুড়ি ৯৪.০৩ মেগাহার্টজ

* সর্বশেষ সংযোজন : ২২ - শে এপ্রিল, ২০১৫