উত্তরাখন্ড মানচিত্র

Uttarakhand Map in Bengali

উত্তরাখন্ড মানচিত্র
* জেলা, রেলপথ, নদী এবং প্রধান সড়ক সংযোগ সহ উত্তরাখন্ডের মানচিত্র৷

উত্তরাখন্ডের উপর তথ্যাবলী

আধিকারিক ওয়েবসাইট www.uk.gov.in
স্থাপনের তারিখ 9 নভেম্বর, 2000
আয়তন 53,483 বর্গ কিলোমিটার
ঘনত্ব 189/ বর্গ কিলোমিটার
জনসংখ্যা(2011) 10,086,292
পুরুষ জনসংখ্যা(2011) 5,137,773
মহিলা জনসংখ্যা(2011) 4,948,519
জেলার সংখ্যা 13
রাজধানী দেরাদুন
নদীসমূহ গঙ্গা, সরযূ, অলকানন্দা, ভাগিরথী, ধৌলিগঙ্গা, রামগঙ্গা, আসান বাঁধ ইত্যাদি।
অরণ্য ও জাতীয় উদ্যান রাজাজি জাতীয় উদ্যান, জিম করবেট জাতীয় উদ্যান, গঙ্গোত্রী জাতীয় উদ্যান
ভাষা গারোয়ালি, কুমাউনি, হিন্দি, সংস্কৃত, ইংরাজী
প্রতিবেশী রাজ্য হিমাচল প্রদেশ, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ
রাষ্ট্রীয় পশু কস্তুরীমৃগ
রাষ্ট্রীয় পাখি হিমালয়ের মোনাল
রাষ্ট্রীয় বৃক্ষ রডোডেনড্রন (বুরান্স)
রাষ্ট্রীয় ফুল ব্রহ্ম কমল
রাজ্যের অভ্যন্তরীণ মূল উৎপাদন (2011) 36368
সাক্ষরতার হার (2011) 86.27%
প্রতি 1000 জন পুরুষে মহিলার সংখ্যা 963
বিধানসভা নির্বাচনক্ষেত্র 70
সংসদীয় নির্বাচনক্ষেত্র 5

উত্তরাখন্ড সম্পর্কে

উত্তরাখন্ডকে দেব ভূমি অথবা ইশ্বরের ভূমি বলা হয় কারন এখানে বিভিন্ন ধর্মীয় স্থান এবং মন্দির দেখা যায় যেগুলিকে এই অঞ্চলের অত্যন্ত পবিত্র তীর্থস্থান বলে মনে করা হয়।

উত্তরপ্রদেশের উত্তর–পশ্চিম অংশ এবং হিমালায় পর্বতমালার একটি অংশের বেশ কয়েকটি জেলা নিয়ে উত্তরাখণ্ড অঞ্চলটি গঠিত। রাজ্যটি হিমালায়ের তরাই ও ভাবর অঞ্চলের নিজস্ব প্রাকৃতিক সৌন্দ্যর্য ও সম্পদের জন্য বিখ্যাত। রাজ্যের উত্তরে স্বায়ত্ত শাসিত অঞ্চল তিব্বত অবস্থিত।

২০০৭ সালে এই রাজ্যটির নাম উত্তরাঞ্চল থেকে উত্তরাখন্ড করা হয়েছে। দেরাদুন, রাজ্যের রাজধানী এবং এটি এই রাজ্যের বৃহত্তম শহর। উত্তরাখন্ডের প্রধান বিচারালয় নৈনিতালে অবস্থিত, যেটি হল এই রাজ্যের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ শহর। হস্তশিল্প ও তাঁত এই দুই হল রাজ্যের প্রধান শিল্প। ‘চিপকো’ আন্দোলনের উৎস হিসাবে এই রাজ্য পরিচিত।

২০০০ সালের ৯-ই নভেম্বর থেকে এটি পৃথক রাজ্য সরকার সহ ভারতের একটি পূর্ণাঙ্গ রাজ্যে পরিনত হয়। ভারতের বৃহত্তম জনবহুল রাজ্য, উত্তরপ্রদেশকে বিভাজন করে এই রাজ্যটি গঠিত হয়েছে।

উত্তরাখণ্ড-এর ইতিহাস

উত্তরাখণ্ডের ইতিহাস এই রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ অতীতের কথা বলে। বেশ কিছু রাজ্য এবং মহান রাজাদের উল্লেখ সহ এই রাজ্যের একটি লম্বা ইতিহাস আছে- যেখানে কূষান, কুদিনা, কনিষ্ক, সমুদ্রগুপ্ত, কাটুরিয়া, পাল, চন্দ্র এবং পাওয়ারদের নাম উল্লেখ আছে। উত্তরাখণ্ডের ইতিহাস এর কথা বহু পবিত্র হিন্দু ধর্মগ্রন্থে লেখা আছে। কিন্তু এর সেরা ইতিহাস গাড়োয়াল এবং কুমায়ুনের ইতিহাসের মাধ্যমে ভালো বোঝা যাবে।

ভৌগলিক অবস্থান

এই রাজ্য ৫৩,৪৮৩ বর্গ কিমি অঞ্চল জুড়ে অবস্থিত। বেশীর ভাগ অংশ জঙ্গল এবং পর্বত বেষ্ঠিত। এখানে পৃথক ধরনের উদ্ভিদকুল ও প্রাণিকুল দেখা যায়, যেমন- তুষার চিতা, ভড়াল, বাঘ, চিতাবাঘ এবং অসাধারণ কিছু গুল্ম ও বৃক্ষ। ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের দুই প্রধান নদী গঙ্গা ও যমুনার উৎসস্হল হল এই রাজ্য। উত্তরাখণ্ডের প্রধান ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য গুলি হল নিম্নরূপ :

  • পর্বতময় গুল্মজ এবং সমতল ভূ-ভাগ।
  • পশ্চিম হিমালয়ের আলপাইন গুল্ম জাতীয় বৃক্ষ এবং চারণভূমি
  • সরলবর্গীয় বনাঞ্চল
  • পশ্চিম হিমালয়ের উপজাত– আলপাইন বৃক্ষ এবং সরলবর্গীয় বনাঞ্চল
  • পশ্চিম হিমালয়ের শঙ্কু-আকৃতি সূঁচালো বনাঞ্চল
  • হিমালয় পর্বতশ্রেণীর পাইন বনাঞ্চল
  • তরাই-ডুয়ার্স নিম্ন ভূমি এবং সাভানা বনাঞ্চল
  • উচ্চ গাঙ্গেয় সমভূমির আর্দ্র সরলবর্গীয় অরণ্য

জনসংখ্যা

উত্তরাখণ্ড ভারতবর্ষের উত্তর প্রান্তে অবস্থিত। এই অঞ্চলটির মোট ভূমির আয়তন ৫৩,৪৮৩ বর্গ কিমি। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী এখানকার মোট জনসংখ্যা হল ১,০০,৮৬,২৯২। সর্বশেষ আদমশুমারি অনুযায়ী এই রাজ্যের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১৯.১৭ শতাংশ। মহিলা ও পুরুষের অনুপাত হল ১০০০: ৯৬৩। এই অঞ্চলের জনঘনত্ব হলো প্রতি বর্গ কিমিতে ১৮৩ জন। উত্তরাখণ্ডের স্বাক্ষরতার হার ৭৯.৬৩ শতাংশ। এই রাজ্যটি তিব্বত, নেপাল, হিমাচল প্রদেশ ও উত্তর প্রদেশের সমতল জেলার সীমানাগুলি নিয়ে বেষ্টিত। রাজ্যের রাজধানী দেরাদুন ও ভারতের রাজধানী নতুন-দিল্লীর মধ্যে দূরত্ব হল ২৪০ কিমি। উত্তরাখণ্ডে মোট ১৩-টি জেলা বর্তমান- পিথোরাগড়, আলমোড়া, নৈনিতাল, বাগেশ্বর, চমপাওয়াত, উত্তর-কাশী, উধাম সিং নগর, চামোলি, দেরাদুন, পৌরি গাড়োয়াল, টেহরি গাড়োয়াল, রুদ্র প্রয়াগ এবং হরিদ্বার (শহর)।

অর্থনীতি

এই রাজ্যের অর্থনীতি সাম্প্রতিক কালে দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে। কৃষি উত্তরাখণ্ডের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র। চাল, সয়াবিন, গম, চীনাবাদাম, ডাল, মোটা শস্য এবং তৈল বীজ হল এই অঞ্চলের প্রধান ফসল। আপেল, নাসপাতি, কমলা লেবু, পীচ, কুল এবং লিচু এখানে ব্যাপকভাবে জন্মায় এবং তাই খাদ্য শিল্প এখানকার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই রাজ্যের প্রধান অর্থকারী ফসল হল আখ। এই রাজ্যে পর্যটনক্ষেত্রের উন্নতির উচ্চ প্রত্যাশা রয়েছে। পর্যটনের প্রভূত উন্নতি এই রাজ্যের বার্ষিক আয়ের সাথে যুক্ত হয়। এই রাজ্যে পর্যটন শিল্পে আরো বিনিয়োগ তথা আরো অন্বেষণ করা প্রয়োজন। অন্য আরেকটি ক্ষেত্র, কৃষি-উদ্যোগে রাজ্যের অর্থনৈতিক উন্নতি প্রয়োজন, যা রাজস্ব বৃ্দ্ধিতে সাহায্য করবে।

সমাজ ও সংস্কৃতি

রাজ্যের জীবনধারা, রীতিনীতি ও ঐতিহ্য উত্তরাখণ্ডের সমাজকে প্রভাবিত করে। এখানকার সংস্কৃতি উত্তরাখণ্ডের সামাজিক দিককে আরোও প্রসারিত করে। এটি হল কুমায়ুন ও গাড়োয়াল অঞ্চলের বিভিন্ন জাতিগত গোষ্ঠীর একটি ভিন্নধর্মী সংস্কৃতির সংমিশ্রণ। রাজ্যের বেশীরভাগ মানুষ হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী, কিছু সংখ্যক শিখ ধর্মাবলম্বীও রয়েছে, যারা ১৯৪৭ সালে পশ্চিম-পাঞ্জাব থেকে এসে উত্তরাখণ্ডে বসতি স্থাপন করেছে। নৃত্য এই অঞ্চলের মানুষের জীবন এবং অস্তিত্বের সাথে অহরহ ভাবে যুক্ত, যা অগণিত মানবিক ভাবনাকে প্রকাশ করে। সংগীত উত্তরাখণ্ডের সংস্কৃতির অভিন্ন অংশ। লোকগীতির মধ্যে জনপ্রিয় বিভাগগুলি হল বাসন্তী, মঙ্গল, খুদেদ এবং ছোপাটি। এখানকার স্থানীয় কারুশিল্পের মধ্যে বিশিষ্ট হল কাঠ খোদাই। উত্তরাখন্ডের হরিদ্বারে হিন্দুধর্মের গুরুত্বপূর্ণ তীর্থ কুম্ভ মেলা হয় এবং এটিকে বিশ্বের বৃহত্তম ধর্ম সম্মেলন বলে মনে করা হয়। এখানকার অন্যান্য উৎসবগুলি হল– ঘি-সংক্রান্তি, বাতসাবিত্রী, খাতারুয়া, ফুল দেই, হারেলা মেলা, নন্দাদেবী মেলা ইত্যাদি ।

সরকার এবং রাষ্ট্রনীতি

২০০০ সালে গঠিত এই নতুন রাজ্যের উন্নতিতে উত্তরাখণ্ড সরকার বহু প্রগতিশীল কর্মসূচী গ্রহন করেছে। এটি একটি সুদক্ষ বিধান পরিষদ, যা সমভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নির্বাহী বিভাগ ও আইন সভা নিয়ে গঠিত। রাজ্যের রাজধানী গাড়োয়াল বিভাগের দেরাদুন, যেখানে সকল সরকারী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এখানে মোট পাঁচটি সংসদীয় আসন এবং ৭০-টি একক কক্ষবিশিষ্ট বিধানসভা আসন রয়েছে।

সরকার এবং রাষ্ট্রনীতি

এখানকার দুই প্রধান আঞ্চলিক ভাষা হল- গারোয়ালি এবং কুমাউনি, কিন্তু হিন্দি হল এখানকার কথ্য ভাষা। গারোয়ালি এবং কুমাউনি উপভাষা গাড়োয়াল এবং কুমায়ুন অঞ্চলে উচ্চারিত হয়। পশ্চিম ও উত্তর অঞ্চলের কিছু আদিবাসী সম্প্রদায় জাউন্সারি এবং ভোটিয়া উপভাষায় কথা বলে। অন্য দিকে, শহুরে জনসংখ্যার বেশিরভাগই হিন্দি ভাষায় কথা বলে যা সংস্কৃত সহ উত্তরাখণ্ডের আধিকারিক ভাষা।

পর্যটন

প্রকৃতি, বন্যপ্রাণী, রোমাঞ্চকর কাজ বা তীর্থস্থান যে কারণই হোক, পর্যটনের এখানে প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। এই অঞ্চলের প্রধান পর্যটন কেন্দ্রগুলি হল- হরিদ্বার, হৃষিকেশ, দেরাদুন, মুসৌরি, আলমোড়া, কেদারনাথ, বদ্রীনাথ, যমুনোত্রী, গঙ্গোত্রী, জিম করবেট জাতীয় উদ্যান, নৈনিতাল, রানিখেত এবং পিথোরাগড়। যদি আপনি দু:সাহসী হন এবং কঠিন প্রতিবন্ধকতা উপভোগ করতে আগ্রহী হন, তাহলে আপনি – উচ্চ এবং নিম্ন উচ্চতায় ট্রেকিং, প্যারা গ্লাইডিং, পর্বতারোহণ, স্কাইং, রিভার র্যাফটিং এবং অন্যান্য অনেক কার্যক্রম করতে পারেন।

নীচে উত্তরাঞ্চলের কিছু গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন স্হলের একটি তালিকা দেওয়া হল :

কেদারনাথ
কেদারনাথ মন্দির হল এখানকার একটি বিশেষ ধর্মীয় স্হল। এটি মন্দাকিনী নদীর কাছাকাছি সমুদ্রতল থেকে ১১,৫০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। কেদারনাথ হল হিন্দু ধর্মের সবচেয়ে পবিত্র মন্দির যা ভগবান শিবের উদ্দ্যেশে উৎসর্গীকৃত। প্রতি বছর এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি দেশের প্রত্যেকটি কোণ থেকে ভক্তরা এখানে আসেন ভগবানের দর্শন পেতে ।

হৃষিকেশ
উত্তরাখণ্ডের মধ্যে আরেকটি জনপ্রিয় পর্যটক গন্তব্য হল হৃষিকেশ। হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত, হৃষিকেশ হিন্দুদের জন্য একটি অত্যন্ত সুন্দর তীর্থকেন্দ্র। হিন্দু পুরাণ মতে এই শহরটি হল শিবের প্রিয় জায়গা। ধর্মীয় তাৎপর্য ছাড়াও, হৃষিকেশ ভারতের অন্যতম সুন্দর প্রাকৃতিক শহর।

নৈনিতাল
নৈনিতাল উত্তরাখণ্ডের মধ্যে সবচেয়ে ব্যস্ততম পর্যটনস্থল। কুমায়ুন পাহাড়ের গায়ে অবস্থিত নৈনিতাল, তার প্রাকৃতিক সৌন্দ্যর্য্যের জন্য বিখ্যাত। এটি ১,৯৩৮ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত এবং এই অঞ্চলের অন্তর্গত বিভিন্ন পর্যটনস্থল পর্যটকদের আকর্ষিত করে।

রানিখেত
এটি হল শান্তি প্রেমময়সম্পন্ন একটি স্বর্গীয় গন্তব্য। রানিখেত হল ভারতের একটি দুর্লভ শান্তময় স্থান। এখানকার পরিষ্কার পরিছন্ন এবং দূষণমুক্ত পরিবেশের জন্য রানিখেতকে একটি অন্যতম পাহাড়ী জায়গা বলে ধরা হয়। এখানের লম্বা সরলবর্গীয় গাছ, নির্মেঘ আকাশ, উন্মাদক ভিড় থেকে মানুষের মনকে অনেক দূরে নিয়ে যায় ।

জিম করবেট জাতীয় উদ্যান
হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত জিম করবেট জাতীয় উদ্যান পশু-প্রেমিকদের জন্য নিঃসন্দেহে উত্তরাখণ্ডের সবচেয়ে সেরা জায়গা। দেশের সেরা প্রাণীর আবাসস্থল হিসাবে একে গণনা করা হয়। ভারতের এই জাতীয় উদ্যান একটি সমৃদ্ধ বাস্তুতন্ত্র সহ ১৩১৮,৫৪ বর্গ মিটার অঞ্চল জুড়ে অবস্থিত।

বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য

উত্তরাখণ্ড জাতীয় উদ্যানে বন্যপ্রাণীদের উন্নত চরিত্রের উপস্থিতি এখানকার বিশেষ বৈচিত্র্য। এছাড়াও এখানকার জাতীয় উদ্যান,গাছ, ফুল, গাছপালা, গুল্ম, লতানো উদ্ভিদের সুন্দর ছবি, চোখ ধাঁধিয়ে দেওয়ার মতো। এখানকার প্রধান বৈশিষ্ট্য হল- এই জাতীয় উদ্যানটিতে বন্যপ্রাণী সংরক্ষিত করে রাখা হয়েছে যেটি সরকারের অধীন। এখানে মানুষের অনধিকার প্রবেশ নিষিদ্ধ।

পরিবহন

ভারতের উত্তরাখণ্ড বিমান, রেল ও সড়ক পথ দ্বারা সহজে প্রবেশযোগ্য। দেরাদুনের কাছাকাছি জলি গ্রান্ট বিমানবন্দর এই অঞ্চলের সবচেয়ে জনপ্রিয় বিমানবন্দর। দেরাদুনে কিছু অন্তর্দেশীয় বিমান সংস্থা, বিমান চালনা করে। উত্তরাখণ্ড, ভারতীয় শহর ও উপ-শহরগুলির মধ্যে একটি চমৎকার রেলপথের জালবিন্যাস ঘটিয়েছে। দেশের অন্যান্য অংশের সঙ্গে রাজ্যের সংযোগ স্থাপনকারী, কিছু প্রধান রেলওয়ে স্টেশনগুলি হল- দেরাদুন রেল স্টেশন, হরিদ্বার রেল স্টেশন এবং কাঠগোদাম রেল স্টেশন । উত্তরাখণ্ড-এর ৫৮,৭৩,৭৪,৮৭-নং জাতীয় মহাসড়কগুলি অন্যান্য ভারতীয় রাজ্যগুলির মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেছে। রাজ্য সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (এস.আর.টি.সি), এই রাজ্যের বাস পরিষেবা পরিচালনা করে।

* সর্বশেষ সংযোজন : ১১- ফেব্রুয়ারী, ২০১৫